মালদা, 23 নভেম্বর : বছর উনিশের মেয়েকে দেহ ব্যবসায় নামানোর জন্য ভিন রাজ্যে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন মহিলা ৷ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মেয়েকে মারধর করে ঘরে বন্দী করে রাখার অভিযোগ উঠল মহিলার বিরুদ্ধে ৷ আজ সকালে ওই যুবতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে যুবতির মাকে আটক করেছে পুলিশ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচলের শীতলপুর এলাকায় ৷
যুবতির বাড়ি চাঁচলের অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৷ বছর তিনেক আগে পাশের গ্রামের যুবক মহাবীর দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই যুবতির ৷ যুবতির মা লক্ষ্মী দাস দিল্লিতে থাকেন ৷ কয়েকদিন আগে তিনি মালদায় ফিরে আসেন ৷ মায়ের ফিরে আসার বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যায় যুবতি ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, লক্ষ্মী দিল্লিতে দেহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ৷ বিভিন্ন জায়গা থেকে তিনি মেয়েদের দিল্লিতে নিয়ে যেতেন ৷ নিজের মেয়েকেও দিল্লিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু মেয়ে তাতে রাজি হয়নি ৷ অভিযোগ, রাজি না হওয়ায় যুবতিকে মারধর করে ঘরে বন্ধ করে তালা মেরে দেন লক্ষ্মী ৷ আজ সকালে ঘর থেকে কেউ না বেরোনোয় স্থানীয়দের সন্দেহ হ য়৷ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই যুবতির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা ৷
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালানোর চেষ্টা করেন লক্ষ্মী ৷ স্থানীয়রা লক্ষ্মীকে আটকে রেখে থানায় খবর দেন ৷ ঘটনাস্থানে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে লক্ষ্মীকে আটক করে ৷
স্থানীয় এক বাসিন্দা কার্তিক দাস জানান, “যুবতির স্বামীর সঙ্গে গুজরাতে যাওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু স্বামীর সঙ্গে যেতে না দিয়ে যুবতিকে নিজের সঙ্গে দিল্লিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন মহিলা ৷ তাতে রাজি হয়নি যুবতি ৷ এরপর যুবতিকে মারধর করে ঘরে বন্দী করে দিয়েছিলেন তিনি ৷ অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে ৷ আমাদের ধারণা তাকে দেহ ব্যবসার কাজে নামাতে দিল্লিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ওর মা ৷”
চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । মৃত যুবতির মাকে আটক করা হয়েছে ৷ আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