ETV Bharat / state

3 বছরের ছেলেকে রেখে মালদায় আত্মঘাতী দম্পতি, ধন্ধে পরিবার

author img

By

Published : Jun 27, 2021, 7:00 PM IST

মৃত দম্পতির নাম গৌতম হালদার (30) ও লক্ষ্মী হালদার (24) । প্রায় পাঁচ বছর আগে গাজোল থানা এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মীদেবীর বিয়ে হয় কৈলাসপুর গ্রামের গৌতমবাবুর সঙ্গে । গৌতমবাবু পেশায় রেফ্রিজারেটরের মিস্ত্রি ছিলেন । অন্যের দোকানে কাজ করতেন তিনি ।

ধন্ধে পরিবার
ধন্ধে পরিবার

মালদা, ২৭ জুন: ভোর হয়েছে অনেকক্ষণ । রোদের তাপ লাগছে গায়ে । তবু ছেলে-বউমার ঘুম ভাঙেনি । এদিকে ছেলে-বউমার ধান সিদ্ধ করার কথা । কখন হবে ধান সিদ্ধ? সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে ছেলে-বউমাকে ডাকতে যান বৃদ্ধা শোভাদেবী । ছেলের শোওয়ার ঘরের দরজায় টোকা মারতে খুলে যায় দরজা । ভিতরে চোখ পড়তেই বুক শুকিয়ে যায় তাঁর । দেখেন, ঘরের চালা থেকে ঝুলছে ছেলের দেহ, মেঝেতে পড়ে রয়েছে বউমা । তাঁর মুখ দিয়ে বেরোনো গ্যাঁজলা ততক্ষণে শুকিয়ে গিয়েছে ।

বিছানায় শুয়ে রয়েছে তিন বছরের নাতি । কী হয়েছে, তা বোঝার বয়স হয়নি তার । ঠাকুমাকে দেখেই কাঁদতে শুরু করে সে । আকস্মিকতা কাটিয়ে চিৎকার করে ওঠেন শোভাদেবী । মায়ের চিৎকার শুনে চলে আসেন পাশের বাড়িতে থাকা তাঁর মেয়ে । আসেন পড়শিরাও । তবে কী কারণে সন্তানকে রেখে দম্পতি আত্মঘাতী হলেন, তার উত্তর এখনও খুঁজে পাননি কেউ ।

মৃত দম্পতির নাম গৌতম হালদার (30) ও লক্ষ্মী হালদার (24) । প্রায় পাঁচ বছর আগে গাজোল থানা এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মীদেবীর বিয়ে হয় কৈলাসপুর গ্রামের গৌতমবাবুর সঙ্গে । গৌতমবাবু পেশায় রেফ্রিজারেটরের মিস্ত্রি ছিলেন । অন্যের দোকানে কাজ করতেন তিনি । পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে স্মার্টফোন নিয়ে গৌতমবাবু ও লক্ষ্মীদেবীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল । এর জেরে লক্ষ্মীদেবীর স্মার্টফোনটি গৌতমবাবু নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন । এনিয়ে কয়েকদিন তাঁদের মধ্যে বেশ ঝামেলা হয়েছিল । কিন্তু পরবর্তীতে তা মিটেও যায় ।

গতকাল রাত পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করেননি গৌতমবাবুর মা শোভা হালদার । আজ সকালে ঘর থেকে ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয় । খবর পেয়ে দেহ দু‘টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় মালদা থানার পুলিশ ।

3 বছরের ছেলেকে রেখে মালদায় আত্মঘাতী দম্পতি

গৌতমবাবুর দিদি সুশীলাদেবী বলেন,"গতকাল রাত পর্যন্ত ওদের স্বাভাবিকই দেখেছি । রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কী হয়েছে জানি না । আজ সকালে মা ঘরের দরজায় ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে যায় । মায়ের চোখে পড়ে, ঘরের চালায় ভাই ঝুলছে । আর ওর বউ মেঝেতে পড়ে রয়েছে । ওদের ছেলে বিছানায় শুয়ে ছিল । অনেকদিন আগে ওদের মধ্যে মোবাইল ফোন নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল । কিন্তু তা মিটেও গিয়েছিল । কেন ওরা এমন সিদ্ধান্ত নিল, বুঝতে পারছি না । রাতে কিছু টের পাইনি ।"

গৌতম হালদারের প্রতিবেশী রামপ্রসাদ বিশ্বাস বলেন," সকালে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এই বাড়িতে যাই । প্রথমে ভেবেছিলাম, হয়তো ওদের মধ্যে মারামারি হচ্ছে । ঘরে ঢুকে দেখি, স্বামী চালা থেকে ঝুলছে । স্ত্রীর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে । স্ত্রীর মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরিয়েছিল । মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা ছিল । তবে গতকাল রাতে ওদের মধ্যে কোনও ঝামেলা শুনতে পাইনি ৷"

