ETV Bharat / state

অসমের শরণার্থীদের বাংলায় বসবাসে সাহায্য করা হবে কি না মুখ্যমন্ত্রীই বলবেন : গৌতম দেব

আজ জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে আয়োজিত NRC বিরোধী সভায় অংশ নিতে মালদায় আসেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব ৷ NRC ও CAB-র প্রসঙ্গে কথা বলেন ।

gautam dev
gautam dev
author img

By

Published : Dec 13, 2019, 4:13 AM IST

Updated : Dec 13, 2019, 3:05 PM IST

মালদা, 13 ডিসেম্বর : NRC ও CAB-র বিরোধিতা করলেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে নাম না থাকা অসমবাসীকে বাংলায় আশ্রয় দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে বিশেষ কিছু বললেন না পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব ৷ গতকাল জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে আয়োজিত NRC বিরোধী সভায় অংশ নিতে মালদায় আসেন তিনি ৷ তিনি ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর, গৌরচন্দ্র মণ্ডল, সাবিত্রী মিত্র, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি সহ জেলা তৃণমূলের অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা ৷ এদিনের সভায় কয়েক হাজার তৃণমূলকর্মী অংশগ্রহণ করেন ৷

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও নাগরিকপঞ্জি প্রসঙ্গে গৌতম দেব বলেন, "কেন্দ্র হিন্দুদের সমর্থনে কথা বলে ৷ অথচ অসমে 14 লক্ষ হিন্দুকে দেশছাড়া করার পরিকল্পনা করেছে তারা ৷ ওই রাজ্যের সরকারও সেখানে NRC প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে ৷ কিন্তু এই রাজ্যে আমরা তা হতে দেব না ৷ এই মুহূর্তে অসম থেকে যাতায়াতকারী ট্রেনগুলিকে বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে ৷''

তাঁর মত, অসম ও ত্রিপুরার মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে ৷ গত 40 বছরের মধ্যে বর্তমান সময়ে দেশে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি ৷ দেশে নতুন করে শিল্পস্থাপন হচ্ছে না ৷ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ৷ অনেক সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ৷ GDP-র হার লজ্জাজনক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে ৷ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ৷ এসব থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই BJP সরকার এখন NRC নিয়ে পড়েছে ৷ মানুষ এদের ক্ষমা করবেন না ৷

দেখে নিন কী বললেন গৌতম দেব

সভা শেষে সাংবাদিকদের গৌতমবাবু বলেন, "অসমের কিছু জায়গায় সেনা ও আধাসেনা নেমেছে ৷ কাশ্মীর থেকে আরও সেনা সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ সেটাও আমরা শুনতে পাচ্ছি ৷ আমি আগামী 14 তারিখ অসম সীমান্তের আলিপুরদুয়ারে যাচ্ছি ৷ মানুষ এখন চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে ৷ অসম এই রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত ৷ জনগণ পুরোপুরি বিপর্যস্ত ৷ আমরা বাংলা সীমান্ত পেরিয়ে অসমে কিছু করতে পারব না তা ঠিক ৷ তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, অসম থেকে এই রাজ্যে আসা প্রত্যেক মানুষকে সাহায্য করা হবে ৷ অসমের মানুষের সমস্যা আমরা বুঝতে পারছি ৷ আমি নিজেও একজন উদ্বাস্তু ৷ জানি, উদ্বাস্তুদের কতটা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় ৷''

গৌতম দেবের কথায়, এই রাজ্যে শরণার্থীদের যথাসাধ্য সহায়তা করা হবে ৷ তবে অসমের উদ্বাস্তুদের বাংলায় বসবাসে সহায়তা করার প্রশ্নটি নীতিগত ৷ এই প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারবেন না ৷ মুখ্যমন্ত্রীই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন ৷ তিনি ইতিমধ্যেই অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন ৷ তবে অসম আর বাংলার বিষয়টি আলাদা ৷ অসম সরকার এই আইনের পক্ষে, আর মুখ্যমন্ত্রী এর বিপক্ষে ৷ রাজ্যের প্রতিটি মানুষকে নিয়ে আমরা NRC-র বিরুদ্ধে নামব ৷ CAB এবং NRC মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ ৷"

