ETV Bharat / state

Awas Yojana Scam: আবাস দুর্নীতির তদন্তে এসে চোখ ছানাবড়া কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের !

আবাস দুর্নীতির (Awas Yojana Scam) তদন্ত করতে মালদায় (Malda) এলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা (Central Delegation) ৷ পরিদর্শনে বেরিয়ে কী দেখলেন তাঁরা ?

Central Delegation came to Malda for Investigation of Awas Yojana Scam
মালদায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল ৷
author img

By

Published : Jan 6, 2023, 5:01 PM IST

ধরা পড়ল বিস্তর গরমিল ৷

মালদা, 6 জানুয়ারি: আবাস দুর্নীতির (Awas Yojana Scam) তদন্তে নেমে প্রায় ভিরমি খাওয়ার জোগাড় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যদের (Central Delegation) ! মালদায় (Malda) পরিদর্শনে এসে তাঁরা দেখলেন, কারও দোতলা, আবার কারও বা তিনতলা বাড়ি রয়েছে ৷ এমনকী, কারও বাড়ির সামনে রাখা রয়েছে মোটরবাইক ৷ তবুও সেইসব বাড়ির মালিকদের নামই জ্বলজ্বল করছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) উপভোক্তাদের তালিকায় ! অথচ সেইসব 'মহলে'র পাশেই থাকা গৃহহীন মানুষগুলির নাম সেই তালিকায় নেই ! শুক্রবার মালদায় প্রথম পর্বের তদন্ত করে এমনই বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ৷ তবে এ নিয়ে তাঁরা কেউই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি ৷

কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা নিয়ে মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে ৷ তার জেরে কেন্দ্রীয় দলের সামনে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়তে পারে বলে মনে করছিল সংশ্লিষ্ট মহল ৷ শুক্রবার তেমনটাই ঘটল বলে মনে করা হচ্ছে ৷ এদিন দুই অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং সংশ্লিষ্ট বিডিওদের সঙ্গে নিয়ে আবাস দুর্নীতির তদন্তে নামেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের তিন সদস্য ৷ প্রথমে তাঁরা যান কালিয়াচক-3 নম্বর ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চরি অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৷ সেখানে তাঁদের নজরে পড়ে, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও অনেকের নাম এই প্রকল্পের উপভোক্তা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৷ এমনকী, সেই তালিকায় রয়েছেন এক রেশন ডিলারও !

আরও পড়ুন: আবাস দুর্নীতির প্রশ্নে সাংবাদিকের ক্যামেরা ঢাকলেন মন্ত্রী !

চরি অনন্তপুর থেকে প্রতিনিধিদলটি কালিয়াচক-2 নম্বর ব্লকে চলে আসে ৷ প্রথমেই দলটি চলে যায় বাঙ্গিটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোঁসাইহাট গ্রামে ৷ এই গ্রামেরই বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন ৷ তিনি কলেজে চাকরি করেন ৷ উপার্জন বেশ ভালোই ৷ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণই তাঁর বাড়ি ৷ দোতলা, ঝাঁ চকচকে পাকা বাড়ি ৷ খানিকটা সময় হাঁ করে সেই বাড়িই দেখতে থাকেন তদন্তকারীরা ! কথা বলেন ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ৷ সেখান থেকে তাঁরা চলে যান ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই ফিল্ড কলোনি এলাকায় ৷ সেখানে এক কাঠ ব্যবসায়ী জরিপ শেখের নামে আবাস যোজনার ঘর বরাদ্দ হয়েছে ! ওই ব্যবসায়ীর তিনতলা বাড়ি দেখে হতভম্ব হয়ে যান সবাই ! কথা বলেন জরিপের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ৷

কালিয়াচক থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলটি ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের কামাত গ্রামে চলে যায় ৷ সেখানেও প্রতিনিধিদলের সদস্যদের চোখে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে বিস্তর গরমিল ধরা পড়ে ৷ তালিকায় নাম থাকা দোতলা বাড়ির মালিক কাশু ঘোষকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকরা ৷ যদিও পরে কাশু ঘোষের নাম তালিকা থেকে কেটে দেন বিডিও ৷ কাশু ঘোষের স্ত্রী শ্যামা ঘোষের দাবি, "শুনেছিলাম আবাস যোজনায় আমাদের নাম ছিল ৷ কিন্তু এখনও কিছু আসেনি ৷ এই পরিবারের ছয় ভাই শ্রমিকের কাজ করে এই বাড়িটা বানিয়েছেন ৷ সবাই খেটে খান ৷ কেউ কোনও রাজনৈতিক দল করেন না ৷ " গোটা সময়টায় দৃশ্যতই অস্তিত্বে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরী ও অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) জামিল ফতেমা জেবা ৷ কামাত গ্রাম থেকে কেন্দ্রীয় দলটি ফের সার্কিট হাউসে ফিরে আসে ৷

