ETV Bharat / state

আধার কার্ড বিহারের, কাজ মালদায়; অর্ধাহারে দিন কাটছে 60 পরিবারের

author img

By

Published : Mar 30, 2020, 6:53 PM IST

আধার কার্ডে ঠিকানা লেখা বিহারের । কাজ করতে এসেছিল মালদায় । লকডাউনের জেরে এখন বাড়ি ফিরতে পারছে না 60 টি পরিবার । সঞ্চয়ের টাকাও শেষের দিকে । তাই অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের । স্থানীয় পঞ্চায়েতে সাহায্যের আর্জি জানালেও ফল হয়নি । আইনি জটিলতায় আটকে সবকিছু ।

Families of Bihar
প্রাণ বাঁচাতে দু'মুঠো খাবারের আর্জি জানাচ্ছে বিহারের 60 টি পরিবার

মালদা, 30 মার্চ : লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়েছে ভিন রাজ্য থেকে মালদায় কাজ করতে আসা প্রায় 60টি পরিবার ৷ আধার কার্ডে এই রাজ্যের ঠিকানা না থাকায় সমস্যা আরও বেড়েছে ৷ এখন প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশসানের কাছে দু’মুঠো খাবারের আর্জি জানাচ্ছে তারা ৷ এদিকে, আইনি জটিলতায় সরকারি সাহায্য করা যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ৷ এব্যাপারে তিনি ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷

কোরোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে জেলায় শুরু হয়েছিল অকাল বৃষ্টি ৷ তখনই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জেলার ইটভাটাগুলি ৷ ব্যতিক্রম ছিল না পুরাতন মালদার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক ইটভাটাও ৷ বৃষ্টির রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়ে যায় কোরোনা সংক্রমণ ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রথমে জনতা কারফিউ, পরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার ৷ এতেই সমস্যায় পড়ে যায় ইটভাটা শ্রমিকদের পরিবার ৷

ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙামাটিয়া এলাকার ইটভাটাতে কাজ করে ভিনরাজ্যের প্রায় 60টি পরিবারের 150 শ্রমিক ৷ পরিবারগুলি বিহারের ভাগলপুর, সাহেবগঞ্জ এলাকা থেকে এসেছে ৷ এই মুহূর্তে তাদের হাতে তেমন টাকাপয়সাও নেই ৷ ফিরে যেতে পারছে না নিজেদের বাড়ি ৷ এই পরিস্থিতিতে অর্ধাহারেই দিন কাটছে তাদের ৷ অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে শিশু-কিশোররাও ৷ দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের জন্য ওই শ্রমিকরা স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে ৷

Families of Bihar
সঞ্চয়ের টাকা শেষ, প্রাণ বাঁচাতে দু'মুঠো খাবারের আর্জি জানাচ্ছে বিহারের 60 টি পরিবার

আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে রঘুবীর রাম বলেন, "ভাগলপুর থেকে কাজে এখানে এসেছিলাম ৷ ভালোই কাজ চলছিল ৷ কিন্তু প্রথমে বৃষ্টি, পরে লকডাউনের জেরে ভাটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ স্ত্রী, ছেলে- মেয়ে নিয়ে বাড়িও ফিরে যেতে পারছি না ৷ হাতে টাকাপয়সা যা ছিল, সব শেষ ৷ এখন প্রায় না খেয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে খাবারের আবেদন জানিয়েছি ৷ কিন্তু এখনও কোনও সাহায্য পাইনি ৷ কী করে দিন কাটবে, বুঝতে পারছি না ৷"

আরেক শ্রমিক সাবানা বিবি বলেন, "এখানকার পঞ্চায়েত এই রাজ্যের পরিচয়পত্র দেখতে চাইছে ৷ কিন্তু আমাদের পরিচয়পত্র বিহারের ৷ বাংলার পরিচয় না থাকায় আমরা কোনও সাহায্য পাচ্ছি না ৷ প্রশাসনের কাছে আমার আর্জি, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ভেদাভেদ না দেখে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য করা হোক ৷ নইলে না খেতে পেয়ে মারা যাব ৷"

এবিষয় ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান যদুনাথ দুবে বলেন, "আমরা ওই ভাটা শ্রমিকদের সরকারি সাহায্য দেওয়ার চেষ্টা করছি ৷ কিন্তু সবার কাছে বিহারের পরিচয়পত্র ৷ আইনি জটিলতায় আমরা এখনও তাদের সাহায্য করতে পারিনি ৷ বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷"

