মালদা, 26 জুলাই: সংসদ চত্বরে গান্ধিমূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সময় তিনি জানিয়েছিলেন, পাকুয়াহাটের ঘটনা লোকসভায় উত্থাপন করবেন ৷ তাঁর হুমকি যে খুব একটা ফাঁকা ছিল না, তার প্রমাণ দিলেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ লোকসভার জিরো আওয়ারে পাকুয়াহাটে নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে চিঠি দিয়েছেন ৷ যদিও কবে এই বিষয়টি নিয়ে লোকসভায় আলোচনা হবে, তা এখনও জানা যায়নি ৷ সাংসদের দাবি, লোকসভার স্পিকারের পরামর্শেই তিনি সেক্রেটারি জেনারেলকে এই চিঠি দিয়েছেন ৷
পাকুয়াহাটে প্রকাশ্যে দুই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনা জেনে ফেলেছে সারা দেশ ৷ এই ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ না খুললেও তাঁর মন্ত্রীসভার সদস্য শশী পাঁজা জানিয়েছেন, এসব সামান্য ঘটনা ৷ তৃণমূল নেতৃত্ব অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে মণিপুরে নারী নির্যাতনের ঘটনাকে ৷ চলতি সপ্তাহেই সে রাজ্যে যেতে পারে 26টি বিরোধী দলের জোটের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম ৷ মণিপুরের ঘটনা নিয়ে আজ লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে 'ইন্ডিয়া' জোট ৷ তাই মণিপুরের ঢাল হিসাবে পাকুয়াহাটের ঘটনাকে বিজেপি যে সামনে আনার চেষ্টা করে যাবে, তা প্রথম থেকেই বোঝা গিয়েছিল ৷ বাস্তবেও সেটাই হয়েছে ৷
বিষয়টি নিয়ে দিল্লি থেকে সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, "পাকুয়াহাটের ঘটনায় মালদার পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়ে আমি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে অভিযোগ জানাই ৷ ওই ঘটনার পর আমি পুলিশ সুপারকে সাতবার ফোন করি ৷ কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি ৷ পুলিশ সুপারের দফতরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম ৷ কিন্তু আমাকে তাঁর দফতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি ৷ 22 জুলাই দুপুর দু'টো থেকে পরদিন বেলা তিনটে পর্যন্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁর দফতরের সামনে ধরনায় বসি ৷ তবু তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেননি ৷ তিনি আমার সঙ্গে দেখা না করে কার্যত লোকসভাকেই অপমান করেছেন ৷ তাঁর এত ঔদ্ধত্য হয় কীভাবে ?"
তিনি আরও বলেন, "পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়ে সোমবার আমি লোকসভার স্পিকারকে প্রথমে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছিলাম ৷ সব শুনে তিনি আমাকে লিখিত অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন ৷ আমি তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ তার সঙ্গে পাকুয়াহাটের ঘটনা যাতে সংবিধানের 193 নম্বর ধারা অনুযায়ী লোকসভায় উত্থাপন করা হয়, তার জন্য লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলকেও চিঠি পাঠিয়েছি ৷"
আরও পড়ুন : পাকুয়াহাটের ঘটনায় রাতভর পুলিশ সুপারের দফতর ঘেরাও বিজেপির