মালদা, 16 অগস্ট: মালদা জেলা পরিষদের নতুন সভাধিপতি হলেন লিপিকা বর্মন ঘোষ ৷ সহকারী সভাধিপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিদায়ী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন ৷ বুধবার বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় তৃণমূলের 34 জন নবনির্বাচিত সদস্যের ভোটে লিপিকা ও রফিকুল সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতি নির্বাচিত হয়েছেন ৷ আজ সভাধিপতি পদে বিজেপি এবং কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী দেওয়া হয় ৷ সহকারী সভাধিপতি পদেও প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস ৷ তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য শাসকদল তৃণমূলেরই থাকায় ভোটাভুটির কোনও প্রয়োজন পড়েনি ৷ গত পাঁচ বছর ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী ছিলেন লিপিকা ৷ এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি ৷
তিনি বলেন, "এই পদে বসে প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই ৷ দলের জেলা নেতৃত্বের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ ৷ জেলা পরিষদের সব সদস্যকে নিয়েই আমি কাজ করব ৷ এই জেলায় পানীয় জল, রাস্তাঘাট এবং বিদ্যুতেরই বেশি সমস্যা ৷ রয়েছে গঙ্গা ভাঙনের সমস্যাও ৷ আমরা এসব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব ৷ কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা এখানে আসছে না ৷ এর জন্য আমরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি ৷ ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলন করে কেন্দ্রের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নিয়ে আসার চেষ্টা করব ৷"
আজ নির্দিষ্ট সময়েই জেলা পরিষদ ভবনে উপস্থিত হন নবনির্বাচিত সদস্যরা ৷ দলীয় সদস্যদের নিয়ে মিছিল করে আসেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসি ৷ মিছিলে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তজমুল হোসেনও ৷ জেলা পরিষদ ভবনে ঢোকার আগেই রাজ্য নেতৃত্বের পাঠানো দুই পদপার্থীর নাম লেখা মুখ বন্ধ খাম নিজেদের দলনেতার হাতে তুলে দেন রহিম বকসি ৷ নতুন বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ার সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) জামিল ফতেমা জেবা ৷
আরও পড়ুন: টস জিতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির চেয়ার দখল বিজেপির
এবারের নির্বাচনে 43 আসনের মালদা জেলা পরিষদে 34টি দখল করে তৃণমূল ৷ ফলে সভাধিপতি এবং সহকারী সভাধিপতি যে শাসকদলেরই হচ্ছে, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত ছিল না ৷ কিন্তু সভাধিপতি কে হবেন, তা নিয়ে চর্চা ছিল ৷ এই আসনে ইংরেজবাজারের মহদিপুর থেকে জয়ী প্রার্থী লিপিকা বর্মন ঘোষের সঙ্গে মানিকচক থেকে জয়ী কবিতা মণ্ডলের লড়াই ছিল ৷ শেষ পর্যন্ত জেলার প্রভাবশালী রফতানিকারক প্রসেনজিৎ ঘোষের স্ত্রী লিপিকাই শেষ হাসি হেসেছেন ৷ এ নিয়েও অর্থ সংক্রান্ত অনেক গল্প ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে ৷
আরও পড়ুন: বিপদসীমা পেরল গঙ্গা, তীব্র ভাঙন অব্যাহত; বিপন্ন গোপালপুর
এ দিন সভাধিপতি পদে প্রার্থী দেয় বিজেপি ও কংগ্রেসও ৷ বিজেপির পক্ষে ওই পদে নাম প্রস্তাব করা হয় শ্যামলি রজকের ৷ কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী ছিলেন চুমকি দাস ৷ যদিও তৃণমূলের 34 জন সদস্য লিপিকাকে খোলাখুলি সমর্থন করায় ভোটাভুটির প্রয়োজন পড়েনি ৷ সভাধিপতি নির্বাচনের পরেই সভা থেকে বেরিয়ে যান বিজেপির সদস্যরা ৷ সহকারি সভাধিপতি পদে কংগ্রেসের পক্ষে মামনি মণ্ডলের নাম প্রস্তাব করা হলেও ওই পদে এটিএম রফিকুল হোসেনের জয় অবশ্যম্ভাবী ছিল ৷
