ETV Bharat / state

মালদায় শান্তি ফেরাতে জেলাশাসকের কাছে সর্বদলীয় বৈঠকের আবেদন CPI(M)-র

মালদা জেলায় শান্তি ফেরাতে গতকাল জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে সর্বদলীয় বৈঠকের আবেদন জানাল জেলা বামফ্রন্ট সদস্যদের একটি দল ৷ তাঁদের মতে এই পরিস্থিতে সর্বদলীয় বৈঠক করলে আস্থা ফিরবে সাধারণ মানুষের মনে ৷ তাঁদের অভিযোগ, একদিকে বিল পাশে ভোটদান থেকে নিজেদের বিরত রাখলেন তৃণমূলের কিছু সাংসদ অন্যদিকে তাঁদেরই দলের একাংশ পথে নেমে বিক্ষভের নামে হিংসা ছড়াচ্ছে ৷

মালদা সর্বদলীয় বৈঠক
মালদায় শান্তি ফেরাতে জেলাশাসকের কাছে সর্বদলীয় বৈঠকের আবেদন জানালেন মালদার CPI(M) নেতৃত্বের একাংশ
author img

By

Published : Dec 19, 2019, 11:25 AM IST

মালদা, 19 ডিসেম্বর : মালদা জেলায় শান্তি ফেরাতে, বুধবার, জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে সর্বদলীয় বৈঠকের আবেদন জানাল জেলা বামফ্রন্ট সদস্যদের একটি দল৷ তাঁদের অভিযোগ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের নামে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে রাজ্যে।

মালদায় শান্তি ফেরাতে জেলাশাসকের কাছে সর্বদলীয় বৈঠকের আবেদন জানালেন মালদার CPI(M) নেতৃত্ব

CAA ও NRC-কে ঘিরে বিক্ষোভের জেরে মালদায় যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ন্ত্রন করতে ও জেলায় শান্তি ফেরাতে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে সর্বদলীয় সভার আবেদন জানালেন জেলার বামফ্রন্ট নেতারা৷ এই বিষয়ে বামফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক অম্বর মিত্র বলেন, “সম্প্রতি রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতন, মালদাতেও প্রতিবাদের নামে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে৷ তাই আজ আমরা জেলাশাসকের কাছে সর্বদলীয় সভা ডাকার আবেদন জানাতে এসেছি৷ সেই বৈঠকে জনপ্রতিনিধি ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বদেরও ডাকার দাবি জানাচ্ছি৷ আমাদের মূল দাবি, প্রশাসনকে উদ্যোগী হয়ে অবিলম্বে জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷ এখন যেভাবে প্রতিবাদ হচ্ছে তা গণতান্ত্রিক নয়৷ NRC, CAA ও NPR নিয়ে মানুষের মধ্যে যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে, তার বহিঃপ্রকাশ হোক গণতান্ত্রিক লড়াই ও আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে৷ অতীতে এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন সর্বদলীয় সভা ডেকেছে৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর সংবলিত প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে৷ এবারও তেমনটাই করলেই আস্থা ফিরবে সাধারণ মানুষের মনে৷ রাজ্যের শাসকদলের একাংশ একদিকে CAA ও NPR-এর বিরুদ্ধে পথে নামছে অন্যদিকে শাসকদলেরই কিছু সাংসদ বিল পেশ হওয়ার দিন সংসদে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে নিজেদের বিরত রাখলেন৷ বনগাঁ ও রাজারহাটে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির জন্য জায়গাও দেওয়া হচ্ছে৷ তাই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের কতটা বোঝাপড়া রয়েছে, সেটা মানুষের বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না ৷"

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুকা রোড স্টেশন ৷ ভালুকা রোড স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১৭ জন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করলেও স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল ৷ রেল সূত্রে জানা গিয়েছে যে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা৷ মঙ্গলবার থেকে নতুন করে কোথাও অশান্তির খবর না পাওয়া গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক রয়েছে পুলিশ৷

মালদা, 19 ডিসেম্বর : মালদা জেলায় শান্তি ফেরাতে, বুধবার, জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে সর্বদলীয় বৈঠকের আবেদন জানাল জেলা বামফ্রন্ট সদস্যদের একটি দল৷ তাঁদের অভিযোগ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের নামে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে রাজ্যে।

মালদায় শান্তি ফেরাতে জেলাশাসকের কাছে সর্বদলীয় বৈঠকের আবেদন জানালেন মালদার CPI(M) নেতৃত্ব

