মালদা, 14 অক্টোবর: পঞ্চমীর রাতে চাঁচলের নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয় 11 জনের ৷ নৌকোর মাঝি, ঘাটের মালিক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন জেলা পরিবহন আধিকারিক ৷ সেই অভিযোগের প্রত্যাহারের দাবিতে আজ জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয় ।
মৃতদের পরিবারের হাতে সরকারিভাবে দু'লাখ টাকার চেকও তুলে দেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি । চেক তুলে দেওয়ার পর তিনি নৌকার মাঝি, ঘাটের মালিক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে পুলিশে FIR করার নির্দেশ দিয়েছিলেন । নির্দেশ অনুযায়ী চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জেলা পরিবহন আধিকারিক । সেই অভিযোগের প্রতিবাদে আজ জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চাঁচল থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয় । বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম, চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহবুব, মালতিপুরের বিধায়ক আলবেরুনি জুলকারনাইন, চাঁচল-1 ব্লক সভাপতি ইন্দ্রনারায়ণ মজুমদার সহ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা । বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে চাঁচল থানার IC সুকুমার ঘোষের হাতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয় ।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, “চাঁচলের নৌকাডুবির ঘটনায় 11 জনের মৃত্যু হয়েছে । এই ঘটনায় আমরা মর্মাহত । দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই নৌকাডুবির ঘটনায় আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ওবাইদুল্লা চৌধুরির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে । পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রশাসনিকভাবে ঘাটে নৌকা চলাচলের অনুমতি দিতে পারেন না । এই অনুমতি এগজ়িকিউটিভ অফিসার দিতে পারেন । এই ঘাটের সঙ্গে পরিবহন দপ্তরের কোনও যোগাযোগ নেই । এর আগে মালদায় নৌকাডুবি হয়েছে, সেতু ভেঙেছে । তবে সেক্ষেত্রে কেন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে FIR করা হয়নি? জেলাশাসক BDO-র বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেননি । তবে কেন এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হল? এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে ।''
তাঁর কথায়, ''পুলিশের ওপর ভর করে জ্যোতিবাবুর পরে বুদ্ধবাবু ডুবেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ডুববেন । এই পুলিশই একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর মারধর করেছিল ৷ গুলি করেছিল । আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম । আমাদের জানা আছে, ক্ষমতা যার পুলিশ তার । পুলিশের সাহায্য নিয়ে কংগ্রেসকে হেনস্থা করতে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।"