ETV Bharat / state

শীতেও ডেঙ্গি আতঙ্ক, আক্রান্ত মালদা মেডিকেলের কর্মী

শীতেও ডেঙ্গি আতঙ্ক মালদা জেলায় ৷ এবারে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্মী৷ ইংরেজবাজার পৌরসভার উদাসীনতার দিকেই আঙুল তুলছে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷

mld_03_dengue
ডেঙ্গি আতঙ্কে ভুগেছে মালদা জেলা৷
author img

By

Published : Feb 24, 2020, 7:08 PM IST

মালদা, ২৪ ফেব্রুয়ারি : শীত প্রায় শেষ হতে চললেও পিছু ছাড়ল না ডেঙ্গি৷ গোটা শীত ধরেই ডেঙ্গি আতঙ্কে ভুগেছে মালদা জেলা৷ শহরও তার ব্যতিক্রম নয়৷ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন মালদা মেডিকেলের কর্মী৷ কেন এই দশা, তার উত্তর খুঁজে গিয়ে ফের সামনে এসেছে ইংরেজবাজার পৌরসভার উদাসীনতা৷ অভিযোগ, শীতকালেও মালদা শহরের নিকাশি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত৷ জমা জলে বংশবিস্তার অব্যাহত এডিস ইজিপ্টার৷ ফলে ডেঙ্গিও পিছু ছাড়ছে না৷ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরও জানাচ্ছে, আর শুধু বর্ষা নয়, এখন ডেঙ্গি হচ্ছে সারা বছর৷ ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর স্বীকার করে নিচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষও৷ তবে তার মধ্যেই শহরবাসীর আতঙ্ক বাড়িয়ে পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, রেলের কাজের জন্য আগামী এক বছর নিকাশি সমস্যায় ভুগতে হতে পারে শহরবাসীকে৷

মালদা মেডিকেলের হাউজ় কিপিং বিভাগের সুপারভাইজ়ার শুভাশিস অধিকারী৷ বাড়ি মালদা শহরের পশ্চিম হায়দারপুর এলাকায়৷ সম্প্রতি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন তিনি৷ রক্তের প্লেটলেট নেমে গেছিল ৫০ হাজারে৷ চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি মেডিকেলে ভরতি হন৷ চারদিন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন৷ তবে এখনও দুর্বল থাকায় তিনি কাজে যোগ দিতে পারেননি৷ শুভাশিসবাবু বলেন, “দু’তিনদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলাম৷ তখন মেডিকেলেরই এক চিকিৎসককে দেখাই৷ তিনি আমাকে রক্ত পরীক্ষা করতে বলেন৷ রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টেই ধরা পড়ে, আমার ডেঙ্গি হয়েছে৷ রক্তের প্লেটলেট ৫০ হাজারে নেমে গেছে৷ সেদিনই আমি হাসপাতালে ভরতি হই৷ চারদিন চিকিৎসার পর রক্তের প্লেটলেট খানিকটা বাড়লে আমাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ চিকিৎসকরা আমাকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন৷ এখনও খানিকটা দুর্বল৷ শীতের সময় কেন আমার ডেঙ্গি হল তা নিয়ে আমি নিজেই অবাক৷ কিছু ভেবে পাচ্ছি না৷ কোথায় থেকে ডেঙ্গির ভাইরাস আমার শরীরে থাবা বসাল, বুঝতে পারছি না৷ বেশিরভাগ সময় আমি হাসপাতাল চত্বরেই থাকি৷”

ডেঙ্গি আতঙ্কে ভুগেছে মালদা জেলা৷

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিজয়প্রসাদ মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, “এখন সারাবছরই ডেঙ্গি হচ্ছে৷ এনিয়ে বর্ষা মরশুমে আমরা বিশেষভাবে সতর্ক থাকি৷ কিন্তু ডেঙ্গির চরিত্র বদলে আমরা এখন সারা বছরই এর উপর নজর রাখছি৷ ডেঙ্গি নিয়ে আমরা নিয়মিত খবর রাখছি৷ তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে৷” এপ্রসঙ্গে ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, “শীতের মধ্যে মালদা শহরে একজন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন৷ সেই খবর আমরা পেয়েছি৷ তবে এখানকার অনেক মানুষ বাইরে গিয়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মালদা মেডিকেলে ভরতি হয়েছেন৷ গত কয়েক বছর ডেঙ্গিতে এখানে মানুষ মারাও গেছে৷ আমারও ডেঙ্গি হয়েছিল৷ এই মুহূর্তে শীতকালেও মালদা শহরের অনেক জায়গায় জল বদ্ধ হয়ে রয়েছে৷ অনেক বাড়িতেও জল জমে রয়েছে৷ পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা এনিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রিপোর্ট তৈরি করছেন৷ আজ আমরা তাঁদের কাছে ডেঙ্গির বিষয়ে খোঁজ নেব৷ তবে যেহেতু শীতেও শহরে ডেঙ্গি ধরা পড়েছে, আমরা আরও বেশি করে এদিকে নজর দেব৷ এই মুহূর্তে রেলের সাবওয়ের কাজ চলছে মালদা শহরে৷ তার জন্য তারা নিকাশি ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে৷ ফলে অনেক ওয়ার্ডের জল বেরোতে পারছে না৷ এর একটা বিকল্প ব্যবস্থার জন্য জেলাশাসক রেলের মালদা ডিভিশনের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ এনিয়ে একটা ব্যবস্থা হচ্ছে৷ রেলের কাজ একবছর চলবে বলে জানানো হয়েছে৷ তাই নিকাশির একটি বিকল্প ব্যবস্থা আমরা খুব তাড়াতাড়ি করার চেষ্টা করছি৷”

