ETV Bharat / state

Malda News: হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে জামিন জাল নোটের মামলায় ‘নিরাপরাধ’ ব্যক্তির

author img

By

Published : Dec 23, 2022, 10:50 PM IST

Updated : Dec 23, 2022, 10:57 PM IST

ইটিভি ভারতে প্রকাশিত খবরের জের, জামিন পেলেন জাল নোট মামলার 'নিরাপদ' মেরাজুল হক (Court Order) ৷ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে জামিন দিয়েছে মালদা জেলা আদালত ৷

Malda Incident
জামিন পেলেন জাল নোট মামলার 'নিরাপদ' মেরাজুল হক
জামিন জাল নোট মামলায় ‘নিরাপরাধ’ ব্যক্তির

মালদা, 23 ডিসেম্বর: অবশেষে জামিন পেলেন জাল নোট মামলায় ‘নিরাপরাধ’ মেরাজুল হক ৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার তাঁকে জামিন দিয়েছে মালদা জেলা আদালত (Malda District Court) ৷ ইতিমধ্যেই পুলিশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন মেরাজুলের বাবা নুরুল হক ৷

2020 সালের 29 জানুয়ারি কালিয়াচক থানায় 10 লক্ষ টাকার জাল নোটের মামলা রুজু হয় (কেস নম্বর 88 of 2020) ৷ ওই মামলায় ধৃত মেরাজুল হকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 489বি, 489সি ও 120বি ধারায় মামলা রুজু করেছিল কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ মেরাজুল হককে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয় ৷ দু’বছরের বেশি সময় ধরে তিনি সংশোধনাগারে থাকেন ৷ মুক্তির জন্য কিছুদিন আগে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান মেরাজুলের বাবা ৷ তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত শুরু হয়েছিল ৷ সেই তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা পড়েছে ৷

আরও পড়ুন: লক্ষ টাকার জালনোট-সহ তিন কারবারীকে গ্রেফতার এসটিএফের

এই রিপের্টের ভিত্তিতে দু’দিন আগে হাইকোর্টের বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তা ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশিকা জারি করে ৷ নির্দেশিকায় বিচারপতিরা জানান, এই ঘটনায় এক অভিযুক্ত শংকর মাহাতোর হেফাজত থেকে জাল নোট উদ্ধার হয়েছিল ৷ কিন্তু মামলার তদন্তকারী অফিসার, এসআই সিরাজুদ্দিন সরকার অভিযুক্ত শংকরের মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ৷ পরবর্তীকালে এসআই পবিত্র মাহাতোও অভিযুক্ত শংকরকে আড়াল করার চেষ্টা করেন ৷ সবচেয়ে বড় বিষয়, এই আবেদনের অনুমোদন দিয়েছিলেন কালিয়াচক থানার তৎকালীন আইসি ৷ পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করা হলে মূল অভিযুক্ত শংকর মাহাতোর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল ৷

এই মামলায় মেরাজুলের হেফাজত থেকে কোনও জাল নোট উদ্ধার হয়নি ৷ তাই 10 হাজার টাকার বিনিময়ে আবেদনকারীকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ ৷ একইসঙ্গে বিচারপতিরা জানান, পুলিশের এই কাজে আবেদনকারী দু’বছরের বেশি সময় জেলবন্দি রয়েছেন ৷ এসআই সিরাজুদ্দিন সরকার, এসআই পবিত্র মাহাতো এবং তৎকালীন কালিয়াচক থানার আইসির বিরুদ্ধে এই মামলার বিচার চলাকালীন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা (সাসপেনশন) নেওয়ার জন্য ডিজি ও আইজিকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ ৷ এই খবর একমাত্র ইটিভি ভারতেই প্রকাশিত হয় ৷

এদিন মালদা জেলা আদালতে উপস্থিত মেরাজুলের বাবা নুরুল হক বলেন, "আমার ছেলে অশোক প্রধানের অধীনে বালির কাজ করত ৷ একদিন অশোক প্রধানের স্ত্রী তাকে দোকান থেকে চাল কিনে আনতে বলেন ৷ ছেলে চাল কিনতে দোকানে গেলে পুলিশ সেখান থেকে জাল নোট কারবারের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে ৷ আমার ছেলে জাল নোট কারবারের সঙ্গে জড়িত নয় ৷ ওর তিন বন্ধু এই কাজ করত ৷ পুলিশ ওদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওদের ছেড়ে দেয় আর চার্জশিটে আমার ছেলের নাম লিখে দেয় ৷ ওরা মাস তিনেক পর ছাড়া পেয়ে যায় ৷ আর আমার ছেলে দোষ না করেও জেলে চলে যায় ৷ আমরা এ নিয়ে হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করি ৷ শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট আমার ছেলেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় ৷ সেই সঙ্গে তিন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে ৷ হাইকোর্ট প্রধান তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বলেছে ৷ তবে ওরা সব পালিয়ে গিয়েছে ৷"

