ETV Bharat / state

Covid-19 Vaccination : নিয়মের জাঁতাকল মিলছে না ভ্যাকসিন, কাজে ফিরতে পারছেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা - ভ্যাকসিনেশন

কো-উইনে করোনার ভ্যাকসিনের স্লট বুক করতে না পারায় ফাঁপড়ে পড়েছেন মালদা জেলার বহু পরিযায়ী শ্রমিক ৷ ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ না পাওয়ায় ভিনরাজ্যে কাজের জায়গায় যেতে পারছেন না তাঁরা ৷ ফলে এবার আর্থিক সঙ্কটের মুখে মালদার অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক ৷

Migrants Workers are face problems for not getting Vaccine in Malda
নিয়মের জাঁতাকল মিলছে না ভ্যাকসিন, কাজে ফিরতে পারছেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা
author img

By

Published : Sep 9, 2021, 5:19 PM IST

Updated : Sep 9, 2021, 10:24 PM IST

মালদা, 9 সেপ্টেম্বর : নিয়মের জাঁতাকলে কাজে যেতে পারছেন না মালদার পরিযায়ী শ্রমিকরা ৷ মোবাইল অ্যাপ অর্থাৎ কো-উইনে করোনা ভ্যাকসিনের স্লট বুকিং করতে পারছেন না তাঁরা ৷ এদিকে ঘরে জমানো টাকা ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসছে । ভিনরাজ্যে যেসব সংস্থায় তাঁরা কাজ করতেন, সেখানে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে । নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেখানে না যেতে পারলে কাজ হারাতে হবে ৷ এই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব কাজে ফিরতে চাইছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা ৷ কিন্তু, বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভ্যাকসিনেশন ৷ দু’টি ডোজ না নেওয়া থাকলে একদিকে যেমন বিমানের টিকিট পাওয়া যাবে না ৷ অন্যদিকে, কর্মস্থলে কাজ পাওয়া যাবে না ৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের এই সমস্যা ধরা পড়েছে বিহার সংলগ্ন হরিশ্চন্দ্রপুরে ৷ সেখানকার স্বাস্থ্যকর্তা জানাচ্ছেন, তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাপের মাধ্যমেই সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে।

মালদা জেলার 15টি ব্লকের বহু মানুষ ভিনরাজ্যে কাজ করতে যান ৷ তাঁদের বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক ৷ নেই স্মার্ট ফোন ৷ সামান্য কয়েকজনের হাতে যদিও বা স্মার্ট ফোন রয়েছে ৷ কিন্তু সেই ফোনের ব্যবহার এবং সেখানে ব্যবহার হওয়া অ্যাপ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না তাঁরা । লেখাপড়াও জানা নেই অনেকের ৷ এদিকে সংসার চালাতে তাঁদের ভিনরাজ্যে কাজ করতে যেতেই হবে ৷ তাই করোনা ভ্যাকসিন পেতে স্থানীয় সাইবার ক্যাফগুলিতে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন তাঁরা ৷ কিন্তু সেখানে গিয়েও সমস্যায় পড়েছেন ওই সব পরিযায়ী শ্রমিক ৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক চেষ্টা করেও ভ্যাকসিনেশনের স্লট বুকিং করতে পারছেন না ৷ কয়েক মিনিটের মধ্যে বুকিংয়ের কোটা শেষ হয়ে যাচ্ছে ৷ কখনও আবার সার্ভার সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে ৷ তাই তাঁরা ভ্যাকসিন নিতে পারছেন না ৷ এদিকে সংসার চালাতে হলে, দ্রুত তাঁদের ভিনরাজ্যে গিয়ে কাজে যোগ দিতে হবে ৷ কী করবেন, বুঝে উঠতে পাচ্ছেন না অসহায় এই পরিযায়ী শ্রমিকরা ৷

