মালদা, 30 এপ্রিল: নেশার আসরে বিরক্ত করছিল একটি কুকুর ৷ একজনকে নাকি কামড়েও দেয় ৷ আর সেই কারণেই ওই নেশার আসরে থাকা এক যুবক ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে মেরে ফেলে কুকরটিকে ৷ এমনকী সেই নৃশংস ঘটনার দৃশ্য ভিডিয়ো করে সোশাল মিডিয়ায় আপলোডও করে ৷ এরপর মালদা অ্যানিমেল কেয়ার ইউনিটের সদস্যরা ওই যুবককে খুঁজে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ৷ তার বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে ৷ ঘটনাটি পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজারপাড়া এলাকায় ৷
মালদা অ্যানিমেল কেয়ার ইউনিটের সভাপতি স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ঘটনাটি ঘটেছিল গত পরশু রাতে ৷ সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত সেবাশ্রম সংঘের পাশে বাজারপাড়ায় একটি পথকুকুরকে খুন করে এক যুবক ৷ এরপর কুকুরটিকে টানতে টানতে মহানন্দা নদীতে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয় ওই যুবক ৷ সেই নৃশংস দৃশ্যের ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে দেয় ৷ এরপরই আমরা ওই যুবককে খুঁজে বের করি ৷ খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে প্রায়ই নেশা করে ৷ নেশার আসর চলাকালীন কুকুরটি তাদের বিরক্ত করত ৷ সেই কারণেই ওই যুবক কুকুরটিকে নৃশংসভাবে মেরে ফেলে ৷"
তিনি আরও বলেন, "অকারণে পথকুকুরদের মেরে ফেলা মালদা জেলায় একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ আজ ওই যুবকের সন্ধানে বাজারপাড়ায় গেলে তার সঙ্গীরা আমাদের হেনস্থা করে ৷ যুবকটি প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে কুকুরটি পাগল হয়ে গিয়েছিল ৷ তার বন্ধুকে কামড়েছে বললেও তার প্রমাণ দেখাতে পারেনি ৷ আজ আমরা যুবকটিকে মালদা থানায় নিয়ে এসে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি ৷ আমরা চাই এই যুবকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক ৷ তা না হলে মানুষ সচেতন হবে না ৷"
অভিযুক্ত যুবক জয়কান্ত অধিকারী পেশায় কাঠমিস্ত্রি ৷ তার সাফাই, "কুকুরটি কয়েকদিন ধরেই পাগলের মতো আচরণ করছিল ৷ এলাকার কয়েকজনকে কামড়েছে ৷ মঙ্গলবার আমার এক বন্ধুকেও কামড়ায় ৷ এলাকার লোকজন কুকুরটিকে মেরে ফেলার জন্য আমাকে বলে ৷ সেকারণেই আমি কুকুরটিকে মেরেছি ৷ আমি জানতাম না কুকুর মারা আইনি অপরাধ ৷ আর এমন কাজ করব না ৷"
এদিকে মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত ওই যুবককে আটক করা হয়েছে ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে ৷