মালদা, 23 অক্টোবর: পণের দাবিতে গৃহবধূকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার (Murder Attempt for Dowry) অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে ৷ আক্রান্ত গৃহবধূ বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজারের (Malda News) যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঠানটুলি এলাকায় ৷
আক্রান্ত গৃহবধূর (In-laws try to kill woman) নাম ফাতেমা বিবি (20)৷ বাড়ি যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাতলা এলাকায় ৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দু'বছর আগে ওমর শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় ফাতেমার ৷ পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ 60 হাজার টাকা ও একটি মোটরবাইক দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু তারপরেও জামাই-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পণের দাবিতে ফাতেমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে ৷ প্রায় বছরখানেক আগে 2 লক্ষ টাকা দাবি করা হয় ৷ সেই টাকা দিতে না পারায় গতকাল রাতে জামাই-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফাতেমার উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে ৷ চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ফাতেমাকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করে ৷ বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন ফাতেমা ৷
আক্রান্ত গৃহবধূর মা রেজিনা বিবি বলেন, "দু'বছর আগে 2 লক্ষ টাকা দিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম ৷ বিয়ের পর থেকে ফের পণের দাবিতে জামাই মেয়েকে মারধর করতে থাকে ৷ সম্প্রতি দেড় লক্ষ টাকা দাবি করে জামাই ৷ সেই টাকা না দেওয়ায় গতকাল রাতে হাঁসুয়া নিয়ে মেয়ের উপর হামলা চালায় জামাই ও তার মা ৷ মেয়ে বর্তমানে মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ৷ এর আগেও একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ৷ এলাকায় এ নিয়ে বিচারও বসেছিল ৷ আমরা বিচার চাই ৷"
আরও পড়ুন: দেগঙ্গায় মধ্যযুগীয় বর্বরতা, কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় মহিলাকে মারধর স্বামীর !
আক্রান্ত গৃহবধূর এক আত্মীয় আলমগীর শেখ বলেন, "দু'বছর আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম ৷ বিয়ের সময় নগদ টাকা ও গাড়ি মিলিয়ে প্রায় 2 লক্ষ টাকা দিয়েছি ৷ এখন আবার 2 লক্ষ টাকা দাবি করছে জামাই ও তার পরিবারের লোকজন ৷ টাকা না দেওয়ায় মেয়েকে মারধর করছে ৷ স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে মীমাংসা করতে গেলে জামাই ও তার মা পালিয়ে গিয়েছিল ৷ তারপর কিছুদিন শান্তি ছিল ৷ গতকাল ফের মেয়েকে মারধর করা হয় ৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায়, পায়ে, হাতে কোপ মারা হয়েছে ৷"
ইংরেজবাজার থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ৷ তবে ঘটনার খবর পেয়ে খোঁজখবর নেওয়ার কাজ শুরু করেছে পুলিশ ৷