ETV Bharat / state

BJP Worker's Murder Case: গাজোলে বিজেপি কর্মী খুনে অভিযুক্তরা চার মাস পরেও অধরা, তদন্ত রিপোর্ট তলব মানবাধিকার কমিশনের - BJP Workers Murder Case

চারমাস আগে খুন হয়েছিল এক বিজেপি কর্মী ৷ সেই খুনের পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (National Human Rights Commission) ৷

BJP Workers Murder Case
বিজেপি কর্মী ধনঞ্জয়বাবুর পরিবার
author img

By

Published : Feb 8, 2023, 7:27 PM IST

Updated : Feb 9, 2023, 10:31 AM IST

খুনের তদন্ত রিপোর্ট চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

মালদা, 8 ফেব্রুয়ারি: কালীপুজোর রাতে বাড়ির অদূরেই কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল গাজোলের বৈরগাছি 2 নম্বর গ্রাম-পঞ্চায়েতের খোসলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা, ধনঞ্জয় সরকারকে (52) ৷ ধনঞ্জয়বাবু ছিলেন বিজেপি কর্মী (Malda BJP Worker's Murder Case) ৷ তাঁকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সুবোধ সরকার-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ৷ এরপর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করেছিলেন তাঁর ভাই ৷ কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও অধরা অভিযুক্তরা ৷ এই ঘটনার পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷

অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ইমাদুর রহমানেরও ৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ধনঞ্জয়বাবুর স্ত্রী লতিকা সরকার ৷ অভিযুক্তদের থানায় দেখা গেলেও পুলিশ নাকি তাদের খোঁজ পায়নি ৷ তাই অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করা যায়নি ৷ গত 2 নভেম্বর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রাজাদিঘি সংলগ্ন ওই গ্রামে যান জাতীয় তফশিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার ৷ আগাম জানানো সত্ত্বেও সেদিন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি সেদিন তাঁর সঙ্গে দেখা না-করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি ৷

প্রকাশ্যেই হুমকি দেন, এই তিনজনকে দিল্লিতে তলব করে জবাবদিহি চাওয়া হবে ৷ প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশন কঠোর পদক্ষেপ করবে ৷ প্রায় চার মাস হতে চললেও ওই ঘটনায় একজন অভিযুক্তকেও পুলিশ গ্রেফতার না-করায় ধনঞ্জয়বাবুর পরিবারের সদস্যরা সুবিচার পেতে শেষ পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷ কমিশনের তরফে চার সপ্তাহের মধ্যে পুলিশ সুপারের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে ৷ এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়েছে জেলার পুলিশ মহলে ৷

আরও পড়ুন: পরিবারের সামনেই মুণ্ডচ্ছেদ, বিজাপুরে বিজেপি নেতাকে নৃশংস হত্যা মাওবাদীদের

লতিকাদেবী বলেন, "প্রধান বিজেপির টিকিটেই ভোটে জিতেছিল ৷ পাশ করার পর তৃণমূলে চলে যান ৷ আমাদের নিজস্ব পুকুরকে একশো দিনের কাজে ঢুকিয়ে ওরা লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে ৷ গ্রামের লোকজন এর বিরোধিতা করে ৷ এরপর প্রধান হাড়িয়া খেয়ে রাস্তায় আমার স্বামীকে খুন করে ৷ এ নিয়ে থানায় দু'বার অভিযোগ জানিয়েছি ৷ পুলিশ এখনও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি ৷ শেষ পর্যন্ত আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হই ৷ আমরা প্রধান-সহ অভিযুক্তদের ফাঁসি চাই ৷"

ধনঞ্জয়বাবুর ছেলে পরিতোষ সরকার বলেন, "পঞ্চায়েত প্রধান আমাদের রায়তি পুকুরকে একশো দিনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করে টাকা আত্মসাৎ করেছিল ৷ আমার বাবা তার প্রতিবাদ করে ৷ এনিয়ে গ্রামের কয়েকজন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে ৷ তার মধ্যে আমার কাকাও ছিল ৷ তার জেরে গত 27 অক্টোবর কালীপুজোর মেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে বাবাকে খুন করা হয় ৷ এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধান আর তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৷ এই ঘটনায় আমরা গাজোল থানায় ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি ৷ কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি ৷ তাই আমরা শেষ পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হই ৷ আশা করছি, এবার আমরা সুবিচার পাব ৷"

আরও পড়ুন: স্ত্রী'র সামনেই স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন, অভিযুক্ত পলাতক

