ETV Bharat / state

Malda Congress New Plan: পঞ্চায়েতে ঘুরে দাঁড়াতে প্রাক্তন বিধায়কদের প্রার্থী করার পরিকল্পনা কংগ্রেসের

author img

By

Published : Mar 17, 2023, 7:49 PM IST

সাগরদিঘিতে জয়ের পর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও (Panchayat Elections) ভালো ফল করতে মরিয়া কংগ্রেস ৷ তাই মালদায় প্রাক্তন বিধায়কদের জেলা পরিষদে প্রার্থী করার পরিকল্পনা করেছে তারা ৷ এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি ৷ তবে শীর্ষ নেতৃত্বের সম্মতি মিলেছে বলে খবর ৷

Malda Congress New Plan
Malda Congress New Plan
পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের পরিকল্পনা নিয়ে বললেন দলের নেতা মোত্তাকিন আলম

মালদা, 17 মার্চ: একুশের ভোট পেরিয়েছে দু’বছর ৷ হতাশার কাল কাটিয়ে হারানো মাটি ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় কংগ্রেস ৷ সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয় সেই চেষ্টায় উৎসাহ বাড়িয়েছে ৷ এমন সময় মালদা জেলায় দলকে আরও উজ্জীবিত করতে নতুন ফর্মুলা প্রয়োগ করার চিন্তাভাবনা করছে হাত শিবির (Malda Congress New Plan for Panchayat Elections) ৷ তারা এবার দলের প্রাক্তন বিধায়কদের জেলা পরিষদের আসনগুলি থেকে প্রার্থী করতে চায় (Congress Plans to Field Former MLAs as Candidates) ৷

কংগ্রেসের মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম এই নিয়ে ইটিভি ভারতকে বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের আসনে আমাদের দলের প্রাক্তন বিধায়কদের প্রার্থী করার বিষয়ে আমিই প্রথমে জেলা কমিটিকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম ৷ জেলা কমিটি এনিয়ে সিদ্ধান্ত না নিলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নেপাল মাহাতো এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ৷’’

কিন্তু কেন এই উদ্যোগ ? উত্তরে মোত্তাকিন আলম বলেন, ‘‘প্রাক্তন বিধায়কদের লড়াইয়ের ময়দানে দেখলে দলের কর্মী ছাড়াও প্রার্থীরা অক্সিজেন পাবেন ৷ পরবর্তীতে জেলা কমিটিতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে ৷ তবে এই প্রস্তাব গৃহীত হলে গোটা রাজ্যেই দলের ভালো হবে ৷ একটা কথা বলতে পারি, কংগ্রেস এখন ভালো জায়গায় রয়েছে ৷” তাছাড়া একেকজন বিধায়ককে কয়েকটি করে জেলা পরিষদ আসনের দায়িত্ব দেওয়া হবে ৷ এতে দলের কর্মীরা যেমন উজ্জীবিত হবেন, তেমনই মানুষের কাছেও হার না মানার বার্তা দেওয়া যাবে বলে মনে করছে কংগ্রেস ৷

কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, প্রাক্তন বিধায়কদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ময়দানে নামানোর কৌশলে সবুজ সংকেত মিলেছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীরও (Adhir Ranjan Chowdhury) ৷ অবশ্য এনিয়ে এখনই প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে চাইছেন না ৷ তবে এই ফর্মুলায় গনি গড়ে হাত শিবির ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা, তা সময় বলবে ৷

তবে শুধু প্রাক্তন বিধায়কদের ময়দানে নামিয়েই চুপ করে থাকতে চায় না কংগ্রেসন ৷ একই সঙ্গে মানুষের সমর্থন কাছে টানার পরিকল্পনাও করছে তারা ৷ কংগ্রেস শিবিরের খবর, নিয়োগ-সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ইস্যুতে এই মুহূর্তে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল ৷ সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফলে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, মানুষের সমর্থন তৃণমূলের পক্ষ থেকে সরতে শুরু করেছে ৷ সবচেয়ে বড় বিষয়, ওই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটারদের একটা বড় অংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৷ যে ভোটের উপরেই মূল ভরসা তৃণমূল শিবিরের ৷ গঙ্গার ওপারের জেলার সেই স্রোত এপারে নিয়ে আসতে মরিয়া হাত শিবিরের নেতৃত্ব ৷ কারণ, মালদা জেলাতেও সংখ্যালঘু ভোটাররা বড় ফ্যাক্টর ৷

এই নিয়ে মোত্তাকিন আলম বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের আসনে আমাদের দলের প্রাক্তন বিধায়কদের প্রার্থী করার বিষয়ে আমিই প্রথমে জেলা কমিটিকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম ৷ জেলা কমিটি এনিয়ে সিদ্ধান্ত না নিলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নেপাল মাহাতো এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ৷’’

অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের সিপিএমের সঙ্গে জোট যে হবেই, রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে দ্বিমত নেই ৷ তবে নির্বাচনের তিনটি স্তরে কীভাবে সেই জোট হবে, তা নিয়ে দুই দলের আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে ৷ যদিও এনিয়ে এখনও সিপিএম-কংগ্রেস রাজ্য নেতৃত্ব আলোচনায় বসেনি ৷

সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনার ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো মালদায় এসে বলেছিলেন, এই ভোটে তাঁরা একাই চলতে চান ৷ তার দু’দিন বাদেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জেলায় এসে জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী সব দলকে এক ছাতার নীচে আনার চেষ্টা করছেন তাঁরা ৷ তাঁরা বিরোধী ভোট কিছুতেই ভাগাভাগি হতে দিতে চান না ৷

