ETV Bharat / state

Mango Tree Cutting Controversy: মালদায় 14টি ফলন্ত আমগাছ কাটার অনুমতি দিয়ে বিতর্কে রেঞ্জ অফিসার - Mango Tree Cutting Controversy

ভরা মরশুমে কেটে ফেলা হল 14টি ফলন্ত আমগাছ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের মকদুমপুর গ্রামে ৷ এই ঘটনায় স্থানীয় বন দফতরের রেঞ্জারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By

Published : Mar 31, 2023, 10:40 PM IST

4টি ফলন্ত আমগাছ কাটার অনুমতি দিয়ে বিতর্কে রেঞ্জ অফিসার

মালদা, 31 মার্চ: 'মালদার আম', এই শব্দবন্ধের সঙ্গে পরিচিত পুরো দেশ ৷ এমনকী পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশে মালদা জেলার আম খ্যাতি পেয়েছে ৷ প্রতি বছর বিদেশ থেকে এই জেলায় আমের বরাত আসছে ৷ জেলার অর্থনীতি এই ফসলের উপরেই নির্ভর করে ৷ চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া আমচাষের উপযোগী ৷ এবার গাছে আগাম মুকুল এসেছিল ৷ মুকুলের পরিমাণও ভালো ছিল ৷ এই মুহূর্তে প্রায় সব গাছেই আমের গুটি ধরেছে ৷ সেই অবস্থায় 14টি ফলন্ত আমগাছ কেটে ফেলা মানতে পারছেন না কেউই ৷ যদিও জেলা বনাধিকারিক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনওভাবেই ফলন্ত আমগাছ কাটা যায় না ৷ এনিয়ে পরিবেশপ্রেমীদের সঙ্গে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষজনও ৷ ঘটনাটি চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের মকদুমপুর গ্রামের ৷

জানা গিয়েছে, আমবাগানটির মালিক জনৈক বাপ্পা মাস্টার ৷ অনেক চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি ৷ তাই কীভাবে তিনি ফলন্ত গাছ কাটার অনুমতি পেলেন, তা জানা যায়নি ৷ গাছের ব্যবসায়ী আসরাফুল শেখ সাফ বলেন, "বন দফতরের চাঁচল রেঞ্জ আমাদের গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে ৷ সরকারি অনুমতি নিয়ে আমরা গাছ কাটছি ৷ সেই কাগজ আমার কাছেই রয়েছে ৷ 14টা আমগাছ কাটছি ৷ গাছে ফল রয়েছে, সবাই দেখছে ৷ আমাকে এসব নিয়ে প্রশ্ন করে লাভ নেই ৷ বন দফতর থেকে আমি গাছ কাটার অনুমতি পেয়েছি, কাটছি ৷ প্রায় দেড় লাখে গাছগুলো কিনেছি ৷ গাছে মুকুল বা ফল থাকা গাছ কাটার অনুমতি কেন দেওয়া হল, সেটা বন দফতর বলবে ৷ আমি নই ৷"

আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কেন ফলন্ত আমগাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হল? প্রশ্ন শুনে প্রথমে পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বন দফতরের চাঁচল রেঞ্জের অফিসার মণিন্দ্রনাথ কর্মকার ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি বলেন, "আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছি ৷ সরকারি নিয়ম মেনেই সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ ওই গাছগুলোতে ফল নেই ৷" যদিও জেলা বনাধিকারিক সিদ্ধার্থ বি সাফ জানান, মুকুল বা ফল থাকা অবস্থায় কোনও গাছ কাটা যায় না ৷ তা সম্পূর্ণ বেআইনি ৷ আইন অনুযায়ী এসব গাছ কাটার অনুমতিও দেওয়া যায় না ৷ চাঁচলে কী হয়েছে, খবর নিচ্ছি ৷

আরও পড়ুন: স্বাধীনতার 75 বছর পূর্তিতে 75 রকমের আম বিদেশে পাঠাবে বাংলা

এলাকার বাসিন্দা তথা পরিবেশপ্রেমী হিসাবে পরিচিত, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের চাঁচল শাখার সম্পাদক নীহাররঞ্জন দাসের বক্তব্য, আমরা সবসময়ই গাছ কাটার বিরোধী ৷ আমরা গাছ কাটা বন্ধ করতে সচেষ্ট রয়েছি ৷ কোথাও গাছ কাটার খবর পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের দ্বারস্থ হই ৷ বর্তমানে যেভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তাতে বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছে ৷ অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভোগেন ৷ ফলন্ত গাছ কাটতে অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ার বন দফতরের নেই ৷ তারপরেও কীভাবে এতগুলো গাছ কাটা চলছে, বোঝা যাচ্ছে না ৷ বিষয়টি নিয়ে আজ রাতেই আমি সংগঠনের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব ৷ এভাবে নির্বিচারে গাছ কাটা হলে মালদার আম তার সুনাম হারাবে ৷

