ETV Bharat / state

কাল থেকে মালদার কিছু অংশে কঠোর লকডাউন, ক্ষুব্ধ বস্ত্র ব্যবসায়ীরা - মালদার কিছু অংশে কঠোর লকডাউন

মালদার পাঁচ এলাকায় সাত দিনের জন্য কঠোর হচ্ছে লকডাউন ৷ এই সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ জেলার বস্ত্র ব্যবসায়ীরা ৷

malda administration announce strict lockdown
ক্ষুব্ধ মালদার বস্ত্র ব্যবসায়ীরা
author img

By

Published : Jul 8, 2020, 1:00 AM IST

মালদা, 7 জুলাই : সরকারি নির্দেশ এসে গিয়েছে ৷ আগামীকাল থেকে জেলার কিছু অংশে সাতদিনের জন্য কঠোর হচ্ছে লকডাউন ৷ কেবল জেলার দুই পৌর এলাকাতেই নয়, এর মধ্যে রয়েছে কালিয়াচক, জালালপুর ও সুজাপুর এলাকাও ৷ আজ জেলা প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে প্রচারও চালানো হয়েছে এলাকাগুলিতে ৷ এতেই ক্ষুব্ধ মালদার কাপড়ের ব্যবসায়ীরা ৷ যা নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন মালদা ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ৷ তাঁদের দাবি, কোরোনা মোকাবিলায় প্রশাসন শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ব্যবসাকেই পুরো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ তাঁরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হবেন ৷ ডেপুটেশন জমা দেবেন ৷

জেলায় কোরোনা সংক্রমণ বাড়ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে গতকাল জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, সাতদিনের জন্য জেলার রেড জ়োন এলাকায় লকডাউন কঠোর করা হবে ৷ এই বিষয়ে গতকাল সন্ধেয় জেলা প্রশাসনিক ভবনে বৈঠক হয় ৷ এরপরই দুটি পৌর এলাকায় লকডাউন কঠোর করার প্রস্তাব পাঠানো হয় নবান্নে ৷

আজ অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অশোককুমার মোদক জানান, রাজ্যের তরফে প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, দুই পৌর এলাকার পাশাপাশি রাজ্যের নির্দেশ, কালিয়াচক, জালালপুর ও সুজাপুর এলাকাতেও আগামী সাতদিনের জন্য লকডাউন কঠোর করতে হবে ৷ প্রশাসনিক নির্দেশ অনুযায়ী এই পাঁচটি এলাকায় আগামীকাল সকাল 8 টা থেকে 11 টা পর্যন্ত সবজি, মাছ-মাংস, দুধ ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রীর দোকানই কেবল খোলা থাকবে ৷ বন্ধ থাকবে বাকি দোকান, শপিং মল ও সুপার মার্কেট ৷ ওষুধ ছাড়া অন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যসামগ্রীর দোকান দুপুর 2 টো পর্যন্ত খোলা থাকবে ৷ আগামী সাতদিন এই এলাকাগুলিতে কোনও বেসরকারি অফিসও খোলা যাবে না ৷ ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস খোলা থাকলেও 15 জনের বেশি উপভোক্তা একসঙ্গে ঢুকতে পারবে না ৷ পৌর এলাকায় বাস ছাড়া অন্য সব যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ৷ জমায়েত করা যাবে না ৷

প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে অধিকাংশ মানুষ স্বাগত জানালেও সহমত নয় জেলার বস্ত্র ব্যবসায়ীরা ৷

মালদা ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক স্বপন বারোরি বলেন, "কোরোনা মোকাবিলায় আমরা আগে দুই দফায় লকডাউন মেনেছি ৷ দোকান পুরোপুরি বন্ধ রেখেও কর্মীদের বেতন দিয়েছি ৷ আমরাও চাই, কোরোনার প্রকোপ দূর হোক ৷ লকডাউন শিথিল হওয়ার পর সরকারি নির্দেশিকা মেনেই দোকান চালাচ্ছি ৷ হঠাৎ শুনলাম, প্রশাসন ফের লকডাউন ঘোষণা করেছে ৷ কিন্তু, বেশ কিছু দোকানকে তার আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে ৷ এখানেই আমাদের প্রশ্ন রয়েছে ৷ এর আগেও দেখেছি, লকডাউনে আমরা দোকান বন্ধ রাখলেও চা, মুদিখানার দোকান বিকেল তিনটে পর্যন্ত খোলা থেকেছে ৷ সেখানে উপচে পড়েছে মানুষের ভিড় ৷ সেখান থেকে কি সংক্রমণ ছড়াতে পারে না? এই বিষয়ে আমরা সংগঠনের তরফে জেলাশাসককে ডেপুটেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷"