ধরা পড়ল বিস্তর গরমিল ৷

মালদা, 6 জানুয়ারি: আবাস দুর্নীতির (Awas Yojana Scam) তদন্তে নেমে প্রায় ভিরমি খাওয়ার জোগাড় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যদের (Central Delegation) ! মালদায় (Malda) পরিদর্শনে এসে তাঁরা দেখলেন, কারও দোতলা, আবার কারও বা তিনতলা বাড়ি রয়েছে ৷ এমনকী, কারও বাড়ির সামনে রাখা রয়েছে মোটরবাইক ৷ তবুও সেইসব বাড়ির মালিকদের নামই জ্বলজ্বল করছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) উপভোক্তাদের তালিকায় ! অথচ সেইসব 'মহলে'র পাশেই থাকা গৃহহীন মানুষগুলির নাম সেই তালিকায় নেই ! শুক্রবার মালদায় প্রথম পর্বের তদন্ত করে এমনই বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ৷ তবে এ নিয়ে তাঁরা কেউই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি ৷

কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা নিয়ে মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে ৷ তার জেরে কেন্দ্রীয় দলের সামনে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়তে পারে বলে মনে করছিল সংশ্লিষ্ট মহল ৷ শুক্রবার তেমনটাই ঘটল বলে মনে করা হচ্ছে ৷ এদিন দুই অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং সংশ্লিষ্ট বিডিওদের সঙ্গে নিয়ে আবাস দুর্নীতির তদন্তে নামেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের তিন সদস্য ৷ প্রথমে তাঁরা যান কালিয়াচক-3 নম্বর ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চরি অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৷ সেখানে তাঁদের নজরে পড়ে, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও অনেকের নাম এই প্রকল্পের উপভোক্তা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৷ এমনকী, সেই তালিকায় রয়েছেন এক রেশন ডিলারও !

আরও পড়ুন: আবাস দুর্নীতির প্রশ্নে সাংবাদিকের ক্যামেরা ঢাকলেন মন্ত্রী !

চরি অনন্তপুর থেকে প্রতিনিধিদলটি কালিয়াচক-2 নম্বর ব্লকে চলে আসে ৷ প্রথমেই দলটি চলে যায় বাঙ্গিটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোঁসাইহাট গ্রামে ৷ এই গ্রামেরই বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন ৷ তিনি কলেজে চাকরি করেন ৷ উপার্জন বেশ ভালোই ৷ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণই তাঁর বাড়ি ৷ দোতলা, ঝাঁ চকচকে পাকা বাড়ি ৷ খানিকটা সময় হাঁ করে সেই বাড়িই দেখতে থাকেন তদন্তকারীরা ! কথা বলেন ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ৷ সেখান থেকে তাঁরা চলে যান ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই ফিল্ড কলোনি এলাকায় ৷ সেখানে এক কাঠ ব্যবসায়ী জরিপ শেখের নামে আবাস যোজনার ঘর বরাদ্দ হয়েছে ! ওই ব্যবসায়ীর তিনতলা বাড়ি দেখে হতভম্ব হয়ে যান সবাই ! কথা বলেন জরিপের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ৷

কালিয়াচক থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলটি ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের কামাত গ্রামে চলে যায় ৷ সেখানেও প্রতিনিধিদলের সদস্যদের চোখে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে বিস্তর গরমিল ধরা পড়ে ৷ তালিকায় নাম থাকা দোতলা বাড়ির মালিক কাশু ঘোষকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকরা ৷ যদিও পরে কাশু ঘোষের নাম তালিকা থেকে কেটে দেন বিডিও ৷ কাশু ঘোষের স্ত্রী শ্যামা ঘোষের দাবি, "শুনেছিলাম আবাস যোজনায় আমাদের নাম ছিল ৷ কিন্তু এখনও কিছু আসেনি ৷ এই পরিবারের ছয় ভাই শ্রমিকের কাজ করে এই বাড়িটা বানিয়েছেন ৷ সবাই খেটে খান ৷ কেউ কোনও রাজনৈতিক দল করেন না ৷ " গোটা সময়টায় দৃশ্যতই অস্তিত্বে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বৈভব চৌধুরী ও অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) জামিল ফতেমা জেবা ৷ কামাত গ্রাম থেকে কেন্দ্রীয় দলটি ফের সার্কিট হাউসে ফিরে আসে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.