মালদা, 1 অক্টোবর: ক্ষমতায় আসার পর পুজোর সময় রাজ্যের অসংখ্য পুজো উদ্যোক্তাকে সরকারি অনুদান দিয়ে আসছে রাজ্য সরকার (state government) ৷ এ নিয়ে বিতর্কও রয়েছে ৷
বিরোধীদের দাবি, ক্লাবগুলিকে হাতে রাখতেই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার এই দান খয়রাত করে আসছে ৷ সরকারি কর্মীরাও তাঁদের বকেয়া ডিএ না দিয়ে পুজোয় ক্লাবগুলিকে সরকারের আর্থিক সহায়তা দান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৷ কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও বিরোধিতাকেই আমল দেয়নি রাজ্য সরকার ৷ বরং এবার পুজো অনুদানের টাকা 10 হাজার টাকা করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
দুর্দৈবের বাজারে সরকারি এই অনুদান গোটা রাজ্যের 40 হাজার 92টি পুজো কমিটিকে কিছুটা যে নিশ্চিন্ত করেছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই ৷ কিন্তু সরকারি এই অনুদান থেকে ব্রাত্য থেকে গিয়েছে আরও অসংখ্য পুজো কমিটি ৷ দুর্মূল্যের বাজারে পুজোর আয়োজন করতে কার্যত খাবি খাচ্ছে তারা ৷ এমনই 42টি কমিটি রয়েছে পুরাতন মালদা পৌর এলাকায় ৷ সরকারি অনুদান না পেয়ে আশাহত হয়েছিলেন এই কমিটিগুলির সদস্যরা ৷ উৎসব মরশুমে তাঁদের মন ভালো করে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ ৷ সরকারি অনুদান না পাওয়া এই 42টি পুজো কমিটিকে পৌরসভার তরফে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে ৷ এমনটা রাজ্যের অন্য কোথাও হয়েছে কিনা জানা নেই (Durga Puja 2022) ৷
পুরাতন মালদা পৌরসভার (Old Malda Municipality) তরফে মোট 42টি পুজো কমিটিকে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে (Financial assistance to 42 Puja Committees) ৷ পৌরসভার সভাকক্ষে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান সফিকুল আলম-সহ সমস্ত কাউন্সিলর ৷ কার্তিকবাবু পুজো উদ্যোক্তাদের জানান, রাজ্যের অন্য কোনও পৌরসভা এভাবে সরকারি অনুদান থেকে ব্রাত্য থাকা পুজো কমিটিগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে কি না তা তাঁদের জানা নেই ৷ তাঁরা লক্ষ্য করেছিলেন, সরকারি অনুদান না পেয়ে এই পৌর এলাকার 42টি পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা মন ভার করে বসেছিলেন ৷ তাই তাঁদের মুখে খানিক হাসি ফোটাতে তাঁরা এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ আগামিদিনে এই কমিটিগুলিও যাতে সরকারি অনুদানের আওতায় আসে, তার জন্য তাঁরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন ৷
আরও পড়ুন: তিনি শিক্ষিকা, তিনি শিল্পী, তিনিই পুরোহিত, 'দশভূজা' রিনিদেবীর অকাল বোধন
পুরাতন মালদা পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শত্রুঘ্ন সিংহ বর্মা বলেন, "পৌরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিলের সভাতেই সরকারি অনুদান থেকে ব্রাত্য থাকা পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ৷ পৌরসভার ফান্ড রাজ্য সরকারের মতো নয় ৷ তাই আমরা পাঁচ হাজার টাকা করে প্রতিটি পুজো কমিটিকে দিয়েছি ৷ আগামীতে এই পুজো কমিটিগুলিও যাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আর্থিক সহায়তা পায়, তার জন্য আমরা চেষ্টা করব ৷ আমরা প্রতিটি পুজো কমিটির কাছে আবেদন রেখেছি, পুরাতন মালদার ঐতিহ্য মেনে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রেখেই যেন নির্বিঘ্নে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয় ৷"