মালদা, 2 নভেম্বর: একটু ঠান্ডা পড়লেই ডেঙ্গির (Dengue) সংক্রমণ কমে যাবে ৷ এখন তাই শীত পড়ার অপেক্ষাতেই রয়েছে মালদা জেলা স্বাস্থ্য দফতর (Health Department) ৷ দিনদশেক আগে ডেঙ্গিতে জেলায় প্রথম মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মশা মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ তবে এখনও প্রতিদিনই মালদা মেডিক্যালে ডেঙ্গি আক্রান্তরা ভর্তি হচ্ছেন ৷ তবে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকে ৷
দিনদশেক আগে জেলায় প্রথম ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছিল কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের এক বাসিন্দার ৷ সেই ঘটনার পর জেলার শহর ও গ্রামগুলিতে ডেঙ্গি মোকাবিলায় ময়দানে নেমে পড়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ এখনও তাঁরা আক্রান্ত ব্লকগুলিতে নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন (Dengue Situation in Malda) ৷
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পাঁপড়ি নায়েক বলেন, "জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত জেলায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা 686 ৷ কিন্তু গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন 105 জন ৷ অর্থাৎ বর্তমানে ডেঙ্গির প্রকোপ একটু বেশি ৷ সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকে ৷ ওই ব্লকেই 70 জনের বেশি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৷ বাকি ব্লকগুলিতে অল্প কিছু আক্রান্তের সন্ধান মিলছে ৷ সেখানে বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ বিডিও এবং বিএমওএইচও নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন ৷ জেলা থেকেও টিম যাচ্ছে ৷ সেখানে কিছু জায়গায় জমা জলে এডিস ইজিপ্টার লার্ভাও পাওয়া গিয়েছে ৷ স্থানীয় স্তরে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ায় আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত ওই ব্লক ডেঙ্গিমুক্ত হবে ৷"
এ দিকে মালদা মেডিক্যালের সহকারী অধ্যক্ষ তথা হাসপাতাল সুপার পুরঞ্জয় সাহা বলেন, "বছরের এই সময় প্রতিবারই ডেঙ্গির আক্রমণ বাড়ে ৷ এটা শুধু মালদা নয়, রাজ্যের সব জেলা, এমনকী দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও একই ছবি ৷ তাপমাত্রা কমলে মশার ঘনত্ব যেমন কমবে, তেমনই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও কমে যাবে (Health department waits for dropping of temperature to resist Dengue) ৷ আমাদের হাসপাতালে গত কয়েক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের অ্যাডমিশন কেস বেড়েছে ৷ এটা ভালো লক্ষণ ৷ মানুষ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসছে ৷ চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে রোগীরা বাড়িও ফিরে যাচ্ছেন ৷"
আরও পড়ুন: বিনা অস্ত্রোপচারে বালিকার খাদ্যনালী থেকে 5 টাকার কয়েন বের করলেন চিকিৎসকরা
তিনি আরও বলেন, "মঙ্গলবার এই হাসপাতালে 14 জন ডেঙ্গি আক্রান্ত ভর্তি হয়েছেন ৷ পাঁচটি বাচ্চাও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে ৷ তবে এই মুহূর্তে ডেঙ্গি নিয়ে বিশেষ বিভাগ চালুর কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই ৷ প্রয়োজনে তা নিয়ে ভাবা হবে ৷ যেমন করোনার সময় হয়েছিল ৷ ডেঙ্গি করোনার মতো সংক্রমিত রোগ নয় ৷ এটা মশাবাহিত রোগ ৷ তাই ডেঙ্গি আক্রান্তদের মশারির নীচে রাখা হয়েছে ৷ বেডের সংখ্যা চাহিদা অনুযায়ী বাড়ানো হবে ৷ দিন দশেক আগে ডেঙ্গি আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ তবে ওই রোগীর পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল ৷ বর্তমানে কালিয়াচকের তিনটি ব্লক, ইংরেজবাজার, মানিকচক ও পুরাতন মালদা এলাকা থেকেই বেশি ডেঙ্গির রোগী আসছেন ৷"