মালদা, 27 এপ্রিল : রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়া পড়ুয়াদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ একই সঙ্গে ভিনরাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদেরও ঘরে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার ৷ আর এতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে জেলা প্রশাসনের ৷ কোরোনা মোকাবিলায় এখন ভিনরাজ্য থেকে জেলায় আসা সবাইকে বাধ্যতামূলক 14 দিন কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকতে হবে ৷ কিন্তু এত মানুষকে রাখার মতো সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টার মালদায় নেই ৷ এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন ৷ এবিষয়ে আজ সন্ধেয় একটি উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় ৷
লকডাউন শুরুর কিছুদিন পর জেলাশাসক জানিয়েছিলেন, জেলার প্রায় 13 হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে আটকে পড়েছে ৷ পরবর্তীতে জানা যায়, সেই সংখ্যাটি প্রায় 30 হাজার ৷ রাজস্থানের কোটায় আটকে রয়েছে প্রায় 500 পড়ুয়া ৷ এদিকে জেলায় তৈরি সরকারি কোয়ারানটিনগুলিতে খুব বেশি হলে হাজারখানেক মানুষকে রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে ৷ এই পরিস্থিতিতে ভিনরাজ্য থেকে স্রোতের মতো মানুষ জেলায় ফিরলে কী করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসনিক কর্তারা ৷ তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভিনরাজ্য থেকে জেলায় ফিরে আসা সবাইকে কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠাতে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাতে নেওয়া হবে ৷ এব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে আজই চিঠি পাঠানো হয়েছে ৷ জেলাশাসক ছাড়াও আজ প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, রাজ্য মহিলা কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন মৌসম নুর, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী, মালদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় ও সহকারী অধ্যক্ষ অমিত দাঁ-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা ৷ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, শুধুমাত্র কোয়ারানটিন সেন্টারের সংখ্যা বৃদ্ধিই নয় ৷ মেডিকেলে বায়োলজিস্টের সংখ্যাও বাড়াতে হবে ৷ তার জন্য চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে থাকা বায়োলজিস্ট ও জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে থাকা টেকনিশিয়ানদের মেডিকেলে তুলে আনা হবে ৷
এই বৈঠক নিয়ে প্রশাসনিক কোনও কর্তা প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি ৷ তবে সভাধিপতি জানিয়েছেন, কোরোনা মোকাবিলায় জেলায় আর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে ৷ যেভাবেই হোক, এই ভাইরাসের মোকাবিলা আমাদের করতেই হবে ৷