মালদা, 26 অগাস্ট : দৈনিক ভাতা 20 টাকা। রাজ্যে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় থেকেই এভাবেই কাজ করে চলেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত কর আদায়কারীরা। একাধিকবার পঞ্চায়েত মন্ত্রী সহ মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি বলে দাবি কর আদায়কারীদের। আজ ফের তাঁরা DP-RDO-র কাছে ডেপুটেশন দিলেন। সরকারি সুযোগ সুবিধা না মেলায় প্রশাসনিক ভবন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ধর্নায় বসেছেন কর আদায়কারীরা।
পশ্চিমবঙ্গ গ্রাম পঞ্চায়েত কর আদায়কারী সমিতির রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রাজীব হাসান বলেন, "আজ আমরা DP-RDO-র কাছে ডেপুটেশন দিতে এসেছি। আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কর আদায়কারী। যখন পঞ্চায়েত খোলা হয় সেই সময় সেক্রেটারি, চৌকিদার ও কর আদায়কারী এই তিনটি পোস্ট ছিল। রাজ্যে CPI(M) ক্ষমতায় থাকাকালীন সেক্রেটারি ও চৌকিদার সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা পেয়ে যায়। কিন্তু কর আদায়কারীরা সেই সময় থেকে একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ওই সরকারের আমলে বারবার আবেদন জানিয়েও ফল মেলেনি। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে আমরা ভেবেছিলাম আমরা হয়তো এবারে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাব। কিন্তু আজও আমরা অসহায়। আমাদের দিনে 20 টাকা ভাতা দেওয়া হয়। মাসে 600 টাকা ভাতা দেওয়া হয় তাও ট্রেজারির মাধ্যমে। মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা বারবার চিঠি পাঠিয়েছি। পঞ্চায়েত মন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের কোনও সুরাহা হয়নি। পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷"
আজ দুপুরে মিছিল করে মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে জমায়েত করেন পশ্চিমবঙ্গ গ্রাম পঞ্চায়েত কর আদায়কারী সমিতির মালদা জেলা শাখার সদস্যরা। নিজেদের দাবি নিয়ে শ্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সমিতির সদস্যরা। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে DP-RDO-র কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।