মালদা, 22 এপ্রিল: এক মাসের কৃচ্ছ্রসাধন এবারের মতো শেষ। তীব্র তাপপ্রবাহে ও দিনভর একবিন্দু জল ঠোঁটে না ঠেকানোর দিনও শেষ। শনিবার উদযাপিত হয়েছে খুশির ঈদ। কালিয়াচকের সুজাপুরেও শনিবার লক্ষাধিক মানুষ একযোগে নমাজ পড়েছেন ৷ শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ভালোবাসার আলিঙ্গন বা কোলাকুলিতে মেতে উঠেছিলেন ৷
বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রখর রোদের তেজে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল বঙ্গবাসীর ৷ তারমধ্যেই শনিবার ঈদ-উল-ফিতর ৷ ফলে আশঙ্কা ছিল, সকালের নমাজও পড়তে হবে রোদের তেজকে উপেক্ষা করেই ৷ তবে ঈদের সকালটাই শুরু হয় অন্যরকমভাবে ৷ ভোরের সামান্য বৃষ্টি ঈদের সকালে নমাজিদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। অবশ্য চড়া রোদের জন্য আগে থেকেই ঈদের নমাজের সময় অনেকটা এগিয়ে নিয়ে এসেছিল বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদ কমিটি। ফলে প্রতি বছরের মতো এবারও জেলার সবচেয়ে বড় নমাজের জমায়েত হয়েছিল কালিয়াচকের সুজাপুরে। সেখানে শনিবার লক্ষাধিক মানুষ একযোগে নমাজ পড়েছেন। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছিল নমাজের রীতি।
আরও পড়ুন: ঈদের অনুষ্ঠানে কল্যাণ, রিষড়ার ঐতিহ্য মনে করিয়ে দিলেন শান্তির বার্তা
কলকাতার রেড রোডের জমায়েতের পরেই সুজাপুর ঈদগাহের নমাজে জমায়েত হয়। ফলে পুলিশ প্রশাসনও আগে থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছিল। সকাল সাতটা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল 12 নম্বর জাতীয় সড়ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োগ করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুধু সুজাপুর নয়, শনিবার জেলার প্রতিটি ঈদগাহেই যথেষ্ট ভালো পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ্য করা গিয়েছে। মালদা শহরের ঈদগাহ ময়দানেও হাজার পনেরো নমাজি, নমাজ পাঠ করেছেন।
শহরে মহিলাদের জন্য আলাদা করে নমাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দুই জায়গাতেই পুলিশের সঙ্গে ইংরেজবাজার পৌরসভার কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। ঈদগাহ ময়দানে নমাজিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মুও। পাশাপাশি, সংখালঘু অধ্যুষিত মালদা জেলার প্রতিটি ব্লকেই নমাজ পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল। ঈদে যাতে কোথাও কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে খোলা হয়েছিল কন্ট্রোল রুমও।