মালদা, ২৪ ফেব্রুয়ারি : শীত প্রায় শেষ হতে চললেও পিছু ছাড়ল না ডেঙ্গি৷ গোটা শীত ধরেই ডেঙ্গি আতঙ্কে ভুগেছে মালদা জেলা৷ শহরও তার ব্যতিক্রম নয়৷ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন মালদা মেডিকেলের কর্মী৷ কেন এই দশা, তার উত্তর খুঁজে গিয়ে ফের সামনে এসেছে ইংরেজবাজার পৌরসভার উদাসীনতা৷ অভিযোগ, শীতকালেও মালদা শহরের নিকাশি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত৷ জমা জলে বংশবিস্তার অব্যাহত এডিস ইজিপ্টার৷ ফলে ডেঙ্গিও পিছু ছাড়ছে না৷ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরও জানাচ্ছে, আর শুধু বর্ষা নয়, এখন ডেঙ্গি হচ্ছে সারা বছর৷ ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর স্বীকার করে নিচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষও৷ তবে তার মধ্যেই শহরবাসীর আতঙ্ক বাড়িয়ে পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, রেলের কাজের জন্য আগামী এক বছর নিকাশি সমস্যায় ভুগতে হতে পারে শহরবাসীকে৷

মালদা মেডিকেলের হাউজ় কিপিং বিভাগের সুপারভাইজ়ার শুভাশিস অধিকারী৷ বাড়ি মালদা শহরের পশ্চিম হায়দারপুর এলাকায়৷ সম্প্রতি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন তিনি৷ রক্তের প্লেটলেট নেমে গেছিল ৫০ হাজারে৷ চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি মেডিকেলে ভরতি হন৷ চারদিন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন৷ তবে এখনও দুর্বল থাকায় তিনি কাজে যোগ দিতে পারেননি৷ শুভাশিসবাবু বলেন, “দু’তিনদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলাম৷ তখন মেডিকেলেরই এক চিকিৎসককে দেখাই৷ তিনি আমাকে রক্ত পরীক্ষা করতে বলেন৷ রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টেই ধরা পড়ে, আমার ডেঙ্গি হয়েছে৷ রক্তের প্লেটলেট ৫০ হাজারে নেমে গেছে৷ সেদিনই আমি হাসপাতালে ভরতি হই৷ চারদিন চিকিৎসার পর রক্তের প্লেটলেট খানিকটা বাড়লে আমাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ চিকিৎসকরা আমাকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন৷ এখনও খানিকটা দুর্বল৷ শীতের সময় কেন আমার ডেঙ্গি হল তা নিয়ে আমি নিজেই অবাক৷ কিছু ভেবে পাচ্ছি না৷ কোথায় থেকে ডেঙ্গির ভাইরাস আমার শরীরে থাবা বসাল, বুঝতে পারছি না৷ বেশিরভাগ সময় আমি হাসপাতাল চত্বরেই থাকি৷”

ডেঙ্গি আতঙ্কে ভুগেছে মালদা জেলা৷

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিজয়প্রসাদ মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, “এখন সারাবছরই ডেঙ্গি হচ্ছে৷ এনিয়ে বর্ষা মরশুমে আমরা বিশেষভাবে সতর্ক থাকি৷ কিন্তু ডেঙ্গির চরিত্র বদলে আমরা এখন সারা বছরই এর উপর নজর রাখছি৷ ডেঙ্গি নিয়ে আমরা নিয়মিত খবর রাখছি৷ তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে৷” এপ্রসঙ্গে ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, “শীতের মধ্যে মালদা শহরে একজন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন৷ সেই খবর আমরা পেয়েছি৷ তবে এখানকার অনেক মানুষ বাইরে গিয়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মালদা মেডিকেলে ভরতি হয়েছেন৷ গত কয়েক বছর ডেঙ্গিতে এখানে মানুষ মারাও গেছে৷ আমারও ডেঙ্গি হয়েছিল৷ এই মুহূর্তে শীতকালেও মালদা শহরের অনেক জায়গায় জল বদ্ধ হয়ে রয়েছে৷ অনেক বাড়িতেও জল জমে রয়েছে৷ পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা এনিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রিপোর্ট তৈরি করছেন৷ আজ আমরা তাঁদের কাছে ডেঙ্গির বিষয়ে খোঁজ নেব৷ তবে যেহেতু শীতেও শহরে ডেঙ্গি ধরা পড়েছে, আমরা আরও বেশি করে এদিকে নজর দেব৷ এই মুহূর্তে রেলের সাবওয়ের কাজ চলছে মালদা শহরে৷ তার জন্য তারা নিকাশি ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে৷ ফলে অনেক ওয়ার্ডের জল বেরোতে পারছে না৷ এর একটা বিকল্প ব্যবস্থার জন্য জেলাশাসক রেলের মালদা ডিভিশনের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ এনিয়ে একটা ব্যবস্থা হচ্ছে৷ রেলের কাজ একবছর চলবে বলে জানানো হয়েছে৷ তাই নিকাশির একটি বিকল্প ব্যবস্থা আমরা খুব তাড়াতাড়ি করার চেষ্টা করছি৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.