মালদা, 7 জুলাই : সরকারি নির্দেশ এসে গিয়েছে ৷ আগামীকাল থেকে জেলার কিছু অংশে সাতদিনের জন্য কঠোর হচ্ছে লকডাউন ৷ কেবল জেলার দুই পৌর এলাকাতেই নয়, এর মধ্যে রয়েছে কালিয়াচক, জালালপুর ও সুজাপুর এলাকাও ৷ আজ জেলা প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে প্রচারও চালানো হয়েছে এলাকাগুলিতে ৷ এতেই ক্ষুব্ধ মালদার কাপড়ের ব্যবসায়ীরা ৷ যা নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন মালদা ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ৷ তাঁদের দাবি, কোরোনা মোকাবিলায় প্রশাসন শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ব্যবসাকেই পুরো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ তাঁরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হবেন ৷ ডেপুটেশন জমা দেবেন ৷

জেলায় কোরোনা সংক্রমণ বাড়ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে গতকাল জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, সাতদিনের জন্য জেলার রেড জ়োন এলাকায় লকডাউন কঠোর করা হবে ৷ এই বিষয়ে গতকাল সন্ধেয় জেলা প্রশাসনিক ভবনে বৈঠক হয় ৷ এরপরই দুটি পৌর এলাকায় লকডাউন কঠোর করার প্রস্তাব পাঠানো হয় নবান্নে ৷

আজ অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অশোককুমার মোদক জানান, রাজ্যের তরফে প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, দুই পৌর এলাকার পাশাপাশি রাজ্যের নির্দেশ, কালিয়াচক, জালালপুর ও সুজাপুর এলাকাতেও আগামী সাতদিনের জন্য লকডাউন কঠোর করতে হবে ৷ প্রশাসনিক নির্দেশ অনুযায়ী এই পাঁচটি এলাকায় আগামীকাল সকাল 8 টা থেকে 11 টা পর্যন্ত সবজি, মাছ-মাংস, দুধ ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রীর দোকানই কেবল খোলা থাকবে ৷ বন্ধ থাকবে বাকি দোকান, শপিং মল ও সুপার মার্কেট ৷ ওষুধ ছাড়া অন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যসামগ্রীর দোকান দুপুর 2 টো পর্যন্ত খোলা থাকবে ৷ আগামী সাতদিন এই এলাকাগুলিতে কোনও বেসরকারি অফিসও খোলা যাবে না ৷ ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস খোলা থাকলেও 15 জনের বেশি উপভোক্তা একসঙ্গে ঢুকতে পারবে না ৷ পৌর এলাকায় বাস ছাড়া অন্য সব যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ৷ জমায়েত করা যাবে না ৷

প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে অধিকাংশ মানুষ স্বাগত জানালেও সহমত নয় জেলার বস্ত্র ব্যবসায়ীরা ৷

মালদা ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক স্বপন বারোরি বলেন, "কোরোনা মোকাবিলায় আমরা আগে দুই দফায় লকডাউন মেনেছি ৷ দোকান পুরোপুরি বন্ধ রেখেও কর্মীদের বেতন দিয়েছি ৷ আমরাও চাই, কোরোনার প্রকোপ দূর হোক ৷ লকডাউন শিথিল হওয়ার পর সরকারি নির্দেশিকা মেনেই দোকান চালাচ্ছি ৷ হঠাৎ শুনলাম, প্রশাসন ফের লকডাউন ঘোষণা করেছে ৷ কিন্তু, বেশ কিছু দোকানকে তার আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে ৷ এখানেই আমাদের প্রশ্ন রয়েছে ৷ এর আগেও দেখেছি, লকডাউনে আমরা দোকান বন্ধ রাখলেও চা, মুদিখানার দোকান বিকেল তিনটে পর্যন্ত খোলা থেকেছে ৷ সেখানে উপচে পড়েছে মানুষের ভিড় ৷ সেখান থেকে কি সংক্রমণ ছড়াতে পারে না? এই বিষয়ে আমরা সংগঠনের তরফে জেলাশাসককে ডেপুটেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.