মালদা, 5 জুলাই : অবশেষে ঘটনার চারদিনের মাথায় দেখা মিলল ফরেনসিক বিভাগের ৷ আজ সকালে মালদা শহরের ঘোড়াপির এলাকার ঘোষপাড়ায় টোটো দুর্ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেন ফরেনসিক বিভাগের সদস্যরা ৷ তাঁরা ঘটনাস্থান খুঁটিয়ে দেখার পাশাপাশি একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেন ৷ গোটা সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার, DSP প্রশান্ত দেবনাথ, ইংরেজবাজার থানার IC মদনমোহন রায়, ইংরেজবাজার থানার IC মদনমোহন রায় সহ অন্য পুলিশকর্তারা ৷
1 জুলাই বিকেল নাগাদ বিস্ফোরণের শব্দে চমকে উঠেছিল ঘোড়াপির এলাকার বাসিন্দারা ৷ আকস্মিকতা কাটিয়ে সবাই ঘটনাস্থানে গিয়ে দেখে, বিস্ফোরণ ঘটেছে কাঠের আসবাবপত্র নির্মাণের সামগ্রী বোঝাই একটি ই-রিকশায় ৷ বিস্ফোরণে রিকশার উপরের অংশ উড়ে গেছে ৷ একই সঙ্গে খন্ডবিখন্ড হয়েছে গেছেন চালকও ৷ খবর পেয়ে সেদিন সন্ধেয় ঘটনাস্থানে তদন্তে আসেন পুলিশ সুপার ৷ প্রাথমিক তদন্তের পর তিনি জানান, "ওই ই-রিকশার সামনের দিকে থাকা দু'টি ব্যাটারি বিস্ফোরণ হয়েই এই কাণ্ড ঘটেছে ৷" তবে বিরোধীরা তা মানতে নরাজ । BJP সাংসদ খগেন মুর্মু দাবি করেন, শুধুমাত্র ব্যাটারি বিস্ফোরণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না ৷ বিস্ফোরণের তীব্রতা অন্য কোনও বিস্ফোরকের দিকেই ইঙ্গিত করছে ৷ এরপরই পুলিশের পক্ষ ফরেনসিক বিভাগকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ এদিকে দুর্ঘটনার 72 ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ঘটনাস্থান থেকে টোটো কিংবা চালকের দেহাংশ না সরানোয় সমস্যায় পড়েন স্থানীয়রা ৷ গতকাল বিকেল পর্যন্ত পচা গন্ধে এলাকায় থাকা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছিল ৷ কিন্তু তখনও পর্যন্ত দেখা মেলেনি ফরেন্সিক বিভাগের ।
অবশেষে প্রায় 90 ঘণ্টা পর আজ সকালে সেখানে দেখে মেলে ফরেনসিক বিভাগের দুই সদস্যের দলকে ৷ প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তারা ওই এলাকা খুঁটিয়ে দেখে৷ একাধিক নমুনা সংগ্রহ করে ৷ এনিয়ে ফরেনসিক বিভাগের কেউ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ না খুললেও জানা গিয়েছে, ব্যাটারি বিস্ফোরণ থেকেই যে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে তারা মোটামুটি নিশ্চিত ৷ তবে আরও কিছু পরীক্ষা এখনও বাকি রয়েছে ৷ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে৷ আমরা অনেক জিনিস লক্ষ্য করেছি৷ প্রথমে বেশ কিছু জিনিস বোঝা যায়নি৷ সমস্ত তথ্যের সঙ্গে ফরেন্সিক রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে৷ প্রাথমিকভাবে যা বলা হয় তা বাইরে থেকে দেখে জানানো হয়৷ এখন সমস্ত রিপোর্ট মিলিয়ে ঘটনার সতত্য বোঝা যাবে৷ মৃত চালকের কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই ৷”