ETV Bharat / state

পুরাতন মালদা ও ইংরেজবাজার পৌরসভার দিকে হাত বাড়াচ্ছে BJP?

author img

By

Published : Aug 31, 2019, 7:24 PM IST

নিজের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রসঙ্গে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ । তিনি বলেন, "যারা আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন, তাঁরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করছেন । গত নির্বাচনে আমি এই পৌরসভায় সবচেয়ে বেশি ভোটে জয়লাভ করি । দল আমাকে চেয়ারম্যান পদে বসায় । এই চেয়ারে বসে আমি পৌরসভার 20টি ওয়ার্ডেই প্রচুর কাজ করেছি । মানুষ সব জানে ।"

গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল

মালদা, 31 অগাস্ট : তবে কি রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়ল গেরুয়া শিবির? শাসকদলের অভ্যন্তরীণ ডামাডোলে কি জেলার দুটি পৌরসভার দিকেই হাত বাড়াচ্ছে BJP? আজ BJP-র জেলা সভাপতির গলায় যেন সেই সুরই শোনা গেছে । এদিকে কলকাতা থেকে আজ মালদায় ফিরে নিজের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পুরাতন মালদা পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ । তিনি বলেন, এক্ষেত্রে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা মেনে চলবেন তিনি ।

উল্লেখ্য, মালদা জেলার দুটি পৌরসভা হল ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা । দুটিরই বয়স পেরিয়েছে 150 বছর । গত নির্বাচনে দুটি পৌরসভাই দখল করে শাসকদল । কিন্তু গত কয়েকদিনে দুই পৌরসভাতেই সমস্যা দেখা দেয় । দু'দিনের ব্যবধানে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ ও পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসেন তৃণমূলের কাউন্সিলররাই । ইংরেজবাজারের সমস্যা মেটাতে গতকাল মালদায় ছুটে আসেন তৃণমূলের মালদা জেলা পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানি । সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি এই পৌরসভার দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলেন । এরই মধ্যে গতকাল সন্ধেবেলা পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসেন সেখানকার 14 জন কাউন্সিলর । একের পর এক অনাস্থা প্রস্তাবে এই মুহূর্তে যথেষ্ট বিব্রত শাসকদলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব ।

এই সংক্রান্ত খবর : এবার পুরাতন মালদা পৌরসভায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

আগামী বছর পৌরসভা নির্বাচনের আগে ঠিক এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে BJP। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গোলমালের সুযোগ নিয়ে দুটি পৌরসভাকেই এখন নিশানা করেছে তারা । আজ সেই সুর শোনা গেছে জেলা BJP সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলের গলায় । ETV ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ওদের রক্তে মিশে আছে । গোটা রাজ্য জুড়ে যা ঘটছে, তারই প্রতিফলন এখানে দেখা গেছে । এটা নতুন কিছু নয় । ভিতরে ভিতরে এই জিনিস অনেকদিন ধরেই চলছিল । এখন তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে মাত্র । তবে দুই পৌরসভায় যারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছেন, তাঁরাও এখন দ্বিধাগ্রস্থ । তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন । তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কি না তা আমি সরাসরি বলতে পারব না । কারণ, অফিসিয়ালি কিছু হয়নি । তাই এনিয়ে এই মুহূর্তে কিছু না বলাই ভালো । সময় আসলেই সব জানা যাবে । সময় সব বলবে । তবে দুই পৌরসভার এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ তিতিবিরক্ত । আগামী নির্বাচনে যোগ্য জবাব দেবে তারা । দুই পৌরসভাতেই ভারতীয় জনতা পার্টির বোর্ড হবে ।" গোবিন্দবাবুকে প্রশ্ন করা হয়, আগামী বছর নির্বাচনের আগেই কি দুই পৌরসভায় বিজেপির বোর্ড দেখা যেতে পারে? তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর, "আমি আগেই বলেছি, সময় সব বলবে । আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।"

মালদার দুই পৌরসভার দিকে হাত বাড়াচ্ছে BJP ? শুনুন BJP জেলা সভাপতির বক্তব্য

এই সংক্রান্ত খবর : ইংরেজবাজার পৌরসভার অনাস্থা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে জেলায় দলীয় পর্যবেক্ষক

