ETV Bharat / state

শুরু থেকে মমতার সঙ্গী, এবার ভোট ময়দান থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন দুলাল - ভোট ময়দান থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন দুলাল

তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছেন ৷ তৃণমূল নেত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে শাসকদলে পরিচিত ৷ দলনেত্রীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কে এখনও কোনও চিড় ধরেনি ৷ পরপর পাঁচ বার তিনি পৌর নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন ৷ এহেন দুলালবাবু নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করায় স্বাভাবিকভাবেই তোলপাড় শুরু হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে ৷

দুলাল সরকার
author img

By

Published : Aug 23, 2019, 8:21 AM IST

Updated : Aug 23, 2019, 8:52 AM IST

মালদা, 23 অগাস্ট: ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার ৷ নিজের সিদ্ধান্তের কথা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েও দিয়েছেন ৷ তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা চলছে দলের অন্দরে ৷ ব্যক্তিগত কারণেই ভোট ময়দান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে প্রকাশ্যে দাবি করেছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ৷ কিন্তু নিজের ঘনিষ্ঠমহলে তাঁর এই সিদ্ধান্তের জন্য দায়ি করেছেন পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষকে ৷

তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছেন ৷ তৃণমূল নেত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে শাসকদলে পরিচিত ৷ রাজ্যের শাসন ক্ষমতা দখলের আগে কোনও কারণে মালদায় এলে তিনি ছিলেন তৃণমূলনেত্রীর ছায়াসঙ্গী ৷ জানা গেছে, দলনেত্রীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কে এখনও কোনও চিড় ধরেনি ৷ পরপর পাঁচ বার তিনি পৌর নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন ৷ টানা 15 বছর ধরে সামলাচ্ছেন পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ৷ এহেন দুলালবাবু নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করায় স্বাভাবিকভাবেই তোলপাড় শুরু হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে ৷

আরও পড়ুন : অঞ্চল সভাপতি করার প্রলোভন দেখিয়ে 2 লাখ হাতিয়েছেন তৃণমূল নেতা !

সংবাদমাধ্যমের সামনে দুলাল সরকার বলেন, "1979 সালে বরকত সাহেব যখন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন, তাঁর হাত ধরেই রাজনীতি শুরু করি ৷ পরে বরকত সাহেব আমাকে পৌর নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেন ৷ পরপর পাঁচ বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হই ৷ তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছি ৷ তিনি আমাকে দু'বার বিধানসভার প্রার্থীও করেছিলেন ৷ আমাকে কাউন্সিলর করেছেন ৷ পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান করেছেন ৷ কিছুদিনের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্বও দিয়েছেন ৷ জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি ছিলাম, পরে জেলা তৃণমূলের সভাপতিও হই ৷ এই প্রথম দলে আমার কোনও পদ নেই ৷ অনেকদিনই হয়ে গেল আমার ৷ এবার নতুন ছেলেদের জায়গা দিতে হবে ৷ রাজনীতিতে যত নতুন ছেলে আসবে, তারা আরও বেশি মানুষের কাজ করতে পারবে ৷ তাছাড়া আমার বয়স হয়েছে ৷ পরিবারের দায়িত্ব বেড়েছে ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পর এত উন্নয়ন হয়েছে যে, মানুষের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে ৷ কিন্তু অনেক কারণেই আমরা মানুষের সব চাহিদা পূরণ করতে পারছি না ৷ তাই আমি আর ভোটে লড়াই করব না ৷ একথা দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি ৷ জনপ্রতিনিধি হিসেবে অনেক কাজই করতে পারছি না ৷ তাই এখন থেকে শুধুমাত্র দলেরই কাজ করব ৷ দলের হয়েই মানুষের কাজ করা যাবে ৷ তবে আমার এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয় নেই ৷"

ভিডিয়োয় শুনুন দুলালবাবুর বক্তব্য

যদিও নিজের ঘনিষ্ঠমহলে এই সিদ্ধান্তের পিছনে দুলালবাবু পরোক্ষে পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষকেই দায়ি করেছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান নিয়ম মেনে কোনও কাজ করছেন না ৷ পরিকল্পনাহীনভাবেই চলছে পৌরসভা ৷ তার খেসারত তাঁকেই সবচেয়ে বেশি দিতে হচ্ছে ৷ নিজের 20 নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশি ও জঞ্জাল অপসারণের কাজ সঠিকভাবে করতে পারছেন না ৷ তাঁর হাতে আর্থিক কোনও ক্ষমতা না থাকায় নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না ৷ সম্ভবত তিনি বুঝতে পেরেছেন, এভাবে চললে আগামী পৌরসভা নির্বাচনে দলের জয়লাভ করা কঠিন ৷ লোকসভা নির্বাচনে তাঁর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন ৷ ফলে ওয়ার্ডের মানুষ যে দলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, তা পরিষ্কার ৷ সেজন্যই তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি নীহারবাবু ৷ তিনি বলেন, "দুলালবাবু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা সে বিষয়ে দলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ৷ " এই নিয়ে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুরেরও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷

