ETV Bharat / state

কোরোনার জেরে হচ্ছে না চারু শেঠের মেলা - কোরোনা ভাইরাস

পুরাতন মালদায় চারু শেঠ নামে এক জমিদার ছিলেন৷ হাতির পিঠে চেপে তিনি নিজের জমিদারি দেখাশোনা করতেন ৷ তাঁর বাড়িতে হত দুর্গাপুজো ৷ কিন্তু দশমীর তিথিতে দেবীর বিসর্জন হয়ে গেলে সেখানকার লোকজন এক শূন্যতায় ভুগত৷ সেই কারণেই চারুবাবু দুর্গাপুজোর 14 দিনের মাথায় এলাকায় শুরু করেন এই মেলা৷

চারু শেঠের মেলা
চারু শেঠের মেলা
author img

By

Published : Nov 4, 2020, 9:58 PM IST

মালদা, 4 নভেম্বর : কোরোনার প্রকোপে এবার মালদার ঐতিহ্যবাহী চারু শেঠের মেলা ৷ প্রতি বছর দুর্গাপুজোর দশমীর পর 14 তম দিনে শুরু হত এই মেলা ৷ কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোরোনা দাপটে অন্যন্য সবকিছুর মতোই এবছর মেলা না করার সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের ৷

লোকমুখে শোনা যায়, পুরাতন মালদায় চারু শেঠ নামে এক জমিদার ছিলেন৷ হাতির পিঠে চেপে তিনি নিজের জমিদারি দেখাশোনা করতেন ৷ তাঁর বাড়িতে হত দুর্গাপুজো ৷ কিন্তু দশমীর তিথিতে দেবীর বিসর্জন হয়ে গেলে সেখানকার লোকজন এক শূন্যতায় ভুগত৷ সেই কারণেই চারুবাবু দুর্গাপুজোর 14 দিনের মাথায় এলাকায় শুরু করেন এই মেলা৷ ধীরে ধীরে সেই মেলার কলেবর বাড়তে শুরু করে ৷ বিশেষত কাঠ ও লোহার তৈরি সামগ্রীর কেনা বেচা হত এখানে ৷ এর জন্যই গোটা জেলা, এমনকী জেলার বাইরেও খ্যাতি পায় এই মেলা ৷ আগে এই মেলা বসত পুরাতন মালদা পৌরসভার গুজরঘাট এলাকায় ৷ মেলার কলেবর বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েক বছর ধরে সেই মেলা বসছিল ঘাটের পাশেই মোগলটুলি এলাকায় ৷

চারু শেঠের মেলার কয়েকদিন আগে থেকেই মোগলটুলিতে মহানন্দার ধারে বসতে শুরু করে দোকানিরা৷ মূলত কাঠের আসবাবপত্রের দোকানই আগে থেকে বসতে শুরু করে ৷ কিন্তু এবার এখনও সেখানে কোনও দোকান বসেনি৷ এমনকী নদীর ধার পরিষ্কারও করা হয়নি৷ সেখানকারই এক বাসিন্দা তারা ঘোষ বলেন, “কোরোনা আর লকডাউনের জন্য এবার মেলা হবে না৷ এতদিনে মেলা বসে যায়৷ লক্ষ্মীপুজোর পরেই মেলার লোকজন চলে আসে৷ কিন্তু এবার কেউ বসেনি৷ লোকজন এসে ঘুরে চলে যাচ্ছে৷ আমি এখানে 50 বছর ধরে রয়েছি৷ এমনটা কখনও দেখিনি৷ মেলা হলে ভালো লাগে৷ বাড়িতে আত্মীয়স্বজনরাও আসে৷ মহানন্দার ধার পরিষ্কার হয়৷ কিন্তু এবার কিছুই হবে না৷”

হচ্ছে না চারু শেঠের মেলা

স্থানীয় বাসিন্দা বীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরাও শুনেছি, এবার কোরোনার জেরে এলাকার ঐতিহ্যবাহী চারু শেঠের মেলা হচ্ছে না৷ আমরা চাইছি, মানুষ সুস্থ থাকুক৷ মানুষ সুস্থ থাকলে সামনের বছর আবার মেলা হবে৷ এখন মানুষের সুস্থ থাকাটাই সবচেয়ে জরুরি৷” এই মেলা মূলত দেখাশোনা করেন পুরাতন মালদা পৌরসভার 5 নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ি কাউন্সিলর বশিষ্ঠ্য ত্রিবেদী ৷ তিনি বলেন, “কোরোনার জন্য আমরা এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঐতিহ্যবাহী চারু শেঠের মেলা বসাব না৷ তাই মেলার জন্য আমরা প্রশাসন ও পুলিশের কাছে আবেদনপত্রও জমা দিইনি৷ কিছু দোকানি মেলা বসানোর জন্য আমাদের কাছে এসেছিলেন৷ তাঁদের আমরা জানিয়ে দিয়েছি, এবার আমরা মেলা বসাব না৷ তাঁরা যদি নিজেরাই কোথাও জিনিসপত্র নিয়ে বসতে চান, সেটা তাঁদের দায়িত্ব৷ এবার আমরা মেলার মধ্যে নেই৷ মানুষ যদি বেঁচে থাকে তবে আগামীবার ফের জাঁকজমক করে মেলার আয়োজন করা হবে৷”

