মালদা, 30 এপ্রিল : মাত্র আধঘণ্টার কালবৈশাখীতে তছনছ হয়ে গিয়েছে চাষ জমি । ক্ষতি হয়েছে আমচাষেও। যদিও এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও হিসাব জেলা কৃষি কিংবা উদ্যানপালন দফতর দিতে পারেনি । দুই দফতরের তরফেই জানানো হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট সংগ্রহের কাজ চলছে । বিকেল নাগাদ প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া যাবে (Cultivated land got destroyed)।
গতকাল রাত আটটা নাগাদ কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় । প্রায় 30 মিনিট ধরে চলে ঝড়-বৃষ্টি। এরপর রাত 12টা নাগাদ ফের ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে । তারই জেরে বেশ কিছু এলাকার বোরোধানের গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে । জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে ।
এই অবস্থায় কাঁচা ধানই কেটে নিতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। কিন্তু সমস্যা সেখানেও। ধান কাটার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাঁরা বেশি মজুরি দাবি করছেন । চাষিদের বক্তব্য, যেভাবেই হোক, এখন কাঁচা ধানই জমি থেকে তুলতে হবে। না-হলে ধানের একটি দানাও ঘরে ঢুকবে না। কারণ, আরও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
আরও পড়ুন : দু'মাস পরে বারিধারায় প্রাণ জুড়োল দক্ষিণবঙ্গবাসীর, তবে আসছে ঘূর্ণাবর্ত !
প্রত্যেক বছরই একরাতের ঝড়েই চাষিদের কয়েক মাসের পরিশ্রম কার্যত জলে চলে যায় ৷ এখনও পর্যন্ত পাশে পাওয়া যায়নি প্রশাসনকে ৷ শস্যবীমা থাকলে কিছু টাকা মেলে ৷ যাদের শস্যবীমা নেই তাঁদের পুরো খরচই শেষ হয়ে যায় ৷ ফলে প্রতি বছরের এই সমস্যা থেকে সমাধান কী, এখনও তা জানেন না অধিকাংশ চাষিই ৷