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিষয়টি যে পদ্ম শিবিরের হাতিয়ার হতে চলেছে তা বিলক্ষণ বোঝা গিয়েছে বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা আইনজীবী উজ্জ্বল দত্তের কথায় ৷ তিনি বলেন, "নিহত ধনঞ্জয় সরকার ছিলেন প্রতিবাদী কণ্ঠ ৷ তৃণমূলের দুর্নীতির প্রতিবাদে তিনি সামিল হয়েছিলেন ৷ তাঁর ব্যক্তিগত পুকুরকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত একশো দিনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করে অর্থ লোপাট করে ৷ তিনি প্রথমে পঞ্চায়েতে গিয়ে এর প্রতিবাদ জানান ৷ কাজ না-হওয়ায় বিডিওকে জানান ৷ পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি সদর মহকুমাশাসক, এমনকী জেলাশাসককেও জানান ৷ কোথাও থেকে তিনি কোনও সদুত্তর পাননি ৷ উলটে এর জেরে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান সুবোধ সরকার ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ইমাদুর রহমানের নেতৃত্বে তাঁকে খুন করা হয় ৷

তিনি আরও বলেন, "এই ঘটনায় নিহতের পরিবার অভিযুক্তদের নাম দিয়ে গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ৷ কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি ৷ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মানুষজন প্রায় আট ঘণ্টা থানা ঘেরাও করে রাখলেও পুলিশের টনক নড়েনি ৷ শেষ পর্যন্ত ধনঞ্জয়বাবুর বাড়ির লোকজন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হন ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন চার সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট পুলিশ সুপারের কাছে তলব করেছে ৷ এরপরেও পুলিশ ব্যবস্থা না-নিলে আমরা উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হব ৷ একইসঙ্গে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব ৷"

আরও পড়ুন: লিভ-ইন পার্টনারের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার মহিলা

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে হাথরস প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু ৷ তিনি বলেন, "এই ঘটনা নিয়ে জাতীয় তফশিলি কমিশনও গ্রামে গিয়েছিল ৷ এই ঘটনায় পুলিশের তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে ৷ এটা তো হাথরস নয় ৷ ওখানে পুড়িয়ে মারার পরও বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছে ৷ এই রাজ্যে সব ঘটনারই তদন্ত হয় ৷ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয় ৷ দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ৷ মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত এখানে নিশ্চিন্তে চলাফেরা করে ৷ মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাতে তফশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্তদের অবস্থা কী সেটা মানুষ জানে ৷ আজে-বাজে কথা বলে বিজেপি এখানে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে ৷" তবে এনিয়ে পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদবের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷

খুনের তদন্ত রিপোর্ট চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

মালদা, 8 ফেব্রুয়ারি: কালীপুজোর রাতে বাড়ির অদূরেই কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল গাজোলের বৈরগাছি 2 নম্বর গ্রাম-পঞ্চায়েতের খোসলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা, ধনঞ্জয় সরকারকে (52) ৷ ধনঞ্জয়বাবু ছিলেন বিজেপি কর্মী (Malda BJP Worker's Murder Case) ৷ তাঁকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সুবোধ সরকার-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ৷ এরপর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করেছিলেন তাঁর ভাই ৷ কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও অধরা অভিযুক্তরা ৷ এই ঘটনার পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷

অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ইমাদুর রহমানেরও ৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ধনঞ্জয়বাবুর স্ত্রী লতিকা সরকার ৷ অভিযুক্তদের থানায় দেখা গেলেও পুলিশ নাকি তাদের খোঁজ পায়নি ৷ তাই অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করা যায়নি ৷ গত 2 নভেম্বর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রাজাদিঘি সংলগ্ন ওই গ্রামে যান জাতীয় তফশিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার ৷ আগাম জানানো সত্ত্বেও সেদিন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি সেদিন তাঁর সঙ্গে দেখা না-করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি ৷

প্রকাশ্যেই হুমকি দেন, এই তিনজনকে দিল্লিতে তলব করে জবাবদিহি চাওয়া হবে ৷ প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশন কঠোর পদক্ষেপ করবে ৷ প্রায় চার মাস হতে চললেও ওই ঘটনায় একজন অভিযুক্তকেও পুলিশ গ্রেফতার না-করায় ধনঞ্জয়বাবুর পরিবারের সদস্যরা সুবিচার পেতে শেষ পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷ কমিশনের তরফে চার সপ্তাহের মধ্যে পুলিশ সুপারের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে ৷ এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়েছে জেলার পুলিশ মহলে ৷

