মালদা, 12 মার্চ : চেয়ারে বসে বন্দুক তাক করছেন তৃণমূল নেতা । নিজেই সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন । স্বাভাবিকভাবেই ভাইরাল হয়েছে বন্দুক তাকের ছবি । আর সেই ছবি ঘিরে শোরগোল জেলার রাজনৈতিক মহলে । বিতর্কে জড়ানো তৃণমূল নেতার নাম গোলাম সিরাজুদ্দিন আলি ৷ তিনি হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা । স্থানীয় বিজেপি সাংসদের কটাক্ষ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবেই তৃণমূল আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে । যদিও বন্দুকটি পাখি মারার জন্য, বলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তৃণমূল নেতা এবং নেতৃত্ব । তবে এই ঘটনায় শাসকদলের অস্বস্তি বেড়েছে (Controversy over Harishchandrapur TMC leader with firearms pix viral in Malda)।
সিরাজুদ্দিনকে এলাকায় পুকালু খান নামে সবাই চেনেন। তিনি নিজেই তাঁর ফেসবুক পেজে বিতর্কিত ছবিটি পোস্ট করেন । সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে । প্রশ্ন ওঠে, একজন রাজনৈতিক নেতা হয়ে তিনি কীভাবে এমন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন । যদিও এনিয়ে তাঁর বক্তব্য, এটা নেহাতই পাখি মারার বন্দুক ।
আরও পড়ুন : Baranilpur arrest : বন্দুক হাতে প্রতিবেশীদের ভয় দেখানো, বড়নীলপুরে গ্রেফতার যুবক
উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, "পৌর নির্বাচনে রাজ্যের প্রতিটি জায়গায় তৃণমূল গুন্ডারাজ চালিয়েছে । এই রাজ্যের সরকার গুন্ডাদের নিরাপত্তা দেয় । গোটা রাজ্য এখন বোমা আর আগ্নেয়াস্ত্রের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ।" পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিততে এখন থেকেই তৃণমূল নেতারা আগ্নেয়াস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন । মানুষকে বন্দুক দেখিয়ে তাঁরা ভোট লুট করতে চান, অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের ৷
তবে পুকালু খানের সাফাই, "ওটা পাখি মারার বন্দুক ছিল । শখে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলাম । বিজেপি বন্দুক চেনেই না । ওরা এটাকে একে-47 পর্যন্ত বলতে পারে । তারা শুধু তৃণমূলের বদনাম করতে চায় ।" এনিয়ে পুকালুর সুরেই সুর মিলিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান । তিনি বলেন, "বিজেপির কাজ শুধু আমাদের নিন্দা করা । ওদের পায়ের নিচে জমি নেই । পৌর নির্বাচনে তা প্রমাণিত । আগামী পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে ওরা রাজ্য থেকে উধাও হয়ে যাবে । পুকালু যে বন্দুকের ছবি পোস্ট করেছে, তা নেহাতই পাখি মারা বন্দুক ।"