ETV Bharat / state

তাজপুরে সমুদ্র বন্দর নির্মাণে রাজ্যকে সাহায্যে প্রস্তুত কেন্দ্র - Central Minister

আজ মালদায় এই মন্তব্য করেন বন্দর, জাহাজ ও জলপথ পরিবহণ মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে এই রাজ্যে বাস্তবায়িত করতে দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এই অভিযোগও করেছেন তিনি।

if west Bengal government wants center will help to build tajpur port
তাজপুরে সমুদ্র বন্দর নির্মাণে রাজ্য সাহায্য চাইলে তা দিতে প্রস্তুত কেন্দ্র
author img

By

Published : Dec 26, 2020, 5:49 PM IST

মালদা, 26 ডিসেম্বর : তাজপুর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে রাজ্য সরকার সাহায্য চাইলে, তা দিতে কেন্দ্র প্রস্তুত বলে জানালেন মোদী সরকারের মন্ত্রী। আজ এই মন্তব্য করেন বন্দর, জাহাজ ও জলপথ পরিবহণ মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়। আজ, শনিবার জেলা বিজেপির সদর দপ্তর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ভবনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, খুব তাড়াতাড়ি গঙ্গায় প্রায় 1400 কিলোমিটার নৌ-পথ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গেও কোনও শিল্প স্থাপনে কেন্দ্রীয় সহায়তার প্রয়োজন হলে কেন্দ্র সেই সহায়তা করতে সবসময় প্রস্তুত। তাজপুর সমুদ্র বন্দর তৈরির ক্ষেত্রেও সেকথা প্রযোজ্য। এখানেও রাজ্য সরকার কোনও সহায়তা চাইলে আমরা তা করতে প্রস্তুত।"

একুশের ভোটের আগে রাজ্যে নিয়মিত আসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। ভোটের নকশা তৈরি করতে গতকাল, শুক্রবার রাতে মালদায় আসেন মনসুখ মান্ডবীয়। আজ সকালে পুরাতন মালদায় চা চক্রের পর তিনি জেলা বিজেপির সদর দপ্তরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "মানুষের সামনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে আমাদের নিয়মিত এখানে আসতে হবে। এখন সেটাই চলছে। এই রাজ্যের মানুষ ও দলীয় নেতাদের সমর্থনে আমরা রাজ্যে আসছি। বিজেপি একটি বড় পরিবার। দেশের যে কোনও রাজ্যে নির্বাচনের সময় আমরা সেখানে যাই।" তিনি জানান, এদিন সকালেও তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সংবলিত পুস্তিকা মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে এই রাজ্যে বাস্তবায়িত করতে দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এমনটাই অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, "কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারের সুবিধা পাচ্ছে না। আমরা সবসময় সংবিধান মেনে চলি। কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্কের কথাও আমাদের অজানা নয়। সরকার সবসময় বদলায়। কিন্তু দেশের ফেডারেল স্ট্রাকচার নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও দ্বিমত থাকে না।"

তাঁর দাবি, আমফানের সময় প্রধানমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ এখানে এসে বাংলার মানুষকে সহায়তা করেছিলেন। এটাই ফেডারেল স্ট্রাকচারের অন্যতম উদাহরণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলে দিয়েছেন, এই রাজ্যের সরকার ইচ্ছে করলে নিজের নামে কেন্দ্রীয় প্রকল্প লাগু করতে পারে। কিন্তু কৃষকরা যেন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, "আমাদের সরকার সবসময়ই গরিব মানুষের পাশে, কৃষকদের পাশে। সেই কারণেই আমরা নয়া কৃষি আইন লাগু করেছি। এতে কৃষকরা নিজেদের ফসল আরও বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে। আমরা যা বলি, তাই করি। স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্ট আমরাই লাগু করেছি।"

একই সঙ্গে তিনি জানান, খুব তাড়াতাড়ি গঙ্গা নৌ-পথ চালু হবে। হলদিয়ায় মালটি মোডেড টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে। দু-একমাসের মাসের মধ্যে সেটা খুলে দেওয়া হবে। এতে খুব কম খরচে গঙ্গা নদীর 1400 কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নৌ-পথে যাতায়াত চলবে।