আরও পড়ুন : Alipurduar Vaccine : আলিপুরদুয়ারে ভ্যাকসিন না পেয়ে পথ অবরোধ

শুধু পুরুষরা নয়, এই জেলার বহু মহিলা ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে যান ৷ তাঁদের একজন আফসানা খাতুন বলেন, “ভ্যাকসিনের স্লট বুকিং করার জন্য 20 দিন ধরে সাইবার ক্যাফেতে এসে ঘুরে যাচ্ছি ৷ রোজই বুকিং শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ৷ সংসার চালাতে আমাদের ভিনরাজ্যে যেতেই হবে ৷ আমার স্বামী আমেদাবাদে কাপড় ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন ৷ আমিও সেখানে কাজ করি ৷ ভ্যাকসিন না নিলে সেখানে যাওয়া যাচ্ছে না ৷ সরকারের উচিত, আমাদের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা ৷ পশ্চিমবঙ্গে কোনও কাজ নেই ৷ তাই আমাদের বাইরে যেতেই হবে ৷’’

নিয়মের জাঁতাকল মিলছে না ভ্যাকসিন, কাজে ফিরতে পারছেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা

হরিশ্চন্দ্রপুরের পরিযায়ী শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, “আমার স্ত্রী ভ্যাকসিন নিতে পেরেছে ৷ কিন্তু, আমি পাচ্ছি না ৷ 16 দিন ধরে বুকিং করতে আসছি ৷ মোবাইলে ওটিপি আসছে ৷ কিন্তু, স্লট বুকিং হচ্ছে না ৷ এদিকে ভ্যাকসিন না নিলে বাইরে কাজেও যেতে পারছি না ৷ শুনছি, বিভিন্ন এলাকা, এমনকি মালদা শহরের মানুষও নাকি স্লট বুক করে এখানে ভ্যাকসিন নিতে আসছেন ৷ অথচ আমাদের মতো স্থানীয়দের ভ্যাকসিন মিলছে না ৷’’

আরও পড়ুন : Corona Update India : দেশে দৈনিক সংক্রমণ 43 হাজার, কেরালা একাই তিরিশ

হরিশ্চন্দ্রপুর 1নং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও ভ্যাকসিনেশনের ব্লক নোডাল অফিসার অমলকৃষ্ণ মণ্ডল জানাচ্ছেন, “আমাদের কাছে ভ্যাকসিনের কোনও অভাব নেই ৷ আজও সাড়ে আট হাজার ডোজ ভ্যাকসিন ঢোকার কথা রয়েছে ৷ গোটা ব্লকে আটটি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার করা হয়েছে ৷ সেখানে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ দেওয়া হচ্ছে ৷ কিন্তু, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে ৷ অনলাইনে কোনও সমস্যা হলে আমরা কিছু করতে পারব না ৷ জেলাশাসক কিংবা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশের বাইরে গিয়ে আমরা কিছুই করতে পারব না ৷’’

আরও পড়ুন : Kamarhati : কামারহাটিতে ডায়রিয়া পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

মালদা, 9 সেপ্টেম্বর : নিয়মের জাঁতাকলে কাজে যেতে পারছেন না মালদার পরিযায়ী শ্রমিকরা ৷ মোবাইল অ্যাপ অর্থাৎ কো-উইনে করোনা ভ্যাকসিনের স্লট বুকিং করতে পারছেন না তাঁরা ৷ এদিকে ঘরে জমানো টাকা ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসছে । ভিনরাজ্যে যেসব সংস্থায় তাঁরা কাজ করতেন, সেখানে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে । নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেখানে না যেতে পারলে কাজ হারাতে হবে ৷ এই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব কাজে ফিরতে চাইছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা ৷ কিন্তু, বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভ্যাকসিনেশন ৷ দু’টি ডোজ না নেওয়া থাকলে একদিকে যেমন বিমানের টিকিট পাওয়া যাবে না ৷ অন্যদিকে, কর্মস্থলে কাজ পাওয়া যাবে না ৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের এই সমস্যা ধরা পড়েছে বিহার সংলগ্ন হরিশ্চন্দ্রপুরে ৷ সেখানকার স্বাস্থ্যকর্তা জানাচ্ছেন, তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাপের মাধ্যমেই সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে।