4টি ফলন্ত আমগাছ কাটার অনুমতি দিয়ে বিতর্কে রেঞ্জ অফিসার

মালদা, 31 মার্চ: 'মালদার আম', এই শব্দবন্ধের সঙ্গে পরিচিত পুরো দেশ ৷ এমনকী পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশে মালদা জেলার আম খ্যাতি পেয়েছে ৷ প্রতি বছর বিদেশ থেকে এই জেলায় আমের বরাত আসছে ৷ জেলার অর্থনীতি এই ফসলের উপরেই নির্ভর করে ৷ চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া আমচাষের উপযোগী ৷ এবার গাছে আগাম মুকুল এসেছিল ৷ মুকুলের পরিমাণও ভালো ছিল ৷ এই মুহূর্তে প্রায় সব গাছেই আমের গুটি ধরেছে ৷ সেই অবস্থায় 14টি ফলন্ত আমগাছ কেটে ফেলা মানতে পারছেন না কেউই ৷ যদিও জেলা বনাধিকারিক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনওভাবেই ফলন্ত আমগাছ কাটা যায় না ৷ এনিয়ে পরিবেশপ্রেমীদের সঙ্গে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষজনও ৷ ঘটনাটি চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের মকদুমপুর গ্রামের ৷

জানা গিয়েছে, আমবাগানটির মালিক জনৈক বাপ্পা মাস্টার ৷ অনেক চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি ৷ তাই কীভাবে তিনি ফলন্ত গাছ কাটার অনুমতি পেলেন, তা জানা যায়নি ৷ গাছের ব্যবসায়ী আসরাফুল শেখ সাফ বলেন, "বন দফতরের চাঁচল রেঞ্জ আমাদের গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে ৷ সরকারি অনুমতি নিয়ে আমরা গাছ কাটছি ৷ সেই কাগজ আমার কাছেই রয়েছে ৷ 14টা আমগাছ কাটছি ৷ গাছে ফল রয়েছে, সবাই দেখছে ৷ আমাকে এসব নিয়ে প্রশ্ন করে লাভ নেই ৷ বন দফতর থেকে আমি গাছ কাটার অনুমতি পেয়েছি, কাটছি ৷ প্রায় দেড় লাখে গাছগুলো কিনেছি ৷ গাছে মুকুল বা ফল থাকা গাছ কাটার অনুমতি কেন দেওয়া হল, সেটা বন দফতর বলবে ৷ আমি নই ৷"

আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কেন ফলন্ত আমগাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হল? প্রশ্ন শুনে প্রথমে পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বন দফতরের চাঁচল রেঞ্জের অফিসার মণিন্দ্রনাথ কর্মকার ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি বলেন, "আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছি ৷ সরকারি নিয়ম মেনেই সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ ওই গাছগুলোতে ফল নেই ৷" যদিও জেলা বনাধিকারিক সিদ্ধার্থ বি সাফ জানান, মুকুল বা ফল থাকা অবস্থায় কোনও গাছ কাটা যায় না ৷ তা সম্পূর্ণ বেআইনি ৷ আইন অনুযায়ী এসব গাছ কাটার অনুমতিও দেওয়া যায় না ৷ চাঁচলে কী হয়েছে, খবর নিচ্ছি ৷

আরও পড়ুন: স্বাধীনতার 75 বছর পূর্তিতে 75 রকমের আম বিদেশে পাঠাবে বাংলা

এলাকার বাসিন্দা তথা পরিবেশপ্রেমী হিসাবে পরিচিত, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের চাঁচল শাখার সম্পাদক নীহাররঞ্জন দাসের বক্তব্য, আমরা সবসময়ই গাছ কাটার বিরোধী ৷ আমরা গাছ কাটা বন্ধ করতে সচেষ্ট রয়েছি ৷ কোথাও গাছ কাটার খবর পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের দ্বারস্থ হই ৷ বর্তমানে যেভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তাতে বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছে ৷ অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভোগেন ৷ ফলন্ত গাছ কাটতে অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ার বন দফতরের নেই ৷ তারপরেও কীভাবে এতগুলো গাছ কাটা চলছে, বোঝা যাচ্ছে না ৷ বিষয়টি নিয়ে আজ রাতেই আমি সংগঠনের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব ৷ এভাবে নির্বিচারে গাছ কাটা হলে মালদার আম তার সুনাম হারাবে ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.