ETV Bharat / state

চুরি হচ্ছে গাছ, দলের ঝান্ডাধারীদের দিকে আঙুল তৃণমূল বিধায়কের - ওয়াকফ বোর্ডের আমগাছ ,

রতুয়া পাওয়ার হাউস সংলগ্ন এলাকায়৷ 33 বিঘা আয়তনবিশিষ্ট ওই জমিতে রয়েছে ১৩৭টি বড় আমগাছ ৷ বসন্তের শুরুতে গাছগুলিতে মুকুলও চলে এসেছে ৷ কিন্তু স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী গাছগুলি কেটে নিচ্ছে৷ ইতিমধ্যে কেটে নেওয়া হয়েছে 40টি গাছ৷ এনিয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ৷ দলেরই ঝান্ডাধারী কিছু দুষ্কৃতী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের ৷

image
কেটে নেওয়া হচ্ছে ওয়াকফ বোর্ডের আমগাছ
author img

By

Published : Feb 15, 2020, 4:13 PM IST

Updated : Feb 15, 2020, 4:20 PM IST

মালদা , 15 ফেব্রুয়ারি : প্রকাশ্যে ওয়াকফ বোর্ডের 33 বিঘা জমিতে থাকা একাধিক আমগাছ কেটে নিল দুষ্কৃতীরা ৷ এই ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ৷ আবার এনিয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ৷ তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ও CPI(M) -এর দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ তাঁর সেই অভিযোগ খণ্ডন করে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক দাবি করেছেন, দলেরই ঝান্ডাধারী কিছু দুষ্কৃতী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৷ তিনি এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নালিশ জানিয়েছেন ৷ গোটা ঘটনায় ওই এলাকার তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইয়াসিনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য ও হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ৷

মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ওয়াকফ বোর্ডের প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে ৷ তেমনই একটি সম্পত্তি রয়েছে রতুয়া পাওয়ার হাউস সংলগ্ন এলাকায়৷ 33 বিঘা আয়তনবিশিষ্ট ওই জমিতে রয়েছে ১৩৭টি বড় আমগাছ ৷ বসন্তের শুরুতে গাছগুলিতে মুকুলও চলে এসেছে ৷ কিন্তু স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী গাছগুলি কেটে নিচ্ছে৷ ইতিমধ্যে কেটে নেওয়া হয়েছে 40টি গাছ৷ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষজন বিষয়টি রতুয়া থানায় জানায় ৷ তারা BDO কেও জানায় ৷ এরপরেই পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয় ৷ তারপর থেকেই আপাতত গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে ৷ এই ঘটনায় কংগ্রেস ও CPI(M) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেখ আলমগীর রেজা চৌধুরি ৷ তিনি বলেন, “আমি অফিসে থাকাকালীন শুনতে পাই, ওয়াকফ বোর্ডের জমিতে থাকা আমগাছগুলি কাটা হচ্ছে ৷ CPI(M) ও কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে ৷ এই খবর পাওয়ার পরেই আমি দপ্তরের বড়বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করি ৷ এরপর তিনি পুলিশ নিয়ে সেখানে যান ৷ পুলিশ দেখে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় ৷ এই ঘটনা নিয়ে কাল আমি জেলাশাসকের কাছে একটি অভিযোগ জমা করেছি ৷ তাঁর কাছে আবেদন জানিয়েছি, ওয়াকফ সম্পত্তি যেন যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় ৷ এই ঘটনায় কেউ কেউ তৃণমূলকে দোষারোপ করছে৷ এটা ঠিক নয়৷ মানুষের কাছে আমাদের দলকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম ৷ আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে দল করি৷ এসব কাজ আমরা করি না ৷ ”

শুনুন রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেখ আলমগীর রেজা চৌধুরির বক্তব্য

ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য, হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম বর্তমানে কলকাতায় ৷ ফোনে তিনি ETV ভারতকে বলেন, “রতুয়ার তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইয়াসিনের মদতেই ওই গাছগুলি কাটা হয়েছে৷ কংগ্রেস ও CPI(M) এনিয়ে প্রথম অভিযোগ তোলে ৷ ওয়াকফ বোর্ডের ওই জায়গায় যে গাছগুলি রয়েছে তার বাজারমূল্য এক কোটি টাকার বেশি ৷ তার মধ্যে 40টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে ৷ তার দাম প্রায় 28 লাখ টাকা ৷ কাটা গাছগুলি রয়েছে রতুয়ার জাননগরের হাজি আবদুল হক ও বাহারালের উদয় মিশ্রের কাঠমিলে ৷ গতকালই কাটা গাছগুলি মিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এলাকার তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইয়াসিনের নেতৃত্বেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ ”

এই ঘটনায় নিজের দলের লোকজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ৷ তিনি কলকাতা থেকে ETV ভারতকে বলেন, “ CPI(M) কিংবা কংগ্রেস নয়, তৃণমূলের ভেকধারী কিছু দুষ্কৃতীই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ ওটা ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি ৷ সেই বোর্ড রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন ৷ ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান গনি সাহেব তৃণমূলেরই বিধায়ক ৷ তিনি ফোন করে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে কেটে নেওয়া গাছ বাজেয়াপ্ত করতে বলেছেন ৷ এনিয়ে তিনি পুলিশের কাছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে FIR পর্যন্ত করেছেন ৷ আমিও চাই, পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করুক ৷ আমি এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নালিশ জানিয়েছি৷ দল এসব বরদাস্ত করে না ৷”