মালদা, 13 ডিসেম্বর : NRC ও CAB-র বিরোধিতা করলেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে নাম না থাকা অসমবাসীকে বাংলায় আশ্রয় দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে বিশেষ কিছু বললেন না পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব ৷ গতকাল জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে আয়োজিত NRC বিরোধী সভায় অংশ নিতে মালদায় আসেন তিনি ৷ তিনি ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর, গৌরচন্দ্র মণ্ডল, সাবিত্রী মিত্র, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি সহ জেলা তৃণমূলের অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা ৷ এদিনের সভায় কয়েক হাজার তৃণমূলকর্মী অংশগ্রহণ করেন ৷

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও নাগরিকপঞ্জি প্রসঙ্গে গৌতম দেব বলেন, "কেন্দ্র হিন্দুদের সমর্থনে কথা বলে ৷ অথচ অসমে 14 লক্ষ হিন্দুকে দেশছাড়া করার পরিকল্পনা করেছে তারা ৷ ওই রাজ্যের সরকারও সেখানে NRC প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে ৷ কিন্তু এই রাজ্যে আমরা তা হতে দেব না ৷ এই মুহূর্তে অসম থেকে যাতায়াতকারী ট্রেনগুলিকে বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে ৷''

তাঁর মত, অসম ও ত্রিপুরার মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে ৷ গত 40 বছরের মধ্যে বর্তমান সময়ে দেশে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি ৷ দেশে নতুন করে শিল্পস্থাপন হচ্ছে না ৷ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ৷ অনেক সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ৷ GDP-র হার লজ্জাজনক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে ৷ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ৷ এসব থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই BJP সরকার এখন NRC নিয়ে পড়েছে ৷ মানুষ এদের ক্ষমা করবেন না ৷

দেখে নিন কী বললেন গৌতম দেব

সভা শেষে সাংবাদিকদের গৌতমবাবু বলেন, "অসমের কিছু জায়গায় সেনা ও আধাসেনা নেমেছে ৷ কাশ্মীর থেকে আরও সেনা সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ সেটাও আমরা শুনতে পাচ্ছি ৷ আমি আগামী 14 তারিখ অসম সীমান্তের আলিপুরদুয়ারে যাচ্ছি ৷ মানুষ এখন চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে ৷ অসম এই রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত ৷ জনগণ পুরোপুরি বিপর্যস্ত ৷ আমরা বাংলা সীমান্ত পেরিয়ে অসমে কিছু করতে পারব না তা ঠিক ৷ তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, অসম থেকে এই রাজ্যে আসা প্রত্যেক মানুষকে সাহায্য করা হবে ৷ অসমের মানুষের সমস্যা আমরা বুঝতে পারছি ৷ আমি নিজেও একজন উদ্বাস্তু ৷ জানি, উদ্বাস্তুদের কতটা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় ৷''

গৌতম দেবের কথায়, এই রাজ্যে শরণার্থীদের যথাসাধ্য সহায়তা করা হবে ৷ তবে অসমের উদ্বাস্তুদের বাংলায় বসবাসে সহায়তা করার প্রশ্নটি নীতিগত ৷ এই প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারবেন না ৷ মুখ্যমন্ত্রীই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন ৷ তিনি ইতিমধ্যেই অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন ৷ তবে অসম আর বাংলার বিষয়টি আলাদা ৷ অসম সরকার এই আইনের পক্ষে, আর মুখ্যমন্ত্রী এর বিপক্ষে ৷ রাজ্যের প্রতিটি মানুষকে নিয়ে আমরা NRC-র বিরুদ্ধে নামব ৷ CAB এবং NRC মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ ৷"