আরও পড়ুন: 21 বছর তৃণমূল করেছি, আমার লজ্জা

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিজেপিই বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বলে তিনি জানান। বলেন, "আমরা সবসময় মানুষের উপর নির্ভর করি। আমরা নিশ্চিত, এবার বাংলার মানুষও আমাদের আশীর্বাদ করবেন। একটা কথা আজই বলে দিতে চাই, এই বাংলা সোনার বাংলায় পরিণত হবে।"

মালদা, 26 ডিসেম্বর : তাজপুর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে রাজ্য সরকার সাহায্য চাইলে, তা দিতে কেন্দ্র প্রস্তুত বলে জানালেন মোদী সরকারের মন্ত্রী। আজ এই মন্তব্য করেন বন্দর, জাহাজ ও জলপথ পরিবহণ মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়। আজ, শনিবার জেলা বিজেপির সদর দপ্তর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ভবনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, খুব তাড়াতাড়ি গঙ্গায় প্রায় 1400 কিলোমিটার নৌ-পথ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গেও কোনও শিল্প স্থাপনে কেন্দ্রীয় সহায়তার প্রয়োজন হলে কেন্দ্র সেই সহায়তা করতে সবসময় প্রস্তুত। তাজপুর সমুদ্র বন্দর তৈরির ক্ষেত্রেও সেকথা প্রযোজ্য। এখানেও রাজ্য সরকার কোনও সহায়তা চাইলে আমরা তা করতে প্রস্তুত।"

একুশের ভোটের আগে রাজ্যে নিয়মিত আসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। ভোটের নকশা তৈরি করতে গতকাল, শুক্রবার রাতে মালদায় আসেন মনসুখ মান্ডবীয়। আজ সকালে পুরাতন মালদায় চা চক্রের পর তিনি জেলা বিজেপির সদর দপ্তরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "মানুষের সামনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে আমাদের নিয়মিত এখানে আসতে হবে। এখন সেটাই চলছে। এই রাজ্যের মানুষ ও দলীয় নেতাদের সমর্থনে আমরা রাজ্যে আসছি। বিজেপি একটি বড় পরিবার। দেশের যে কোনও রাজ্যে নির্বাচনের সময় আমরা সেখানে যাই।" তিনি জানান, এদিন সকালেও তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সংবলিত পুস্তিকা মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে এই রাজ্যে বাস্তবায়িত করতে দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এমনটাই অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, "কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারের সুবিধা পাচ্ছে না। আমরা সবসময় সংবিধান মেনে চলি। কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্কের কথাও আমাদের অজানা নয়। সরকার সবসময় বদলায়। কিন্তু দেশের ফেডারেল স্ট্রাকচার নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও দ্বিমত থাকে না।"

তাঁর দাবি, আমফানের সময় প্রধানমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ এখানে এসে বাংলার মানুষকে সহায়তা করেছিলেন। এটাই ফেডারেল স্ট্রাকচারের অন্যতম উদাহরণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলে দিয়েছেন, এই রাজ্যের সরকার ইচ্ছে করলে নিজের নামে কেন্দ্রীয় প্রকল্প লাগু করতে পারে। কিন্তু কৃষকরা যেন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, "আমাদের সরকার সবসময়ই গরিব মানুষের পাশে, কৃষকদের পাশে। সেই কারণেই আমরা নয়া কৃষি আইন লাগু করেছি। এতে কৃষকরা নিজেদের ফসল আরও বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে। আমরা যা বলি, তাই করি। স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্ট আমরাই লাগু করেছি।"

একই সঙ্গে তিনি জানান, খুব তাড়াতাড়ি গঙ্গা নৌ-পথ চালু হবে। হলদিয়ায় মালটি মোডেড টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে। দু-একমাসের মাসের মধ্যে সেটা খুলে দেওয়া হবে। এতে খুব কম খরচে গঙ্গা নদীর 1400 কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নৌ-পথে যাতায়াত চলবে।

আরও পড়ুন: 21 বছর তৃণমূল করেছি, আমার লজ্জা

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিজেপিই বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বলে তিনি জানান। বলেন, "আমরা সবসময় মানুষের উপর নির্ভর করি। আমরা নিশ্চিত, এবার বাংলার মানুষও আমাদের আশীর্বাদ করবেন। একটা কথা আজই বলে দিতে চাই, এই বাংলা সোনার বাংলায় পরিণত হবে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.