মালদা, 4 নভেম্বর : কোরোনার প্রকোপে এবার মালদার ঐতিহ্যবাহী চারু শেঠের মেলা ৷ প্রতি বছর দুর্গাপুজোর দশমীর পর 14 তম দিনে শুরু হত এই মেলা ৷ কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোরোনা দাপটে অন্যন্য সবকিছুর মতোই এবছর মেলা না করার সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের ৷

লোকমুখে শোনা যায়, পুরাতন মালদায় চারু শেঠ নামে এক জমিদার ছিলেন৷ হাতির পিঠে চেপে তিনি নিজের জমিদারি দেখাশোনা করতেন ৷ তাঁর বাড়িতে হত দুর্গাপুজো ৷ কিন্তু দশমীর তিথিতে দেবীর বিসর্জন হয়ে গেলে সেখানকার লোকজন এক শূন্যতায় ভুগত৷ সেই কারণেই চারুবাবু দুর্গাপুজোর 14 দিনের মাথায় এলাকায় শুরু করেন এই মেলা৷ ধীরে ধীরে সেই মেলার কলেবর বাড়তে শুরু করে ৷ বিশেষত কাঠ ও লোহার তৈরি সামগ্রীর কেনা বেচা হত এখানে ৷ এর জন্যই গোটা জেলা, এমনকী জেলার বাইরেও খ্যাতি পায় এই মেলা ৷ আগে এই মেলা বসত পুরাতন মালদা পৌরসভার গুজরঘাট এলাকায় ৷ মেলার কলেবর বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েক বছর ধরে সেই মেলা বসছিল ঘাটের পাশেই মোগলটুলি এলাকায় ৷

চারু শেঠের মেলার কয়েকদিন আগে থেকেই মোগলটুলিতে মহানন্দার ধারে বসতে শুরু করে দোকানিরা৷ মূলত কাঠের আসবাবপত্রের দোকানই আগে থেকে বসতে শুরু করে ৷ কিন্তু এবার এখনও সেখানে কোনও দোকান বসেনি৷ এমনকী নদীর ধার পরিষ্কারও করা হয়নি৷ সেখানকারই এক বাসিন্দা তারা ঘোষ বলেন, “কোরোনা আর লকডাউনের জন্য এবার মেলা হবে না৷ এতদিনে মেলা বসে যায়৷ লক্ষ্মীপুজোর পরেই মেলার লোকজন চলে আসে৷ কিন্তু এবার কেউ বসেনি৷ লোকজন এসে ঘুরে চলে যাচ্ছে৷ আমি এখানে 50 বছর ধরে রয়েছি৷ এমনটা কখনও দেখিনি৷ মেলা হলে ভালো লাগে৷ বাড়িতে আত্মীয়স্বজনরাও আসে৷ মহানন্দার ধার পরিষ্কার হয়৷ কিন্তু এবার কিছুই হবে না৷”

হচ্ছে না চারু শেঠের মেলা

স্থানীয় বাসিন্দা বীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরাও শুনেছি, এবার কোরোনার জেরে এলাকার ঐতিহ্যবাহী চারু শেঠের মেলা হচ্ছে না৷ আমরা চাইছি, মানুষ সুস্থ থাকুক৷ মানুষ সুস্থ থাকলে সামনের বছর আবার মেলা হবে৷ এখন মানুষের সুস্থ থাকাটাই সবচেয়ে জরুরি৷” এই মেলা মূলত দেখাশোনা করেন পুরাতন মালদা পৌরসভার 5 নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ি কাউন্সিলর বশিষ্ঠ্য ত্রিবেদী ৷ তিনি বলেন, “কোরোনার জন্য আমরা এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঐতিহ্যবাহী চারু শেঠের মেলা বসাব না৷ তাই মেলার জন্য আমরা প্রশাসন ও পুলিশের কাছে আবেদনপত্রও জমা দিইনি৷ কিছু দোকানি মেলা বসানোর জন্য আমাদের কাছে এসেছিলেন৷ তাঁদের আমরা জানিয়ে দিয়েছি, এবার আমরা মেলা বসাব না৷ তাঁরা যদি নিজেরাই কোথাও জিনিসপত্র নিয়ে বসতে চান, সেটা তাঁদের দায়িত্ব৷ এবার আমরা মেলার মধ্যে নেই৷ মানুষ যদি বেঁচে থাকে তবে আগামীবার ফের জাঁকজমক করে মেলার আয়োজন করা হবে৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.