ETV Bharat / state

Malda Medical Hospital: চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, মালদা মেডিক্যাল চত্বরের অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো মালদা জেলাতেও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি ৷ এই পরিস্থিতিতে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরের অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷

ETV Bharat
মালদা মেডিক্যাল কলেজ চত্বর
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 3, 2023, 6:28 PM IST

মালদা মেডিক্যাল চত্বরের অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

মালদা, 3 অক্টোবর : পুজোর মুখে ডেঙ্গির চোখরাঙানিতে সন্ত্রস্ত গোটা মালদা জেলা ৷ বিশেষ করে মালদা শহরে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে ৷ ইতিমধ্যেই এই জেলায় প্রায় ১৭০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গিতে ৷ জ্বর এখন ঘরে ঘরে ৷ চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন,জ্বর হলেই রোগীকে যেন কাছাকাছি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু খোদ মালদা মেডিক্যালই এই বর্ষায় যেন ডেঙ্গির হটস্পট ৷ যেখানে সেখানে ছড়িয়ে রয়েছে আবর্জনা ৷ তার পাশেই ঘুমোচ্ছেন রোগীদের পরিজনরা ৷ দেখা মিলছে জমা জলেরও ৷

এদিকে আবার ইংরেজবাজার পৌরসভার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মেডিক্যালের সাফাইয়ের বিষয়টি দেখাশোনা করে সেখানকার রোগী কল্যাণ সমিতি ৷ সেখানে পৌরসভার কোনও ভূমিকা নেই ৷ যদিও এনিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পরিষ্কার করা হয়েছে মেডিক্যাল হাসপাতাল চত্বর ৷ সোমবার সকাল পর্যন্ত আবর্জনায় ভরপুর ছিল মালদা মেডিক্যাল চত্বরের বিভিন্ন এলাকা ৷ বিশেষত মাতৃমা বিভাগের সামনে রোগীদের বিশ্রাম নেওয়ার জায়গার চারপাশের যা অবস্থা হয়েছিল তা চোখে দেখা যাচ্ছিল না ৷ সেখানেই দিনরাত কাটাতে হয় চিকিৎসাধীন রোগীদের পরিজনদের অধিকাংশকে ৷

প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, অন্ধকার নামলে মশার উৎপাতে সেখানে আর থাকা যায় না ৷ এই চত্বরে চোখে পড়েনি কোনও ডাস্টবিনও ৷ সব মিলিয়ে তাঁদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সময় কাটাতে হয় ৷ গাজোলের তারিকুল আনসারি নামে এক ব্যক্তির ভাগ্নে মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ৷ ১০ দিন ধরে তাই সেখানেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে ৷ তিনি বলছেন, “এখানে যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে রয়েছে ৷ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ৷ রাত হলে মশার উৎপাতে ঘুমানো যায় না ৷ অনেকে এখানে থাকতে না পেরে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছেন ৷ আমাদের অত টাকা নেই ৷ যাব কোথায়? এটা থাকার জায়গা, অথচ এখানে সাফাই করা হয় না ৷ রাতে যেখানে সেখানে ওষুধপত্র ফেলে চলে যাচ্ছে ৷ কিছু করার নেই ৷ এভাবেই এখানে থাকতে হচ্ছে ৷”

একই বক্তব্য রহিম শেখের ৷ তাঁর পরিবারের লোকও হাসপাতালে ভর্তি ৷ তিনি জানালেন,“তিনদিন ধরে এখানে আছি ৷ আবর্জনার দুর্গন্ধ আর মশার কামড় সহ্য করা যাচ্ছে না ৷ এখানে থেকে মশার কামড় খেয়ে একজনের জ্বর হয়েছে ৷ এখানে বাচ্চাদের নিয়ে মায়েরাও থাকছেন ৷ কিন্তু এখানে ডাস্টবিন পর্যন্ত নেই ৷ কারও নজরও নেই ৷ তবু কষ্ট করে এখানে থাকতে হচ্ছে ৷”

আরও পড়ুন: ফের শহরে প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি, 125 নম্বর ওয়ার্ডে মৃত্যু 63 বছরের প্রৌঢ়ের

এই প্রসঙ্গে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী সাফ বলেন,“মেডিক্যালে আবর্জনা সাফাইয়ের দায়িত্ব রোগী কল্যাণ সমিতির ৷ জেলাশাসক তার চেয়ারম্যান ৷ সাফাইয়ের জন্য একটি কোম্পানির সঙ্গে মেডিক্যালের চুক্তি রয়েছে ৷ তবে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ আমাদের বললে আমরা সেখানকার আবর্জনা তুলে নেব ৷” যদিও মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “আমাদের সাফাইকর্মীরা প্রতিদিন গোটা চত্বর পরিষ্কার করেন ৷ মাতৃমা বিভাগের সামনের অংশে রোগীদের আত্মীয়স্বজনরাই আবর্জনা ফেলে রাখেন ৷ তবু আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি ৷ ইতিমধ্যে জমে থাকা আবর্জনা তুলে নেওয়া হয়েছে ৷ সেখানে ডাস্টবিনও খুব তাড়াতাড়ি বসানো হচ্ছে ৷ আমাদের আবেদন, প্রত্যেকে যেন ডাস্টবিনেই আবর্জনা ফেলেন ৷”

