মালদা, 10 মে : বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ গেরুয়া শিবিরের বিভাজনের নীতি মেনে নেয়নি ৷ নির্বাচনের ফলে তা স্পষ্ট বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ৷ নির্বাচনোত্তর পর্বে সেই বিভাজন ভাবনাকেই আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইছে কি বিজেপি ? অন্তত আজ বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর গলায় সেই সুরই শোনা গেল ৷ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আজ দাবি করেন, "ভোটের পর এই রাজ্যের হিন্দুদের উপর আক্রমণ বেশি হচ্ছে ৷ দেশ ভাগের পর পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের উপর এমন নির্যাতন আগে হয়নি ৷"
নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় এই জেলার দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে আজ মালদায় এসেছিলেন সায়ন্তন বসু ৷ মালদা শহরে একটি হোটেলে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “নির্বাচনের পর তৃণমূলের সন্ত্রাসে এই রাজ্যে আমাদের এক লাখ নেতা-কর্মী ঘরছাড়া ৷ আমাদের দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত ৷ তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেই মালদায় এসেছি ৷ এই জেলায় তৃণমূলের সন্ত্রাসে কত কার্যকর্তা ঘরছাড়া, কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব করব ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটাও খতিয়ে দেখব ৷ আজ গাজোলের বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ সেখানেও আক্রমণের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে ৷ ঘরছাড়া নেতা-কর্মীদের কীভাবে ঘরে ফেরানো যায়, সেটাও দেখব ৷”
আরও পড়ুন: সায়ন্তন বসুকে নোটিস নির্বাচন কমিশনের
বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আজ সাফ জানান, শাসকদলের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাঁরা এখনও আন্দোলনে নামেননি ৷ তাঁরা চান না, এই আন্দোলনের জন্য করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ গতি পাক ৷ কিন্তু পরিস্থিতি যদি হাতের বাইরে চলে যায়, সরকার ও প্রশাসন শাসকদলের এই হামলা বন্ধ করতে না পারলে, ঘরছাড়া কর্মীদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা না করলে, তাঁরা এই কোভিড আবহের মধ্যেই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন ৷ তখন কোভিডের ভয় দেখিয়ে আন্দোলন থেকে তাঁদের বিরত করা যাবে না ৷