গোটা ঘটনা শুনে ওই শ্রমিক পরিবারগুলিকে দ্রুত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন পুরাতন মালদার BDO ইরফান হাবিব ৷ তিনি জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে সবার কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে ৷ না খেয়ে কেউ থাকবে না ৷

মালদা, 30 মার্চ : লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়েছে ভিন রাজ্য থেকে মালদায় কাজ করতে আসা প্রায় 60টি পরিবার ৷ আধার কার্ডে এই রাজ্যের ঠিকানা না থাকায় সমস্যা আরও বেড়েছে ৷ এখন প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশসানের কাছে দু’মুঠো খাবারের আর্জি জানাচ্ছে তারা ৷ এদিকে, আইনি জটিলতায় সরকারি সাহায্য করা যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ৷ এব্যাপারে তিনি ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷

কোরোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে জেলায় শুরু হয়েছিল অকাল বৃষ্টি ৷ তখনই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জেলার ইটভাটাগুলি ৷ ব্যতিক্রম ছিল না পুরাতন মালদার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক ইটভাটাও ৷ বৃষ্টির রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়ে যায় কোরোনা সংক্রমণ ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রথমে জনতা কারফিউ, পরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার ৷ এতেই সমস্যায় পড়ে যায় ইটভাটা শ্রমিকদের পরিবার ৷

ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙামাটিয়া এলাকার ইটভাটাতে কাজ করে ভিনরাজ্যের প্রায় 60টি পরিবারের 150 শ্রমিক ৷ পরিবারগুলি বিহারের ভাগলপুর, সাহেবগঞ্জ এলাকা থেকে এসেছে ৷ এই মুহূর্তে তাদের হাতে তেমন টাকাপয়সাও নেই ৷ ফিরে যেতে পারছে না নিজেদের বাড়ি ৷ এই পরিস্থিতিতে অর্ধাহারেই দিন কাটছে তাদের ৷ অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে শিশু-কিশোররাও ৷ দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের জন্য ওই শ্রমিকরা স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে ৷

Families of Bihar
সঞ্চয়ের টাকা শেষ, প্রাণ বাঁচাতে দু'মুঠো খাবারের আর্জি জানাচ্ছে বিহারের 60 টি পরিবার

আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে রঘুবীর রাম বলেন, "ভাগলপুর থেকে কাজে এখানে এসেছিলাম ৷ ভালোই কাজ চলছিল ৷ কিন্তু প্রথমে বৃষ্টি, পরে লকডাউনের জেরে ভাটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ স্ত্রী, ছেলে- মেয়ে নিয়ে বাড়িও ফিরে যেতে পারছি না ৷ হাতে টাকাপয়সা যা ছিল, সব শেষ ৷ এখন প্রায় না খেয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে খাবারের আবেদন জানিয়েছি ৷ কিন্তু এখনও কোনও সাহায্য পাইনি ৷ কী করে দিন কাটবে, বুঝতে পারছি না ৷"

আরেক শ্রমিক সাবানা বিবি বলেন, "এখানকার পঞ্চায়েত এই রাজ্যের পরিচয়পত্র দেখতে চাইছে ৷ কিন্তু আমাদের পরিচয়পত্র বিহারের ৷ বাংলার পরিচয় না থাকায় আমরা কোনও সাহায্য পাচ্ছি না ৷ প্রশাসনের কাছে আমার আর্জি, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ভেদাভেদ না দেখে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য করা হোক ৷ নইলে না খেতে পেয়ে মারা যাব ৷"

এবিষয় ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান যদুনাথ দুবে বলেন, "আমরা ওই ভাটা শ্রমিকদের সরকারি সাহায্য দেওয়ার চেষ্টা করছি ৷ কিন্তু সবার কাছে বিহারের পরিচয়পত্র ৷ আইনি জটিলতায় আমরা এখনও তাদের সাহায্য করতে পারিনি ৷ বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷"

গোটা ঘটনা শুনে ওই শ্রমিক পরিবারগুলিকে দ্রুত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন পুরাতন মালদার BDO ইরফান হাবিব ৷ তিনি জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে সবার কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে ৷ না খেয়ে কেউ থাকবে না ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.