মালদা, 23 অগাস্ট: ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার ৷ নিজের সিদ্ধান্তের কথা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েও দিয়েছেন ৷ তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা চলছে দলের অন্দরে ৷ ব্যক্তিগত কারণেই ভোট ময়দান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে প্রকাশ্যে দাবি করেছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ৷ কিন্তু নিজের ঘনিষ্ঠমহলে তাঁর এই সিদ্ধান্তের জন্য দায়ি করেছেন পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষকে ৷

তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছেন ৷ তৃণমূল নেত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে শাসকদলে পরিচিত ৷ রাজ্যের শাসন ক্ষমতা দখলের আগে কোনও কারণে মালদায় এলে তিনি ছিলেন তৃণমূলনেত্রীর ছায়াসঙ্গী ৷ জানা গেছে, দলনেত্রীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কে এখনও কোনও চিড় ধরেনি ৷ পরপর পাঁচ বার তিনি পৌর নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন ৷ টানা 15 বছর ধরে সামলাচ্ছেন পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ৷ এহেন দুলালবাবু নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করায় স্বাভাবিকভাবেই তোলপাড় শুরু হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে ৷

আরও পড়ুন : অঞ্চল সভাপতি করার প্রলোভন দেখিয়ে 2 লাখ হাতিয়েছেন তৃণমূল নেতা !

সংবাদমাধ্যমের সামনে দুলাল সরকার বলেন, "1979 সালে বরকত সাহেব যখন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন, তাঁর হাত ধরেই রাজনীতি শুরু করি ৷ পরে বরকত সাহেব আমাকে পৌর নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেন ৷ পরপর পাঁচ বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হই ৷ তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছি ৷ তিনি আমাকে দু'বার বিধানসভার প্রার্থীও করেছিলেন ৷ আমাকে কাউন্সিলর করেছেন ৷ পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান করেছেন ৷ কিছুদিনের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্বও দিয়েছেন ৷ জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি ছিলাম, পরে জেলা তৃণমূলের সভাপতিও হই ৷ এই প্রথম দলে আমার কোনও পদ নেই ৷ অনেকদিনই হয়ে গেল আমার ৷ এবার নতুন ছেলেদের জায়গা দিতে হবে ৷ রাজনীতিতে যত নতুন ছেলে আসবে, তারা আরও বেশি মানুষের কাজ করতে পারবে ৷ তাছাড়া আমার বয়স হয়েছে ৷ পরিবারের দায়িত্ব বেড়েছে ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পর এত উন্নয়ন হয়েছে যে, মানুষের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে ৷ কিন্তু অনেক কারণেই আমরা মানুষের সব চাহিদা পূরণ করতে পারছি না ৷ তাই আমি আর ভোটে লড়াই করব না ৷ একথা দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি ৷ জনপ্রতিনিধি হিসেবে অনেক কাজই করতে পারছি না ৷ তাই এখন থেকে শুধুমাত্র দলেরই কাজ করব ৷ দলের হয়েই মানুষের কাজ করা যাবে ৷ তবে আমার এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয় নেই ৷"

ভিডিয়োয় শুনুন দুলালবাবুর বক্তব্য

যদিও নিজের ঘনিষ্ঠমহলে এই সিদ্ধান্তের পিছনে দুলালবাবু পরোক্ষে পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষকেই দায়ি করেছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান নিয়ম মেনে কোনও কাজ করছেন না ৷ পরিকল্পনাহীনভাবেই চলছে পৌরসভা ৷ তার খেসারত তাঁকেই সবচেয়ে বেশি দিতে হচ্ছে ৷ নিজের 20 নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশি ও জঞ্জাল অপসারণের কাজ সঠিকভাবে করতে পারছেন না ৷ তাঁর হাতে আর্থিক কোনও ক্ষমতা না থাকায় নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না ৷ সম্ভবত তিনি বুঝতে পেরেছেন, এভাবে চললে আগামী পৌরসভা নির্বাচনে দলের জয়লাভ করা কঠিন ৷ লোকসভা নির্বাচনে তাঁর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন ৷ ফলে ওয়ার্ডের মানুষ যে দলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, তা পরিষ্কার ৷ সেজন্যই তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি নীহারবাবু ৷ তিনি বলেন, "দুলালবাবু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা সে বিষয়ে দলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ৷ " এই নিয়ে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুরেরও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷

Intro:মালদা, 22 অগাস্ট : ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার। কেন তাঁর এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে শহরজুড়ে এখন শুধুই আলোচনা। আলোচনা দলের অন্দরেও। প্রকাশ্যে দুলালবাবু বলছেন, ব্যক্তিগত কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিজের সিদ্ধান্তের কথা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েও দিয়েছেন। তবে নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি এই সিদ্ধান্তের জন্য পৌরসভার চেয়ারম্যানকেই দায়ী করেছেন। যদিও দুলালবাবুর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ তেমন কোনও মন্তব্য করতে চাননি।


Body:মালদা শহরের রাজনীতিতে দুলালবাবু পরিচিত মুখ। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি তৃণমূল নেত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবে শাসকদলে পরিচিত। রাজ্য দখলের আগে কোনও কারণে মালদায় এলে দুলালবাবু ছিলেন তৃণমূলনেত্রীর ছায়াসঙ্গী। দু'জনের ব্যক্তিগত সম্পর্কে এখনো কোনও চিড় ধরেনি বলেই জানা যায়। পরপর 5 বার তিনি পৌর নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। টানা 15 বছর ধরে সামলাচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যানের পদ। এহেন দুলালবাবু নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করায় স্বাভাবিকভাবেই তোলপাড় শাসকদলের অন্দরমহল।
যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি এই সিদ্ধান্তের জন্য ব্যক্তিগত সমস্যারই উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, "রাজনীতি করা প্রায় 40 বছর হয়ে গেল। 1979 সালে বরকত সাহেব যখন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন, তাঁর হাত ধরেই আমি রাজনীতি শুরু করি। পরে বরকত সাহেব আমাকে পৌর নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেন। পরপর 5 বার আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হই। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী'ও দু'বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমি আছি। তিনি আমাকে দু'বার বিধানসভার প্রার্থীও করেছিলেন। কোনও কারণবশত আমি অবশ্য জিততে পারিনি। তিনি আমাকে কাউন্সিলর করেছেন। পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান করেছেন। কিছুদিনের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্বও দিয়েছেন। আমি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি ছিলাম। পরবর্তীতে জেলা তৃণমূলের সভাপতিও হই। এই মুহূর্তে জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন মৌসম নূর। জন্মের পর থেকে এই প্রথম দলে আমার কোনও পদ নেই। অনেকদিনই হয়ে গেল আমার। এবার নতুন ছেলেদের জায়গা দিতে হবে। রাজনীতিতে যত নতুন ছেলে আসবে, তারা আরও বেশি মানুষের কাজ করতে পারবে। তাছাড়া আমার বয়স হয়েছে। পরিবারের দায়িত্ব বেড়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পর এত উন্নয়ন হয়েছে যে মানুষের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু অনেক কারণেই আমরা মানুষের সব চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। অনেক চিন্তা করে দেখেছি, নির্বাচনে লড়াই করার মতো সামর্থ্য আমার নেই। তাই আমি আর ভোটে লড়াই করব না। সেকথা আমি দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। জনপ্রতিনিধি হিসাবে অনেক কিছুই করতে পারছি না। অনেক কথা কাউকে বলতে পারছি না। একটা বাধ্যবাধকতা থেকে যাচ্ছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে শুধুমাত্র দলেরই কাজ করব। দলের হয়েই মানুষের কাজ করা যাবে। তবে আমার এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয় নেই।"
দুলালবাবু সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কারণ নিয়ে কিছু বলতে রাজি না হলেও নিজের ঘনিষ্ঠমহলে তিনি এর জন্য পরোক্ষে পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষকেই দায়ী করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, নীহারবাবু নিয়ম মেনে কোনও কাজ করছেন না। পরিকল্পনাহীনভাবে চলছে পৌরসভা। তার খেসারত তাঁকেই সবচেয়ে বেশি দিতে হচ্ছে। নিজের 20 নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশি ও জঞ্জাল অপসারণের কাজ ঠিকমতো করতে পারছেন না। তাঁর হাতে আর্থিক কোনও ক্ষমতাও নেই। ফলে নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তিনি সম্ভবত বুঝে ফেলেছেন, এভাবে চললে আগামী পৌর নির্বাচনে তাঁর জয় পাওয়া কঠিন। লোকসভা নির্বাচনে তাঁর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন। ফলে ওয়ার্ডের মানুষ যে দলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, তা পরিষ্কার। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষকে ফের দলের দিকে টেনে আনা তাঁর পক্ষে কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন তিনি। সম্ভবত সেকারণেই তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


Conclusion:যদিও এনিয়ে তেমনভাবে কোনও মন্তব্য করেননি নীহারবাবু। তিনি শুধু বলেন, দুলালবাবু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা সেবিষয়ে দলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এনিয়ে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Last Updated : Aug 23, 2019, 8:52 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.