CAA ও NRC-কে ঘিরে বিক্ষোভের জেরে মালদায় যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ন্ত্রন করতে ও জেলায় শান্তি ফেরাতে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে সর্বদলীয় সভার আবেদন জানালেন জেলার বামফ্রন্ট নেতারা৷ এই বিষয়ে বামফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক অম্বর মিত্র বলেন, “সম্প্রতি রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতন, মালদাতেও প্রতিবাদের নামে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে৷ তাই আজ আমরা জেলাশাসকের কাছে সর্বদলীয় সভা ডাকার আবেদন জানাতে এসেছি৷ সেই বৈঠকে জনপ্রতিনিধি ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বদেরও ডাকার দাবি জানাচ্ছি৷ আমাদের মূল দাবি, প্রশাসনকে উদ্যোগী হয়ে অবিলম্বে জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷ এখন যেভাবে প্রতিবাদ হচ্ছে তা গণতান্ত্রিক নয়৷ NRC, CAA ও NPR নিয়ে মানুষের মধ্যে যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে, তার বহিঃপ্রকাশ হোক গণতান্ত্রিক লড়াই ও আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে৷ অতীতে এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন সর্বদলীয় সভা ডেকেছে৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর সংবলিত প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে৷ এবারও তেমনটাই করলেই আস্থা ফিরবে সাধারণ মানুষের মনে৷ রাজ্যের শাসকদলের একাংশ একদিকে CAA ও NPR-এর বিরুদ্ধে পথে নামছে অন্যদিকে শাসকদলেরই কিছু সাংসদ বিল পেশ হওয়ার দিন সংসদে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে নিজেদের বিরত রাখলেন৷ বনগাঁ ও রাজারহাটে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির জন্য জায়গাও দেওয়া হচ্ছে৷ তাই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের কতটা বোঝাপড়া রয়েছে, সেটা মানুষের বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না ৷"

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুকা রোড স্টেশন ৷ ভালুকা রোড স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১৭ জন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করলেও স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল ৷ রেল সূত্রে জানা গিয়েছে যে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা৷ মঙ্গলবার থেকে নতুন করে কোথাও অশান্তির খবর না পাওয়া গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক রয়েছে পুলিশ৷

Intro:মালদা, ১৮ ডিসেম্বর : সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরানোর সঙ্গে জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে সর্বদলীয় সভার আবেদন জানাল বামফ্রন্ট৷ সিএএ ইশুতে আজ তৃণমূলকে একহাত নেন জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অম্বর মিত্র৷


Body:         এনআরসি ও সিএএ বিরোধিতায় গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মালদা৷ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার মতো এই জেলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে বিরোধিতার আগুন৷ সেই আগুনে পুরোপুরি বিপর্যস্ত হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুকা রোড স্টেশন৷ যদিও ভালুকা রোড স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১৭ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করে৷ তবে এখনও ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি৷ রেল সূত্রে জানা গেছে, আজ থেকে উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণকে রেলযোগে জোড়ার চেষ্টা চলছে৷ গতকাল থেকে এখনও পর্যন্ত নতুন করে কোথাও অশান্তির খবর না পাওয়া গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সতর্ক রয়েছে৷ বামেদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে জেলার পরিবেশ শান্ত রাখতে প্রশাসনের সর্বদলীয় সভা ডাকা উচিত৷ তার প্রেক্ষিতে আজ জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন বাম নেতারা৷ অম্বরবাবু ছাড়াও সেখানে অংশ নিয়েছিলেন সিপিএম নেতা বিশ্বনাথ ঘোষ ও জামিল ফিরদৌস, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা শ্রীমন্ত মিত্র, আরএসপি নেতা সর্বানন্দ পাণ্ডে ও সিপিআই-এর জেলা সম্পাদক তরুণ দাস৷


Conclusion:         জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করার আগে সংবাদমাধ্যমকে অম্বরবাবু বলেন, “সম্প্রতি রাজ্যের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে মালদাতেও যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তার প্রেক্ষিতে আজ আমরা জেলাশাসকের কাছে সর্বদলীয় সভা ডাকার আবেদন জানাতে এসেছি৷ সেই বৈঠকে জনপ্রতিনিধি ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বদেরও ডাকতে হবে৷ আমাদের মূল দাবি, অবিলম্বে জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷ তার জন্য প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে হবে৷ এখন যেভাবে প্রতিবাদ হচ্ছে তা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হচ্ছে না৷ এনআরসি, সিএএ ও এনপিআর নিয়ে মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে৷ আমরা চাই, গণতান্ত্রিক লড়াই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটুক৷ এই ইশুতে আমরাও পথে নেমেছি৷ অতীতে এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন সর্বদলীয় সভা ডেকেছে৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর সংবলিত প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে৷ এবারও তেমনটাই করা প্রয়োজন৷ তাহলেই সাধারণ মানুষের মনে আস্থা ফিরবে৷ রাজ্যের শাসকদলের একাংশ একদিকে সিএএ ও এনপিআর-এর বিরুদ্ধে পথে নামছে৷ আবার শাসকদলেরই ৮ সাংসদ সিএবি থেকে সিএএ তৈরি হওয়ার দিন সংসদে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত থাকলেন৷ তাই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের কতটা বোঝাপড়া রয়েছে, এই ঘটনা থেকে তা মানুষের বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না৷ বনগাঁ ও রাজারহাটে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির জন্য জায়গা দেওয়া হচ্ছে৷ এনিয়ে গত পরশু বিরোধিতা হয়েছে৷ এখানে এনপিআর-এর মাস্টার ট্রেনারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ সরকারি চিঠি ইশু হচ্ছে৷ আবার আন্দোলনের চাপে বলা হচ্ছে, এখানে এনপিআর বন্ধ৷ তাই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যে বোঝাপড়া নিয়ে আমাদের যেমন সন্দেহ রয়েছে, তেমনই জনগণেরও সন্দেহ রয়েছে৷ রাজ্যের শাসকদল নিজেদের দায়িত্বটাই পালন করছে না৷”
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.