এদিকে নিজের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রসঙ্গে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ । তিনি বলেন, "যারা আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন, তাঁরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করছেন । গত নির্বাচনে আমি এই পৌরসভায় সবচেয়ে বেশি ভোটে জয়লাভ করি । দল আমাকে চেয়ারম্যান পদে বসায় । এই চেয়ারে বসে আমি পৌরসভার 20টি ওয়ার্ডেই প্রচুর কাজ করেছি । মানুষ সব জানে । 150 বছরে এই পৌরসভায় এত কাজ কখনও হয়নি । এই অবস্থায় যারা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছেন, তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই । আমি এনিয়ে দলকে যা বলার বলব । দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই আমি চলব । তবে এমন যে হতে পারে, তার আভাস আমি আগে পাইনি । এর বেশি আর কিছু আমি সংবাদমাধ্যমকে বলব না । যা বলার দলকেই বলব ।"

মালদা, 31 অগাস্ট : তবে কি রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়ল গেরুয়া শিবির? শাসকদলের অভ্যন্তরীণ ডামাডোলে কি জেলার দুটি পৌরসভার দিকেই হাত বাড়াচ্ছে BJP? আজ BJP-র জেলা সভাপতির গলায় যেন সেই সুরই শোনা গেছে । এদিকে কলকাতা থেকে আজ মালদায় ফিরে নিজের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পুরাতন মালদা পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ । তিনি বলেন, এক্ষেত্রে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা মেনে চলবেন তিনি ।

উল্লেখ্য, মালদা জেলার দুটি পৌরসভা হল ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা । দুটিরই বয়স পেরিয়েছে 150 বছর । গত নির্বাচনে দুটি পৌরসভাই দখল করে শাসকদল । কিন্তু গত কয়েকদিনে দুই পৌরসভাতেই সমস্যা দেখা দেয় । দু'দিনের ব্যবধানে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ ও পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসেন তৃণমূলের কাউন্সিলররাই । ইংরেজবাজারের সমস্যা মেটাতে গতকাল মালদায় ছুটে আসেন তৃণমূলের মালদা জেলা পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানি । সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি এই পৌরসভার দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলেন । এরই মধ্যে গতকাল সন্ধেবেলা পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসেন সেখানকার 14 জন কাউন্সিলর । একের পর এক অনাস্থা প্রস্তাবে এই মুহূর্তে যথেষ্ট বিব্রত শাসকদলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব ।

এই সংক্রান্ত খবর : এবার পুরাতন মালদা পৌরসভায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

আগামী বছর পৌরসভা নির্বাচনের আগে ঠিক এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে BJP। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গোলমালের সুযোগ নিয়ে দুটি পৌরসভাকেই এখন নিশানা করেছে তারা । আজ সেই সুর শোনা গেছে জেলা BJP সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলের গলায় । ETV ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ওদের রক্তে মিশে আছে । গোটা রাজ্য জুড়ে যা ঘটছে, তারই প্রতিফলন এখানে দেখা গেছে । এটা নতুন কিছু নয় । ভিতরে ভিতরে এই জিনিস অনেকদিন ধরেই চলছিল । এখন তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে মাত্র । তবে দুই পৌরসভায় যারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছেন, তাঁরাও এখন দ্বিধাগ্রস্থ । তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন । তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কি না তা আমি সরাসরি বলতে পারব না । কারণ, অফিসিয়ালি কিছু হয়নি । তাই এনিয়ে এই মুহূর্তে কিছু না বলাই ভালো । সময় আসলেই সব জানা যাবে । সময় সব বলবে । তবে দুই পৌরসভার এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ তিতিবিরক্ত । আগামী নির্বাচনে যোগ্য জবাব দেবে তারা । দুই পৌরসভাতেই ভারতীয় জনতা পার্টির বোর্ড হবে ।" গোবিন্দবাবুকে প্রশ্ন করা হয়, আগামী বছর নির্বাচনের আগেই কি দুই পৌরসভায় বিজেপির বোর্ড দেখা যেতে পারে? তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর, "আমি আগেই বলেছি, সময় সব বলবে । আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।"

মালদার দুই পৌরসভার দিকে হাত বাড়াচ্ছে BJP ? শুনুন BJP জেলা সভাপতির বক্তব্য

এই সংক্রান্ত খবর : ইংরেজবাজার পৌরসভার অনাস্থা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে জেলায় দলীয় পর্যবেক্ষক