Intro:মালদা, ১২ ডিসেম্বর: এনআরসি আর সিএবি-র বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে নাম না থাকা অসমবাসীকে বাংলায় আশ্রয় দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে বিশেষ কিছু বললেন না উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব৷ আজ জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরের সাইলেন্স জোনে আয়োজিত এনআরসি বিরোধী সভায় অংশ নিতে মালদায় আসেন তিনি৷ তিনি ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর, গৌরচন্দ্র মণ্ডল, সাবিত্রী মিত্র, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি সহ জেলা তৃণমূলে অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা৷ এদিনের সভায় কয়েক হাজার তৃণমূলকর্মীরও অংশগ্রহণ করে৷ Body:নিজের বক্তব্যে এনআরসি ও সিএবি ইশ্যুতে কেন্দ্রকে কার্যত তুলোধনা করেন গৌতমবাবু৷ তিনি বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার হিন্দুদের সমর্থনে কথা বলে৷ অথচ অসমে ১৪ লক্ষ হিন্দুকে দেশছাড়া করার পরিকল্পনা করেছে তারা৷ ওই রাজ্যের সরকারও সেখানে এনআরসি লাগু করার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু এই রাজ্যে আমরা তা হতে দেব না৷ এই মুহূর্তে অসম থেকে যাতায়াতকারী ট্রেনগুলিকে বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে৷ অসম ও ত্রিপুরার মানুষ কেন্দ্রের এই কালা কানুনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে৷ গত ৪০ বছরের মধ্যে বর্তমান সময়ে দেশে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি৷ দেশে নতুন করে শিল্পস্থাপন হচ্ছে না৷ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে৷ অনেক সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে৷ জিডিপির হার লজ্জাজনক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে৷ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হার এই সময়ে সবচেয়ে বেশি৷ এসব থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই বিজেপি সরকার এখন এনআরসি ইশ্যু নিয়ে পড়েছে৷ মানুষ এদের ক্ষমা করবে না৷Conclusion:সভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে গৌতমবাবু বলেন, “অসমের কিছু জায়গায় সেনা ও আধাসেনা নেমেছে৷ কাশ্মীর থেকে আরও সেনা সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ সেটাও আমরা শুনতে পাচ্ছি৷ আমি আগামী ১৪ তারিখ অসম সীমান্তের আলিপুরদুয়ারে যাচ্ছি৷ মানুষ এখন চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে৷ অসম এই রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত৷ এখন বিয়ের মরশুম চলছে৷ অসম থেকে বিয়ের দলকেও এখানে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ জনগণ পুরোপুরি বিপর্যস্ত৷ আমরা বাংলা সীমান্ত পেরিয়ে অসমে কিছু করতে পারব না তা ঠিক৷ তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, অসম থেকে এই রাজ্যে আসা প্রত্যেক মানুষকে সহায়তা করা হবে৷ এর আগেও সেই সহায়তা দেওয়া হয়েছে৷ অসমের মানুষের সমস্যা আমরা বুঝতে পারছি৷ আমি নিজেও একজন উদ্বাস্তু৷ জানি, উদ্বাস্তুদের কতটা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়৷ তবে এই রাজ্যে তাঁদের যথাসাধ্য সহায়তা করা হবে৷ তবে অসমের উদ্বাস্তুদের বাংলায় বসবাসে সহায়তা করার প্রশ্নটি নীতিগত৷ এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারব না৷ মুখ্যমন্ত্রীই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন৷ তিনি ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷ তবে অসম আর বাংলার বিষয়টি আলাদা৷ অসম সরকার এই আইনের পক্ষে, আর মুখ্যমন্ত্রী এর বিপক্ষে৷ রাজ্যের প্রতিটি মানুষকে নিয়ে আমরা এনআরসির বিরুদ্ধে নামব৷ সিএবি এবং এনআরসি মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ৷”
Last Updated : Dec 13, 2019, 3:05 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.