মালদা, 27 অগস্ট: পুলিশ তদন্ত করছে, দোষীরা নিশ্চয় শাস্তি পাবে ৷ রবিবার সকালে দত্তপুকুরের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন ফিরহাদ হাকিম ৷ মিজোরামে নিহত মালদার শ্রমিক পরিবারগুলোর হাতে রাজ্যের তরফে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দিতে এদিন ওই জেলায় গিয়েছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ৷ মালদা থেকেই মোচপোল বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যের মন্ত্রী ৷
ফিরহাদ বলেন, "দত্তপুকুরের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। দোষীদের শাস্তি হবে। মেদিনীপুরেও হয়েছিল, গ্রেফতার হয়েছে। এখানেও শাস্তি হবে। আমরা তো আর এনকাউন্টারে মারতে পারি না, আমরা আদালতে নিয়ে যাব। যা শাস্তি হওয়ার সেখানেই হবে। বে-আইনিভাবে যারা বাজি কারখানা চালাচ্ছে, তারা খুব অন্যায় করছে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বাজি হাব তৈরি করার কথা বলছেন। তারপরেও যারা অন্যায়ভাবে বে-আইনিভাবে বাজি কারখানা চালাচ্ছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।"
গত 16 মে এগরার ভয়াবহ স্মৃতি ফিকে হতে না-হতেই রবিবার সকালে কেঁপে ওঠে উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরের মোচপোল ৷ সেখানে বে-আইনি বাজি কারখানায় বিধ্বংসী বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে 7 জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ ৷ বেসরকারি মতে সংখ্যাটা আরও বেশি ৷ দত্তপুকুরের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ৷
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে রাজ্যপাল, বোসের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন স্থানীয়রা
এরইমধ্যে মিজোরামে নিহত মালদার শ্রমিকদের পরিবারগুলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের মন্ত্রী ৷ তুলে দেওয়া হয় 2 লক্ষ টাকার চেকও ৷ পাশাপাশি পরিবারগুলির হাতে 40 হাজার টাকার ফ্যামিলি বেনিফিট, ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ডও তুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার দুপুরে প্রথমে রতুয়ার চৌদুয়ার গ্রামে নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, তাজমুল হোসেন ৷ পরে ইংরেজবাজারের সাট্টারি হাইস্কুলে এসে ওই এলাকার নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সরকারি সাহায্য তুলে দেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে পাঠিয়েছেন। মিজোরামের দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারগুলোর পাশে থাকতে বলেছেন। যার যা দরকার তাই করব। পরিবারের শুধু আর্থিক সহযোগিতা হলেই হয়ে যায় না। বাচ্চাদের লেখাপড়া, স্থায়ী উপার্জনের ব্যবস্থা, অসুস্থ হলে পাশে থাকা আমরা সবকিছু দেখব। আপাতত রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নিহতদের পরিবারের হাতে 2 লক্ষ টাকার চেক, 40 হাজার টাকা ফ্যামিলি বেনিফিট, যদি কেউ লোন নিয়ে ব্যবসা করতে চান সেক্ষেত্রে 5 লক্ষ টাকার ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ মানদণ্ড অনুযায়ী বিধবা ভাতা ও বার্ধক্য ভাতারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।”