এদিকে নিজের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রসঙ্গে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ । তিনি বলেন, "যারা আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন, তাঁরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করছেন । গত নির্বাচনে আমি এই পৌরসভায় সবচেয়ে বেশি ভোটে জয়লাভ করি । দল আমাকে চেয়ারম্যান পদে বসায় । এই চেয়ারে বসে আমি পৌরসভার 20টি ওয়ার্ডেই প্রচুর কাজ করেছি । মানুষ সব জানে । 150 বছরে এই পৌরসভায় এত কাজ কখনও হয়নি । এই অবস্থায় যারা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছেন, তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই । আমি এনিয়ে দলকে যা বলার বলব । দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই আমি চলব । তবে এমন যে হতে পারে, তার আভাস আমি আগে পাইনি । এর বেশি আর কিছু আমি সংবাদমাধ্যমকে বলব না । যা বলার দলকেই বলব ।"

Intro:মালদা, 31 অগাস্ট : তবে কি রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়ল গেরুয়া শিবির? শাসকদলের অভ্যন্তরীণ ডামাডোলে কি জেলার দুটি পৌরসভার দিকেই হাত বাড়াচ্ছে বিজেপি? আজ বিজেপির জেলা সভাপতির গলায় যেন সেই সুরই শোনা গেছে। এদিকে কলকাতা থেকে আজ মালদায় ফিরে নিজের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পুরাতন মালদা পৌরসভার তৃণমূলি চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা মেনে চলবেন তিনি।


Body:উল্লেখ্য, মালদা জেলার দুটি পৌরসভা হল ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা। দুটিরই বয়স পেরিয়েছে 150 বছর। গত নির্বাচনে দুটি পৌরসভাযই দখল করে শাসকদল। কিন্তু গত কয়েকদিনে দুই পৌরসভাতেই সমস্যা দেখা দেয়। দু'দিনের ব্যবধানে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ ও পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসেন তৃণমূলের কাউন্সিলররাই। ইংরেজবাজারের সমস্যা মেটাতে গতকাল মালদায় ছুটে আসেন তৃণমূলের মালদা জেলা পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি এই পৌরসভার দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলেন। এরই মধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসেন সেখানকার 14 জন তৃণমূলি কাউন্সিলর। একের পর এক অনাস্থা প্রস্তাবে এই মুহূর্তে যথেষ্ট বিব্রত শাসকদলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব।
আগামী বছর পৌরসভা নির্বাচনের আগে ঠিক এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গোলমালের সুযোগ নিয়ে দুটি পৌরসভাকেই এখন নিশানা করেছে তারা। আজ সেই সুর শোনা গেছে জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মন্ডলের গলায়। ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ওদের রক্তে মিশে আছে। গোটা রাজ্য জুড়ে যা ঘটছে, তারই প্রতিফলন এখানে দেখা গেছে। এটা নতুন কিছু নয়। ভিতরে ভিতরে এই জিনিস অনেকদিন ধরেই চলছিল। এখন তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে মাত্র। তবে দুই পৌরসভায় যারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছেন, তাঁরাও এখন দ্বিধাগ্রস্থ। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কিনা তা আমি সরাসরি বলতে পারব না। কারণ, অফিসিয়ালি কিছু হয়নি। তাই এনিয়ে এই মুহূর্তে কিছু না বলাই ভালো। সময় আসলেই সব জানা যাবে। সময় সব বলবে। তবে দুই পৌরসভার এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ তিতিবিরক্ত। আগামী নির্বাচনে যোগ্য জবাব দেবে তারা। দুই পৌরসভাতেই ভারতীয় জনতা পার্টির বোর্ড হবে।" গোবিন্দবাবুকে প্রশ্ন করা হয়, আগামী বছর নির্বাচনের আগেই কি দুই পৌরসভায় বিজেপির বোর্ড দেখা যেতে পারে? তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর, "আমি আগেই বলেছি, সময় সব বলবে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।"


Conclusion:এদিকে নিজের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রসঙ্গে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পুরাতন মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ। তিনি বলেন, "যারা আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ এনেছে, তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করছে। গত নির্বাচনে আমি এই পৌরসভায় সবচেয়ে বেশি ভোটে জয়লাভ করি। দল আমাকে চেয়ারম্যান পদে বসায়। এই চেয়ারে বসে আমি পৌরসভার 20টি ওয়ার্ডেই প্রচুর কাজ করেছি। মানুষ সব জানে। 150 বছরে এই পৌরসভায় এত কাজ কখনও হয়নি। এই অবস্থায় যারা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছে, তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমি এনিয়ে দলকে যা বলার বলব। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই আমি চলব। তবে এমন যে হতে পারে, তার আভাস আমি আগে পাইনি। এর বেশি আর কিছু আমি সংবাদমাধ্যমকে বলব না। যা বলার দলকেই বলব।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.