আরও পড়ুন : রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে হাওয়া নীরজ জিম্বার

মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, দেহ দু‘টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠান হয়েছে । এই ঘটনায় এখনও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি । আপাতত দু‘টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ।

মালদা, ২৭ জুন: ভোর হয়েছে অনেকক্ষণ । রোদের তাপ লাগছে গায়ে । তবু ছেলে-বউমার ঘুম ভাঙেনি । এদিকে ছেলে-বউমার ধান সিদ্ধ করার কথা । কখন হবে ধান সিদ্ধ? সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে ছেলে-বউমাকে ডাকতে যান বৃদ্ধা শোভাদেবী । ছেলের শোওয়ার ঘরের দরজায় টোকা মারতে খুলে যায় দরজা । ভিতরে চোখ পড়তেই বুক শুকিয়ে যায় তাঁর । দেখেন, ঘরের চালা থেকে ঝুলছে ছেলের দেহ, মেঝেতে পড়ে রয়েছে বউমা । তাঁর মুখ দিয়ে বেরোনো গ্যাঁজলা ততক্ষণে শুকিয়ে গিয়েছে ।

বিছানায় শুয়ে রয়েছে তিন বছরের নাতি । কী হয়েছে, তা বোঝার বয়স হয়নি তার । ঠাকুমাকে দেখেই কাঁদতে শুরু করে সে । আকস্মিকতা কাটিয়ে চিৎকার করে ওঠেন শোভাদেবী । মায়ের চিৎকার শুনে চলে আসেন পাশের বাড়িতে থাকা তাঁর মেয়ে । আসেন পড়শিরাও । তবে কী কারণে সন্তানকে রেখে দম্পতি আত্মঘাতী হলেন, তার উত্তর এখনও খুঁজে পাননি কেউ ।

মৃত দম্পতির নাম গৌতম হালদার (30) ও লক্ষ্মী হালদার (24) । প্রায় পাঁচ বছর আগে গাজোল থানা এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মীদেবীর বিয়ে হয় কৈলাসপুর গ্রামের গৌতমবাবুর সঙ্গে । গৌতমবাবু পেশায় রেফ্রিজারেটরের মিস্ত্রি ছিলেন । অন্যের দোকানে কাজ করতেন তিনি । পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে স্মার্টফোন নিয়ে গৌতমবাবু ও লক্ষ্মীদেবীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল । এর জেরে লক্ষ্মীদেবীর স্মার্টফোনটি গৌতমবাবু নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন । এনিয়ে কয়েকদিন তাঁদের মধ্যে বেশ ঝামেলা হয়েছিল । কিন্তু পরবর্তীতে তা মিটেও যায় ।

গতকাল রাত পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করেননি গৌতমবাবুর মা শোভা হালদার । আজ সকালে ঘর থেকে ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয় । খবর পেয়ে দেহ দু‘টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় মালদা থানার পুলিশ ।

3 বছরের ছেলেকে রেখে মালদায় আত্মঘাতী দম্পতি

গৌতমবাবুর দিদি সুশীলাদেবী বলেন,"গতকাল রাত পর্যন্ত ওদের স্বাভাবিকই দেখেছি । রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কী হয়েছে জানি না । আজ সকালে মা ঘরের দরজায় ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে যায় । মায়ের চোখে পড়ে, ঘরের চালায় ভাই ঝুলছে । আর ওর বউ মেঝেতে পড়ে রয়েছে । ওদের ছেলে বিছানায় শুয়ে ছিল । অনেকদিন আগে ওদের মধ্যে মোবাইল ফোন নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল । কিন্তু তা মিটেও গিয়েছিল । কেন ওরা এমন সিদ্ধান্ত নিল, বুঝতে পারছি না । রাতে কিছু টের পাইনি ।"

গৌতম হালদারের প্রতিবেশী রামপ্রসাদ বিশ্বাস বলেন," সকালে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এই বাড়িতে যাই । প্রথমে ভেবেছিলাম, হয়তো ওদের মধ্যে মারামারি হচ্ছে । ঘরে ঢুকে দেখি, স্বামী চালা থেকে ঝুলছে । স্ত্রীর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে । স্ত্রীর মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরিয়েছিল । মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা ছিল । তবে গতকাল রাতে ওদের মধ্যে কোনও ঝামেলা শুনতে পাইনি ৷"

আরও পড়ুন : রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে হাওয়া নীরজ জিম্বার

মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, দেহ দু‘টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠান হয়েছে । এই ঘটনায় এখনও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি । আপাতত দু‘টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.