মালদা, 1 জুলাই : একটানা বৃষ্টিতে বেরিয়ে এল মালদা শহরের নিকাশি ব্যবস্থার কঙ্কালসার চিত্র । বৃষ্টির জলে ভেসে গিয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে জেলাশাসকের বাংলোও । ঘূর্ণিঝড় যশের হাত ধরে এবার বর্ষা এসেছে বাংলায় । গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি চলছে জেলায় জেলায় । মালদা জেলায় শুরু হয়েছে অঝোর বৃষ্টি । শুধু মালদা শহর নয়, এবার নিকাশি অব্যবস্থার ছবি ধরা পড়েছে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও । ঝাঁ চকচকে হাসপাতাল চত্বরটায় চোখ গেলেই মনে হবে, বোধহয় সেখানে ছোটখাটো ডোবা তৈরি করা হয়েছে । জমা জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের ।
জল থইথই করছে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বর । হাসপাতালে ঢোকার মুখেই তৈরি হয়েছে বড় গর্ত । জমা জলে তা এখন ছোটখাটো ডোবার চেহারা নিয়েছে । পাশে থাকা কোভিড ওয়ার্ডের সামনে গোড়ালির উপর পর্যন্ত জল । জল জমে রয়েছে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের সামনেও । সেখানেই ওষুধ নিতে গিয়েছিলেন স্থানীয় রামদেবপুরের বাসিন্দা রুবি খাতুন । তাঁর কথায়, “হাসপাতাল চত্বরে বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ পড়ে থাকে । তার মধ্যেই জল জমেছে । জমা জলে নানা ধরনের জীবাণু থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে । অথচ এই জল পেরিয়েই ওষুধ আনতে যেতে হচ্ছে । এটা কেন হবে? হাসপাতাল চত্বরে জল জমবে কেন? কর্তৃপক্ষের উচিত, দ্রুত জমা জল সাফ করা ।” একই বক্তব্য আরেক রোগীর আত্মীয় গৌরীপুরের জাকির আলিরও । তিনি বলেন, “ওষুধ কিনতে জল পেরিয়ে যেতে হচ্ছে । প্যান্ট গুটিয়ে যাতায়াত ছাড়া উপায় নেই । খুবই অসুবিধা হচ্ছে । বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত । সরকার তো টাকা ঠিকই দিচ্ছে । সম্ভবত ঠিকাদাররা ঠিকমতো কাজ করে না ।”
আরও পড়ুন: 2 দিন নিখোঁজ থাকার পর পিসির বাড়ি থেকে উদ্ধার যুবকের ঝুলন্ত দেহ
চাঁচল মহকুমার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার সহকারী স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, “ চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ড সহ একাধিক জায়গায় জল জমে থাকার বিষয়টি জানি । ইতিমধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মহকুমাশাসকের নজরে নিয়ে এসেছে । এবিষয়ে পূর্ত দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে । বৃষ্টি থামলেই নিকাশি ব্যবস্থার কাজ শুরু হবে । জমা জলও সাফ করা হবে ।”