মালদা, 26 এপ্রিল: লকডাউনের দু’দিন আগে ঘরে ফিরেছিল স্বামী৷ অভিযোগ, ফিরেই বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতে শুরু করে সে৷ এই ঘটনায় ছেলেকে মদত দিচ্ছিল শ্বশুরও৷ অভিযোগ, স্বামী ও শ্বশুরের চাপের কাছে মাথানত না করায় গত সোমবার রাতে ওই যুবতির গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় স্বামী ও শ্বশুর৷ মালদা মেডিকেলে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূ যবতির৷ ঘটনায় স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর থানার ঘোষপাড়া এলাকায়৷
মৃত গৃহবধূর নাম বুলটি বর্মণ (28)৷ তাঁর বাবার বাড়ি ঘোষপাড়া এলাকাতেই৷ 9 বছর আগে বিয়ে হয় একই গ্রামের যুবক বিজয় বর্মণের সঙ্গে৷ বিজয় পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক৷ তাঁদের বছর সাতেকের একটি ছেলেও রয়েছে৷ লকডাউনের কয়েকদিন আগেই ভিনরাজ্য থেকে ফেরে বিজয় বর্মণ৷ অভিযোগ, বিজয় বর্মণ শ্রমিকের কাজ করলেও তার জুয়াখেলার নেশা রয়েছে৷
সম্প্রতি ভিনরাজ্য থেকে ফিরেও জুয়া খেলায় মেতে ওঠে সে৷ এরপর কয়েকদিন খেলায় হেরে টাকা খোয়ায়৷ তারপরই সে স্ত্রী বুলটি বর্মণকে তার বাবার কাছ থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে শুরু করে৷ যাতে মদত দেয় বিজয় বর্মণের বাবাও রবীন্দ্র বর্মণও ৷ অবশেষে গত সোমবার রাতে বুলটি বর্মণ তাদের জানিয়ে দেন, বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে পারবেন না৷ অভিযোগ, তখনই বিজয় বর্মণ ও তার বাবা রবীন্দ্র বর্মণ বুলটি বর্মণের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ ম
ঙ্গলবার ভোরে যুবতির বাপের বাড়ির অত্মীয়রাই তাঁকে মালদা মেডিকেলে ভরতি করেন৷ পাঁচদিন পর আজ মৃত্যু হয় বুলটি বর্মণের৷ এই ঘটনায় বিজয় বর্মণ ও রবীন্দ্র বর্মণের বিরুদ্ধে হবিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতার আত্মীয়রা৷ পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করেছে৷
এই প্রসঙ্গে হবিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে৷ আগামীকাল তাদের জেলা আদালতে তোলা হবে।