মালদা, 16 সেপ্টেম্বর: আগামী মরশুম থেকেই আক্ষেপ মিটতে পারে মালদা-সহ রাজ্যবাসীর ৷ মরশুমের প্রথম থেকেই বাঙালির পাতে পড়তে পারে বাংলার রূপোলি শস্য ৷ এপার বাংলা পেতে পারে ওপারের মিঠা জলের অন্যান্য মাছও ৷ মালদা শহরে দুই বাংলার ব্যবসায়ীদের বৈঠকের পর এই সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে ৷
অবশ্য শুধু মাছ নয়, বৈঠকে দুই বাংলার একাধিক সামগ্রীর বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ প্রতিবেশী দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে অগস্টের শেষে বাংলাদেশ সফরে যান মালদা বণিক সভার সদস্যরা ৷ তার 15 দিনের মধ্যেই রাজশাহী থেকে জেলায় এসেছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল ৷ দু'দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈঠকও হয়েছে ৷
এনিয়ে মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, "গত 30 ও 31 অগস্ট মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে ৷ দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক কীভাবে বাড়ানো যায়, বাংলাদেশ থেকে কী কী জিনিস এদেশে আনা যেতে পারে, এদেশ থেকেই বা কোন কোন সামগ্রী সেদেশে রফতানি করা যেতে পারে, দু'দেশের বাজারে কী কী জিনিসের চাহিদা রয়েছে, তা নিয়ে তখন দু'দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয় ৷ বৈঠকে প্রথমেই উঠে এসেছিল ইলিশের কথা ৷ ক'দিন আগে আমি এনিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ তাঁকে জানিয়েছি, মহদিপুরে একটি টেস্টিং ল্যাবরেটরি তৈরি হলে খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে এদেশে মাছ আসবে ৷"
জয়ন্তবাবু আরও বলেন, "রাজশাহী থেকে 3-4 ঘণ্টার মধ্যেই মালদা পৌঁছনো যায় ৷ ইলিশ নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে ৷ তার জন্য এলসির (লেটার অফ ক্রেডিট) বিষয়ে আমাদের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে ৷ এতে আমরা জেলা-সহ রাজ্যের মানুষকে বিখ্যাত চাঁদপুরের ইলিশ সহজেই খাওয়াতে পারব ৷" রাজশাহী মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি মাসিদুর রহমান রিংকু বলেন, "রাজশাহী এলাকায় মিঠা পানির মাছ যে পরিমাণে উৎপাদন হয়, তাতে 50 হাজার মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত থাকে ৷ এই উদ্বৃত্ত মাছ আমরা বিবি চুক্তি (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান ব্যবসায়ী চুক্তি) মেনে ভারত-সহ বাকি দেশগুলিতে পাঠাতে চাই ৷"
আরও পড়ুন: খারাপ আবহাওয়ায় ইলিশ ছাড়াই ফিরল ট্রলার, রান্না পুজোয় মহার্ঘ হতে চলেছে ইলিশ