জামিন জাল নোট মামলায় ‘নিরাপরাধ’ ব্যক্তির

মালদা, 23 ডিসেম্বর: অবশেষে জামিন পেলেন জাল নোট মামলায় ‘নিরাপরাধ’ মেরাজুল হক ৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার তাঁকে জামিন দিয়েছে মালদা জেলা আদালত (Malda District Court) ৷ ইতিমধ্যেই পুলিশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন মেরাজুলের বাবা নুরুল হক ৷

2020 সালের 29 জানুয়ারি কালিয়াচক থানায় 10 লক্ষ টাকার জাল নোটের মামলা রুজু হয় (কেস নম্বর 88 of 2020) ৷ ওই মামলায় ধৃত মেরাজুল হকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 489বি, 489সি ও 120বি ধারায় মামলা রুজু করেছিল কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ মেরাজুল হককে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয় ৷ দু’বছরের বেশি সময় ধরে তিনি সংশোধনাগারে থাকেন ৷ মুক্তির জন্য কিছুদিন আগে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান মেরাজুলের বাবা ৷ তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত শুরু হয়েছিল ৷ সেই তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা পড়েছে ৷

আরও পড়ুন: লক্ষ টাকার জালনোট-সহ তিন কারবারীকে গ্রেফতার এসটিএফের

এই রিপের্টের ভিত্তিতে দু’দিন আগে হাইকোর্টের বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তা ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশিকা জারি করে ৷ নির্দেশিকায় বিচারপতিরা জানান, এই ঘটনায় এক অভিযুক্ত শংকর মাহাতোর হেফাজত থেকে জাল নোট উদ্ধার হয়েছিল ৷ কিন্তু মামলার তদন্তকারী অফিসার, এসআই সিরাজুদ্দিন সরকার অভিযুক্ত শংকরের মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ৷ পরবর্তীকালে এসআই পবিত্র মাহাতোও অভিযুক্ত শংকরকে আড়াল করার চেষ্টা করেন ৷ সবচেয়ে বড় বিষয়, এই আবেদনের অনুমোদন দিয়েছিলেন কালিয়াচক থানার তৎকালীন আইসি ৷ পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করা হলে মূল অভিযুক্ত শংকর মাহাতোর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল ৷

এই মামলায় মেরাজুলের হেফাজত থেকে কোনও জাল নোট উদ্ধার হয়নি ৷ তাই 10 হাজার টাকার বিনিময়ে আবেদনকারীকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ ৷ একইসঙ্গে বিচারপতিরা জানান, পুলিশের এই কাজে আবেদনকারী দু’বছরের বেশি সময় জেলবন্দি রয়েছেন ৷ এসআই সিরাজুদ্দিন সরকার, এসআই পবিত্র মাহাতো এবং তৎকালীন কালিয়াচক থানার আইসির বিরুদ্ধে এই মামলার বিচার চলাকালীন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা (সাসপেনশন) নেওয়ার জন্য ডিজি ও আইজিকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ ৷ এই খবর একমাত্র ইটিভি ভারতেই প্রকাশিত হয় ৷

এদিন মালদা জেলা আদালতে উপস্থিত মেরাজুলের বাবা নুরুল হক বলেন, "আমার ছেলে অশোক প্রধানের অধীনে বালির কাজ করত ৷ একদিন অশোক প্রধানের স্ত্রী তাকে দোকান থেকে চাল কিনে আনতে বলেন ৷ ছেলে চাল কিনতে দোকানে গেলে পুলিশ সেখান থেকে জাল নোট কারবারের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে ৷ আমার ছেলে জাল নোট কারবারের সঙ্গে জড়িত নয় ৷ ওর তিন বন্ধু এই কাজ করত ৷ পুলিশ ওদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওদের ছেড়ে দেয় আর চার্জশিটে আমার ছেলের নাম লিখে দেয় ৷ ওরা মাস তিনেক পর ছাড়া পেয়ে যায় ৷ আর আমার ছেলে দোষ না করেও জেলে চলে যায় ৷ আমরা এ নিয়ে হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করি ৷ শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট আমার ছেলেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় ৷ সেই সঙ্গে তিন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে ৷ হাইকোর্ট প্রধান তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বলেছে ৷ তবে ওরা সব পালিয়ে গিয়েছে ৷"

Last Updated : Dec 23, 2022, 10:57 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.