বামনগোলা,16 জুলাই: বিজেপি কর্মীর রহস্য মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত মালদার বামনগোলা। অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তৃণমূল সমর্থক ছেলের হাতেই খুন হয়েছেন বিজেপি কর্মী বাবা। মালদার বামনগোলা ব্লকের মদনাবতী কয়নাদিঘি গ্রামের ঘটনা । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ঠান্ডা মাথায় 65 বছরের বিজেপি কর্মী বুরাণ মুর্মুকে খুন করেছে তার ছেলে বিপ্লব মুর্মু । খুন করার পর বুরাণের দেহ ঘরের সিলিং থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি কর্মীর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালাতেই এমনটা করা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মী বিপ্লবের স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। তিনি ভোটে হেরে যান। সেই আক্রোশেই বাবা বুরাণকে বিপ্লব খুন করে বলে অভিযোগ । বিপ্লব ও তাঁর স্ত্রী শর্মিলা মাড্ডির শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ দেখান বামনগোলা ব্লকের বাসিন্দারা । ঘটনার পর থেকে পলাতক বিপ্লব। মৃতদেহ আটকে রেখেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা ।
তাঁদের দাবি, বাবাকে খুন করার অভিযোগে বিপ্লব মুর্মু ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করতেই হবে । অবশেষে, গ্রামবাসীদের তদন্তের আশ্বাস দিয়ে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ । স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বাবা বিজেপি ও ছেলে তৃণমূল করায় পরিবারে অশান্তি লেগেছিল। স্ত্রী শর্মিলা মাড্ডি তৃণমূলের টিকিট পেয়ে বিজেপির কাছে হেরে যাওয়ার পর অশান্তি বাড়তে শুরু করে । প্রায়শই বাবাকে প্রাণে মারার হুমকি দিত বিপ্লব । শনিবার রাতে বুরাণ মুর্মুর চিৎকার শুনতে পান গ্রামবাসীরা ।
তারপর অনেক্ষণ কোনও আওয়াজ না পাওয়ায় গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। রবিবার সকালে বুরাণ মুর্মুর রক্তাক্ত দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। গ্রামবাসীরা আরও জানান, যে ঘর থেকে বুরাণ মুর্মুর দেহ উদ্ধার হয়েছ, সেই ঘরটি বাইরে থেকে তালা বন্ধ ছিল। শুধু তাই নয়, ঘরের বাইরে রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা প্রমাণ করতেই ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বুরণ মুর্মুর দেহ ।
বিস্তারিত:'নওশাদরা দরজা খুললেই ভাঙড়ে যাব', বিধায়ককে পালটা তোপ শুভেন্দুর
ওই এলাকার জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী বীনা সরকর কীর্তনীয়া বলেন, "শাসকদল প্রায় সমস্ত জায়গায় জয়লাভ করেছে ৷ তারপরেও তৃণমূলের লোকজন বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীদের প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে ৷ শুধু জয়ী প্রার্থীদের নয়, পরাজিত প্রার্থীদেরও হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে ৷ এলাকার বহু বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীরা আতঙ্কে ঘর ছাড়া ৷"