মালদা, 28 জানুয়ারি: রাজ্যপালের হাতেখড়ি পর্ব নিয়ে এখনও বঙ্গ বিজেপির অন্দরে তরজা চলছে ৷ আজও তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায় ৷ উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে আজ ভোরে মালদা স্টেশনে তিনি রাজ্যপালকে আরও রাজনৈতিকভাবে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হওয়ার বার্তা দিয়েছেন ৷ পাশাপাশি নওশাদ সিদ্দিকি এবং জিটিএ নিয়েও মন্তব্য করেন মেদিনীপুরের সাংসদ ৷
2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করেছে বঙ্গের পদ্ম শিবির ৷ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে তারা লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ধরে নিয়েছে ৷ তাই নতুন করে বিস্তারক নিয়োগ শুরু হয়েছে গোটা রাজ্যে ৷ দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে সংগঠনের খামতি বুঝে নিতেই এই বিস্তারক নিয়োগ ৷ নিযুক্ত বিস্তারকরা আগামী লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত নিজেদের কাজ করে যাবেন ৷ সেই কর্মসূচি নিয়ে শনিবার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে একাধিক বৈঠক করবেন দিলীপ ঘোষ ৷ রবিবার মালদায় কর্মসূচি রয়েছে তাঁর ৷
আজ ভোরে গৌড় এক্সপ্রেসে মালদা স্টেশনে নামেন বিজেপির সহসভাপতি ৷ বিশ্রাম নিতে পুরনো মালদার গৌড় ভবনে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের কাছে নওশাদ সিদ্দিকি (Dilip Ghosh over Nawsad Siddique) প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, "ওরা ওদের গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য আন্দোলন করছে ৷ এখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশটাই শেষ করে দেওয়া হচ্ছে ৷ এখানে বিরোধীদের আন্দোলন করার কিংবা বক্তব্য রাখার কোনও জায়গা নেই ৷ দলীয় কর্মসূচি পালনের অধিকারও নেই ৷ এই অবস্থায় কেউ তো গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করতেই পারে ৷"
আরও পড়ুন: প্রধান অতিথি প্রাক্তন 'বস'! রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে নেই শুভেন্দু
এই মুহূর্তে রাজ্যপাল (Dilip Ghosh over Governor) ইস্যু নিয়ে বঙ্গ বিজেপি কার্যত দু'টি ভাগে বিভক্ত ৷ এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি নেতা বলেন, "রাজ্যপালের মতো গরিমাযুক্ত পদে থেকে কেউ যখন এ ধরনের কোনও কাজ করেন তখন প্রশ্ন ওঠে ৷ রাজ্যপাল পদটি সাংবিধানিক ৷ সিভি আনন্দ বোস খুব যোগ্য মানুষ ৷ তাঁর অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে ৷ তিনি বাংলার স্বার্থে সেই কাজ করুন ৷ কিন্তু এখানকার রাজনীতি খুব স্পর্শকাতর ৷ সেটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে তিনি যদি কাজ করেন, তবে এসব প্রশ্ন উঠবে না ৷"
সম্প্রতি দলীয় বিধায়ক হিরণের তৃণমূলে যাওয়ার সম্ভবনা নিয়ে গোটা বাংলা জুড়ে চর্চা চলছে ৷ তারই মধ্যে হিরণের সঙ্গে শুভেন্দুর ছবি এখন ভাইরাল ৷ এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদের প্রতিক্রিয়া, "দু’জনেই আমাদের বিধায়ক ৷ এক ফ্রেমেই তো দু’জনের ছবি থাকবে ৷" গাড়িতে চেপে গৌড় ভবন যাওয়ার মুখে দিলীপবাবু জানিয়ে দেন, "জিটিএ দাবি করলেও কোনও পৃথক রাজ্য হবে না ৷ বাংলা একটাই রাজ্য ৷ একই থাকবে ৷ আসলে বাংলার উন্নয়ন হচ্ছে না বলেই এমন দাবি উঠতে শুরু করেছে ৷"
আরও পড়ুন: পদ্ম ছেড়ে ফের ঘাসফুলে হিরণ ! তৃণমূল নেতার সঙ্গে ছবি ঘিরে জল্পনা