ফলে এই কৌশলগুলি কাজে লাগিয়ে শেষপর্যন্ত মালদায় কংগ্রেস কতটা সফল হয়, এখন সেটাই দেখার ৷

আরও পড়ুন: বাম-কংগ্রেস জোট বাংলার ভবিষ্যৎ বলে মনে করেন অধীর

পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের পরিকল্পনা নিয়ে বললেন দলের নেতা মোত্তাকিন আলম

মালদা, 17 মার্চ: একুশের ভোট পেরিয়েছে দু’বছর ৷ হতাশার কাল কাটিয়ে হারানো মাটি ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় কংগ্রেস ৷ সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয় সেই চেষ্টায় উৎসাহ বাড়িয়েছে ৷ এমন সময় মালদা জেলায় দলকে আরও উজ্জীবিত করতে নতুন ফর্মুলা প্রয়োগ করার চিন্তাভাবনা করছে হাত শিবির (Malda Congress New Plan for Panchayat Elections) ৷ তারা এবার দলের প্রাক্তন বিধায়কদের জেলা পরিষদের আসনগুলি থেকে প্রার্থী করতে চায় (Congress Plans to Field Former MLAs as Candidates) ৷

কংগ্রেসের মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম এই নিয়ে ইটিভি ভারতকে বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের আসনে আমাদের দলের প্রাক্তন বিধায়কদের প্রার্থী করার বিষয়ে আমিই প্রথমে জেলা কমিটিকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম ৷ জেলা কমিটি এনিয়ে সিদ্ধান্ত না নিলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নেপাল মাহাতো এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ৷’’

কিন্তু কেন এই উদ্যোগ ? উত্তরে মোত্তাকিন আলম বলেন, ‘‘প্রাক্তন বিধায়কদের লড়াইয়ের ময়দানে দেখলে দলের কর্মী ছাড়াও প্রার্থীরা অক্সিজেন পাবেন ৷ পরবর্তীতে জেলা কমিটিতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে ৷ তবে এই প্রস্তাব গৃহীত হলে গোটা রাজ্যেই দলের ভালো হবে ৷ একটা কথা বলতে পারি, কংগ্রেস এখন ভালো জায়গায় রয়েছে ৷” তাছাড়া একেকজন বিধায়ককে কয়েকটি করে জেলা পরিষদ আসনের দায়িত্ব দেওয়া হবে ৷ এতে দলের কর্মীরা যেমন উজ্জীবিত হবেন, তেমনই মানুষের কাছেও হার না মানার বার্তা দেওয়া যাবে বলে মনে করছে কংগ্রেস ৷

কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, প্রাক্তন বিধায়কদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ময়দানে নামানোর কৌশলে সবুজ সংকেত মিলেছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীরও (Adhir Ranjan Chowdhury) ৷ অবশ্য এনিয়ে এখনই প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে চাইছেন না ৷ তবে এই ফর্মুলায় গনি গড়ে হাত শিবির ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা, তা সময় বলবে ৷

তবে শুধু প্রাক্তন বিধায়কদের ময়দানে নামিয়েই চুপ করে থাকতে চায় না কংগ্রেসন ৷ একই সঙ্গে মানুষের সমর্থন কাছে টানার পরিকল্পনাও করছে তারা ৷ কংগ্রেস শিবিরের খবর, নিয়োগ-সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ইস্যুতে এই মুহূর্তে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল ৷ সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফলে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, মানুষের সমর্থন তৃণমূলের পক্ষ থেকে সরতে শুরু করেছে ৷ সবচেয়ে বড় বিষয়, ওই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটারদের একটা বড় অংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৷ যে ভোটের উপরেই মূল ভরসা তৃণমূল শিবিরের ৷ গঙ্গার ওপারের জেলার সেই স্রোত এপারে নিয়ে আসতে মরিয়া হাত শিবিরের নেতৃত্ব ৷ কারণ, মালদা জেলাতেও সংখ্যালঘু ভোটাররা বড় ফ্যাক্টর ৷

এই নিয়ে মোত্তাকিন আলম বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের আসনে আমাদের দলের প্রাক্তন বিধায়কদের প্রার্থী করার বিষয়ে আমিই প্রথমে জেলা কমিটিকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম ৷ জেলা কমিটি এনিয়ে সিদ্ধান্ত না নিলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নেপাল মাহাতো এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ৷’’

অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের সিপিএমের সঙ্গে জোট যে হবেই, রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে দ্বিমত নেই ৷ তবে নির্বাচনের তিনটি স্তরে কীভাবে সেই জোট হবে, তা নিয়ে দুই দলের আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে ৷ যদিও এনিয়ে এখনও সিপিএম-কংগ্রেস রাজ্য নেতৃত্ব আলোচনায় বসেনি ৷

সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনার ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো মালদায় এসে বলেছিলেন, এই ভোটে তাঁরা একাই চলতে চান ৷ তার দু’দিন বাদেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জেলায় এসে জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী সব দলকে এক ছাতার নীচে আনার চেষ্টা করছেন তাঁরা ৷ তাঁরা বিরোধী ভোট কিছুতেই ভাগাভাগি হতে দিতে চান না ৷

ফলে এই কৌশলগুলি কাজে লাগিয়ে শেষপর্যন্ত মালদায় কংগ্রেস কতটা সফল হয়, এখন সেটাই দেখার ৷

আরও পড়ুন: বাম-কংগ্রেস জোট বাংলার ভবিষ্যৎ বলে মনে করেন অধীর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.