মালদা জেলার 15টি ব্লকের বহু মানুষ ভিনরাজ্যে কাজ করতে যান ৷ তাঁদের বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক ৷ নেই স্মার্ট ফোন ৷ সামান্য কয়েকজনের হাতে যদিও বা স্মার্ট ফোন রয়েছে ৷ কিন্তু সেই ফোনের ব্যবহার এবং সেখানে ব্যবহার হওয়া অ্যাপ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না তাঁরা । লেখাপড়াও জানা নেই অনেকের ৷ এদিকে সংসার চালাতে তাঁদের ভিনরাজ্যে কাজ করতে যেতেই হবে ৷ তাই করোনা ভ্যাকসিন পেতে স্থানীয় সাইবার ক্যাফগুলিতে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন তাঁরা ৷ কিন্তু সেখানে গিয়েও সমস্যায় পড়েছেন ওই সব পরিযায়ী শ্রমিক ৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক চেষ্টা করেও ভ্যাকসিনেশনের স্লট বুকিং করতে পারছেন না ৷ কয়েক মিনিটের মধ্যে বুকিংয়ের কোটা শেষ হয়ে যাচ্ছে ৷ কখনও আবার সার্ভার সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে ৷ তাই তাঁরা ভ্যাকসিন নিতে পারছেন না ৷ এদিকে সংসার চালাতে হলে, দ্রুত তাঁদের ভিনরাজ্যে গিয়ে কাজে যোগ দিতে হবে ৷ কী করবেন, বুঝে উঠতে পাচ্ছেন না অসহায় এই পরিযায়ী শ্রমিকরা ৷

আরও পড়ুন : Alipurduar Vaccine : আলিপুরদুয়ারে ভ্যাকসিন না পেয়ে পথ অবরোধ

শুধু পুরুষরা নয়, এই জেলার বহু মহিলা ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে যান ৷ তাঁদের একজন আফসানা খাতুন বলেন, “ভ্যাকসিনের স্লট বুকিং করার জন্য 20 দিন ধরে সাইবার ক্যাফেতে এসে ঘুরে যাচ্ছি ৷ রোজই বুকিং শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ৷ সংসার চালাতে আমাদের ভিনরাজ্যে যেতেই হবে ৷ আমার স্বামী আমেদাবাদে কাপড় ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন ৷ আমিও সেখানে কাজ করি ৷ ভ্যাকসিন না নিলে সেখানে যাওয়া যাচ্ছে না ৷ সরকারের উচিত, আমাদের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা ৷ পশ্চিমবঙ্গে কোনও কাজ নেই ৷ তাই আমাদের বাইরে যেতেই হবে ৷’’

নিয়মের জাঁতাকল মিলছে না ভ্যাকসিন, কাজে ফিরতে পারছেন না পরিযায়ী শ্রমিকরা

হরিশ্চন্দ্রপুরের পরিযায়ী শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, “আমার স্ত্রী ভ্যাকসিন নিতে পেরেছে ৷ কিন্তু, আমি পাচ্ছি না ৷ 16 দিন ধরে বুকিং করতে আসছি ৷ মোবাইলে ওটিপি আসছে ৷ কিন্তু, স্লট বুকিং হচ্ছে না ৷ এদিকে ভ্যাকসিন না নিলে বাইরে কাজেও যেতে পারছি না ৷ শুনছি, বিভিন্ন এলাকা, এমনকি মালদা শহরের মানুষও নাকি স্লট বুক করে এখানে ভ্যাকসিন নিতে আসছেন ৷ অথচ আমাদের মতো স্থানীয়দের ভ্যাকসিন মিলছে না ৷’’

আরও পড়ুন : Corona Update India : দেশে দৈনিক সংক্রমণ 43 হাজার, কেরালা একাই তিরিশ

হরিশ্চন্দ্রপুর 1নং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও ভ্যাকসিনেশনের ব্লক নোডাল অফিসার অমলকৃষ্ণ মণ্ডল জানাচ্ছেন, “আমাদের কাছে ভ্যাকসিনের কোনও অভাব নেই ৷ আজও সাড়ে আট হাজার ডোজ ভ্যাকসিন ঢোকার কথা রয়েছে ৷ গোটা ব্লকে আটটি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার করা হয়েছে ৷ সেখানে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ দেওয়া হচ্ছে ৷ কিন্তু, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে ৷ অনলাইনে কোনও সমস্যা হলে আমরা কিছু করতে পারব না ৷ জেলাশাসক কিংবা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশের বাইরে গিয়ে আমরা কিছুই করতে পারব না ৷’’

আরও পড়ুন : Kamarhati : কামারহাটিতে ডায়রিয়া পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

Last Updated : Sep 9, 2021, 10:24 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.