মালদা, 14 অগাস্ট : 10 বছরের নাবালক ওমর ফারুকের খুনের পর কি নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ ঘটতে চলেছে মোথাবাড়িতে ! গতকাল ফারুকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর আব্বা, তৃণমূল নেতা হাফিজুল ইসলাম এবং ওই পরিবারের সবাইকে সমবেদনা জানান দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালু মিঞা ৷ সাংসদের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বিধায়ক পুত্র ঈশা খান চৌধুরিও ৷ গোটা ঘটনায় তাঁরা CID তদন্তের দাবি তুলেছেন ৷ এনিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ ৷ তবে আজ বিকেলে হাফিজুল সাহেবের বাড়িতে কংগ্রেস সাংসদ ও বিধায়কের উপস্থিতি সেখানকার তৃণমূল মহলে নতুন প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ৷
গতকাল বিকেল থেকে মোথাবাড়ি থানার আমলিতলা গ্রামের বাসিন্দা, স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল ইসলামের 10 বছরের ছেলে ওমর ফারুকের খুন নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে গোটা জেলায় ৷ এমন ঘটনা মেনে নিতে পারছে না কেউ ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে গতকাল দুপুরেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে আঙুল তুলেছেন খোদ হাফিজুল সাহেব ৷ তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নিলুফা ইয়াসমিনও ৷ তিনি বলেন, "এই ঘটনায় এলাকার তৃণমূল নামধারী কিছু সমাজবিরোধী জড়িত থাকলেও থাকতে পারে ৷ হাফিজুল সাহেবের সঙ্গে তিনিও এনিয়ে CBI তদন্তের দাবি তুলেছেন ৷ এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনার পরেও দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব কেন হাফিজুল সাহেব কিংবা তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি, একবারও এলাকায় আসেনি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷ তারপরেই আজ সন্ধের দিকে ডালু মিঞা ও ঈশা সাহেবের এলাকায় আগমন নতুন সমীকরণের বার্তা দিচ্ছে বলেই মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল ৷
গতকাল দক্ষিণ মালদার সাংসদ ও সুজাপুরের বিধায়ক বেশ কিছুক্ষণ হাফিজুল সাহেবের বাড়িতে থাকেন ৷ তাঁরা ফারুকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ৷ বিশেষ করে হাফিজুল সাহেবের সঙ্গে তাঁদের দীর্ঘ কথাবার্তা চলে ৷ একসময় হাফিজুল সাহেব কংগ্রেস করতেন ৷ পরে তিনি তৃণমূলে যান ৷ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি যে তৃণমূলের উপর বীতশ্রদ্ধ, তা তাঁর বক্তব্যেই পরিষ্কার ৷ ঘটনাস্থান থেকে ফিরে যাওয়ার পথে ঈশা খান চৌধুরী বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ৷ 10 বছরের একটা বাচ্চাকে এখানে খুন করা হয়েছে ৷ আমরা মৃত নাবালকের পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে এসেছি ৷ আমরা ওই বাচ্চার আব্বা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ আমরা তাঁদের পাশে রয়েছি ৷ এই ঘটনায় CID তদন্তের প্রয়োজন ৷ আমরাও সেই দাবি করছি ৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ কিন্তু এর পিছনে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে ৷ তাই এই ঘটনায় CID তদন্ত প্রয়োজন ৷ বিষয়টি নিয়ে সাংসদ পুলিশ সুপারের সঙ্গেও কথা বলবেন ৷”