এদিকে CPI(M)-এর জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “CPI(M) আগেও এসব কাজ কখনও করেনি, এখনও করবে না ৷ তৃণমূলের কেউ ওই গাছ কেটেছে কি না তা বলতে পারব না ৷ তবে এসব কাজ তৃণমূলের আমলেই হয় ৷ এনিয়ে CPI(M) -এর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে ৷”

মালদা , 15 ফেব্রুয়ারি : প্রকাশ্যে ওয়াকফ বোর্ডের 33 বিঘা জমিতে থাকা একাধিক আমগাছ কেটে নিল দুষ্কৃতীরা ৷ এই ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ৷ আবার এনিয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ৷ তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ও CPI(M) -এর দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ তাঁর সেই অভিযোগ খণ্ডন করে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক দাবি করেছেন, দলেরই ঝান্ডাধারী কিছু দুষ্কৃতী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৷ তিনি এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নালিশ জানিয়েছেন ৷ গোটা ঘটনায় ওই এলাকার তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইয়াসিনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য ও হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ৷

মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ওয়াকফ বোর্ডের প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে ৷ তেমনই একটি সম্পত্তি রয়েছে রতুয়া পাওয়ার হাউস সংলগ্ন এলাকায়৷ 33 বিঘা আয়তনবিশিষ্ট ওই জমিতে রয়েছে ১৩৭টি বড় আমগাছ ৷ বসন্তের শুরুতে গাছগুলিতে মুকুলও চলে এসেছে ৷ কিন্তু স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী গাছগুলি কেটে নিচ্ছে৷ ইতিমধ্যে কেটে নেওয়া হয়েছে 40টি গাছ৷ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষজন বিষয়টি রতুয়া থানায় জানায় ৷ তারা BDO কেও জানায় ৷ এরপরেই পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয় ৷ তারপর থেকেই আপাতত গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে ৷ এই ঘটনায় কংগ্রেস ও CPI(M) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেখ আলমগীর রেজা চৌধুরি ৷ তিনি বলেন, “আমি অফিসে থাকাকালীন শুনতে পাই, ওয়াকফ বোর্ডের জমিতে থাকা আমগাছগুলি কাটা হচ্ছে ৷ CPI(M) ও কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে ৷ এই খবর পাওয়ার পরেই আমি দপ্তরের বড়বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করি ৷ এরপর তিনি পুলিশ নিয়ে সেখানে যান ৷ পুলিশ দেখে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় ৷ এই ঘটনা নিয়ে কাল আমি জেলাশাসকের কাছে একটি অভিযোগ জমা করেছি ৷ তাঁর কাছে আবেদন জানিয়েছি, ওয়াকফ সম্পত্তি যেন যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় ৷ এই ঘটনায় কেউ কেউ তৃণমূলকে দোষারোপ করছে৷ এটা ঠিক নয়৷ মানুষের কাছে আমাদের দলকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম ৷ আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে দল করি৷ এসব কাজ আমরা করি না ৷ ”

শুনুন রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেখ আলমগীর রেজা চৌধুরির বক্তব্য

ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য, হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম বর্তমানে কলকাতায় ৷ ফোনে তিনি ETV ভারতকে বলেন, “রতুয়ার তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইয়াসিনের মদতেই ওই গাছগুলি কাটা হয়েছে৷ কংগ্রেস ও CPI(M) এনিয়ে প্রথম অভিযোগ তোলে ৷ ওয়াকফ বোর্ডের ওই জায়গায় যে গাছগুলি রয়েছে তার বাজারমূল্য এক কোটি টাকার বেশি ৷ তার মধ্যে 40টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে ৷ তার দাম প্রায় 28 লাখ টাকা ৷ কাটা গাছগুলি রয়েছে রতুয়ার জাননগরের হাজি আবদুল হক ও বাহারালের উদয় মিশ্রের কাঠমিলে ৷ গতকালই কাটা গাছগুলি মিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এলাকার তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইয়াসিনের নেতৃত্বেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ ”

এই ঘটনায় নিজের দলের লোকজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ৷ তিনি কলকাতা থেকে ETV ভারতকে বলেন, “ CPI(M) কিংবা কংগ্রেস নয়, তৃণমূলের ভেকধারী কিছু দুষ্কৃতীই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ ওটা ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি ৷ সেই বোর্ড রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন ৷ ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান গনি সাহেব তৃণমূলেরই বিধায়ক ৷ তিনি ফোন করে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে কেটে নেওয়া গাছ বাজেয়াপ্ত করতে বলেছেন ৷ এনিয়ে তিনি পুলিশের কাছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে FIR পর্যন্ত করেছেন ৷ আমিও চাই, পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করুক ৷ আমি এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নালিশ জানিয়েছি৷ দল এসব বরদাস্ত করে না ৷”

এদিকে CPI(M)-এর জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “CPI(M) আগেও এসব কাজ কখনও করেনি, এখনও করবে না ৷ তৃণমূলের কেউ ওই গাছ কেটেছে কি না তা বলতে পারব না ৷ তবে এসব কাজ তৃণমূলের আমলেই হয় ৷ এনিয়ে CPI(M) -এর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে ৷”

Last Updated : Feb 15, 2020, 4:20 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.