মালদা মেডিক্যাল চত্বরের অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

মালদা, 3 অক্টোবর : পুজোর মুখে ডেঙ্গির চোখরাঙানিতে সন্ত্রস্ত গোটা মালদা জেলা ৷ বিশেষ করে মালদা শহরে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে ৷ ইতিমধ্যেই এই জেলায় প্রায় ১৭০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গিতে ৷ জ্বর এখন ঘরে ঘরে ৷ চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন,জ্বর হলেই রোগীকে যেন কাছাকাছি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু খোদ মালদা মেডিক্যালই এই বর্ষায় যেন ডেঙ্গির হটস্পট ৷ যেখানে সেখানে ছড়িয়ে রয়েছে আবর্জনা ৷ তার পাশেই ঘুমোচ্ছেন রোগীদের পরিজনরা ৷ দেখা মিলছে জমা জলেরও ৷

এদিকে আবার ইংরেজবাজার পৌরসভার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মেডিক্যালের সাফাইয়ের বিষয়টি দেখাশোনা করে সেখানকার রোগী কল্যাণ সমিতি ৷ সেখানে পৌরসভার কোনও ভূমিকা নেই ৷ যদিও এনিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পরিষ্কার করা হয়েছে মেডিক্যাল হাসপাতাল চত্বর ৷ সোমবার সকাল পর্যন্ত আবর্জনায় ভরপুর ছিল মালদা মেডিক্যাল চত্বরের বিভিন্ন এলাকা ৷ বিশেষত মাতৃমা বিভাগের সামনে রোগীদের বিশ্রাম নেওয়ার জায়গার চারপাশের যা অবস্থা হয়েছিল তা চোখে দেখা যাচ্ছিল না ৷ সেখানেই দিনরাত কাটাতে হয় চিকিৎসাধীন রোগীদের পরিজনদের অধিকাংশকে ৷

প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, অন্ধকার নামলে মশার উৎপাতে সেখানে আর থাকা যায় না ৷ এই চত্বরে চোখে পড়েনি কোনও ডাস্টবিনও ৷ সব মিলিয়ে তাঁদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সময় কাটাতে হয় ৷ গাজোলের তারিকুল আনসারি নামে এক ব্যক্তির ভাগ্নে মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ৷ ১০ দিন ধরে তাই সেখানেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে ৷ তিনি বলছেন, “এখানে যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে রয়েছে ৷ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ৷ রাত হলে মশার উৎপাতে ঘুমানো যায় না ৷ অনেকে এখানে থাকতে না পেরে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছেন ৷ আমাদের অত টাকা নেই ৷ যাব কোথায়? এটা থাকার জায়গা, অথচ এখানে সাফাই করা হয় না ৷ রাতে যেখানে সেখানে ওষুধপত্র ফেলে চলে যাচ্ছে ৷ কিছু করার নেই ৷ এভাবেই এখানে থাকতে হচ্ছে ৷”

একই বক্তব্য রহিম শেখের ৷ তাঁর পরিবারের লোকও হাসপাতালে ভর্তি ৷ তিনি জানালেন,“তিনদিন ধরে এখানে আছি ৷ আবর্জনার দুর্গন্ধ আর মশার কামড় সহ্য করা যাচ্ছে না ৷ এখানে থেকে মশার কামড় খেয়ে একজনের জ্বর হয়েছে ৷ এখানে বাচ্চাদের নিয়ে মায়েরাও থাকছেন ৷ কিন্তু এখানে ডাস্টবিন পর্যন্ত নেই ৷ কারও নজরও নেই ৷ তবু কষ্ট করে এখানে থাকতে হচ্ছে ৷”

আরও পড়ুন: ফের শহরে প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি, 125 নম্বর ওয়ার্ডে মৃত্যু 63 বছরের প্রৌঢ়ের

এই প্রসঙ্গে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী সাফ বলেন,“মেডিক্যালে আবর্জনা সাফাইয়ের দায়িত্ব রোগী কল্যাণ সমিতির ৷ জেলাশাসক তার চেয়ারম্যান ৷ সাফাইয়ের জন্য একটি কোম্পানির সঙ্গে মেডিক্যালের চুক্তি রয়েছে ৷ তবে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ আমাদের বললে আমরা সেখানকার আবর্জনা তুলে নেব ৷” যদিও মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “আমাদের সাফাইকর্মীরা প্রতিদিন গোটা চত্বর পরিষ্কার করেন ৷ মাতৃমা বিভাগের সামনের অংশে রোগীদের আত্মীয়স্বজনরাই আবর্জনা ফেলে রাখেন ৷ তবু আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি ৷ ইতিমধ্যে জমে থাকা আবর্জনা তুলে নেওয়া হয়েছে ৷ সেখানে ডাস্টবিনও খুব তাড়াতাড়ি বসানো হচ্ছে ৷ আমাদের আবেদন, প্রত্যেকে যেন ডাস্টবিনেই আবর্জনা ফেলেন ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.