আরও পড়ুন: পরিবারের সামনেই মুণ্ডচ্ছেদ, বিজাপুরে বিজেপি নেতাকে নৃশংস হত্যা মাওবাদীদের

লতিকাদেবী বলেন, "প্রধান বিজেপির টিকিটেই ভোটে জিতেছিল ৷ পাশ করার পর তৃণমূলে চলে যান ৷ আমাদের নিজস্ব পুকুরকে একশো দিনের কাজে ঢুকিয়ে ওরা লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে ৷ গ্রামের লোকজন এর বিরোধিতা করে ৷ এরপর প্রধান হাড়িয়া খেয়ে রাস্তায় আমার স্বামীকে খুন করে ৷ এ নিয়ে থানায় দু'বার অভিযোগ জানিয়েছি ৷ পুলিশ এখনও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি ৷ শেষ পর্যন্ত আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হই ৷ আমরা প্রধান-সহ অভিযুক্তদের ফাঁসি চাই ৷"

ধনঞ্জয়বাবুর ছেলে পরিতোষ সরকার বলেন, "পঞ্চায়েত প্রধান আমাদের রায়তি পুকুরকে একশো দিনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করে টাকা আত্মসাৎ করেছিল ৷ আমার বাবা তার প্রতিবাদ করে ৷ এনিয়ে গ্রামের কয়েকজন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে ৷ তার মধ্যে আমার কাকাও ছিল ৷ তার জেরে গত 27 অক্টোবর কালীপুজোর মেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে বাবাকে খুন করা হয় ৷ এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধান আর তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৷ এই ঘটনায় আমরা গাজোল থানায় ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি ৷ কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি ৷ তাই আমরা শেষ পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হই ৷ আশা করছি, এবার আমরা সুবিচার পাব ৷"

আরও পড়ুন: স্ত্রী'র সামনেই স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন, অভিযুক্ত পলাতক

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিষয়টি যে পদ্ম শিবিরের হাতিয়ার হতে চলেছে তা বিলক্ষণ বোঝা গিয়েছে বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা আইনজীবী উজ্জ্বল দত্তের কথায় ৷ তিনি বলেন, "নিহত ধনঞ্জয় সরকার ছিলেন প্রতিবাদী কণ্ঠ ৷ তৃণমূলের দুর্নীতির প্রতিবাদে তিনি সামিল হয়েছিলেন ৷ তাঁর ব্যক্তিগত পুকুরকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত একশো দিনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করে অর্থ লোপাট করে ৷ তিনি প্রথমে পঞ্চায়েতে গিয়ে এর প্রতিবাদ জানান ৷ কাজ না-হওয়ায় বিডিওকে জানান ৷ পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি সদর মহকুমাশাসক, এমনকী জেলাশাসককেও জানান ৷ কোথাও থেকে তিনি কোনও সদুত্তর পাননি ৷ উলটে এর জেরে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান সুবোধ সরকার ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ইমাদুর রহমানের নেতৃত্বে তাঁকে খুন করা হয় ৷

তিনি আরও বলেন, "এই ঘটনায় নিহতের পরিবার অভিযুক্তদের নাম দিয়ে গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ৷ কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি ৷ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মানুষজন প্রায় আট ঘণ্টা থানা ঘেরাও করে রাখলেও পুলিশের টনক নড়েনি ৷ শেষ পর্যন্ত ধনঞ্জয়বাবুর বাড়ির লোকজন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হন ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন চার সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট পুলিশ সুপারের কাছে তলব করেছে ৷ এরপরেও পুলিশ ব্যবস্থা না-নিলে আমরা উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হব ৷ একইসঙ্গে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব ৷"

আরও পড়ুন: লিভ-ইন পার্টনারের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার মহিলা

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে হাথরস প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু ৷ তিনি বলেন, "এই ঘটনা নিয়ে জাতীয় তফশিলি কমিশনও গ্রামে গিয়েছিল ৷ এই ঘটনায় পুলিশের তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে ৷ এটা তো হাথরস নয় ৷ ওখানে পুড়িয়ে মারার পরও বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছে ৷ এই রাজ্যে সব ঘটনারই তদন্ত হয় ৷ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয় ৷ দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ৷ মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত এখানে নিশ্চিন্তে চলাফেরা করে ৷ মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাতে তফশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্তদের অবস্থা কী সেটা মানুষ জানে ৷ আজে-বাজে কথা বলে বিজেপি এখানে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে ৷" তবে এনিয়ে পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদবের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷

Last Updated : Feb 9, 2023, 10:31 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.