ETV Bharat / state

কোরোনা নিয়ে BJP-তৃণমূলের অভিযোগ, পালটা অভিযোগে সরগরম মালদা - corona

গতকাল একাধিক দাবি নিয়ে BJP সাংসদ খগেন মুর্মু মালদার জেলাশাসকের কাছে পৌঁছান । রেশন সামগ্রী বণ্টনসহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তোলেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে । তাঁর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আবার তৃণমূল বিধায়ক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে ৷

ছবি
ছবি
author img

By

Published : May 3, 2020, 10:02 AM IST

মালদা, 3 মে : পেরিয়ে গেছে একমাস । ফের বেড়েছে লকডাউনের সময়সীমা । এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে রয়েছেন রাজ্যের বহু শ্রমিক । এদিকে, তাঁদের পরিবারে আর্থিক সংকট । দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের কাজ নেই । রোজগার বন্ধ বহু পরিবারের । তার উপর দিন দিন রাজ্যে বেড়ে চলেছে কোরোনা সংক্রমণের সংখ্যা । মৃত্যুও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে । কোরোনা তথ্য নিয়ে মত পার্থক্য রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে । কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে রেশনের ডাল বা পর্যাপ্ত অর্থ মেলেনি বলে অভিযোগ তুলেছে রাজ্য । এই সব নিয়েই বর্তমানে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে অভিযোগ পালটা অভিযোগ চলছে । এরই মধ্যে গতকাল মালদা উত্তরের BJP সাংসদ খগেন মুর্মু জেলাশাসকের কাছে একাধিক দাবি নিয়ে পৌঁছান । তাঁর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আবার তৃণমূল বিধায়ক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে ৷

গতকাল বেশ কিছু দাবি জানাতে জেলাশাসকের অফিসে যান খগেন মুর্মু ৷ জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করার আগে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “লকডাউনের মধ্যে সারা রাজ্যের সঙ্গে এই জেলার মানুষও অনেক সমস্যার মুখে পড়েছেন ৷ বিশেষত রেশন নিয়ে মানুষ এখন ভীষণ সমস্যায় ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ খাদ্যসামগ্রী ঠিকমতো মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না ৷ এই জেলার প্রচুর মানুষ শ্রমিকের কাজে, চিকিৎসার জন্য, পড়াশোনা করতে বা বেড়াতে গিয়ে ভিনরাজ্যে আটকে পড়েছেন ৷ তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য এখনও তেমন কোনও ব্যবস্থা করা হচ্ছে না ৷ এই সমস্ত মানুষকে জেলায় ফিরিয়ে এনে অবশ্যই বাধ্যতামূলক কোয়ারানটিনে রাখতে হবে ৷"

কোরোনার তথ্য গোপন করছে সরকার । এই অভিযোগ তুলে খগেন মুর্মু বলেন, "কোরোনার বিরুদ্ধে সারা দেশে লড়াই চলছে ৷ আমরাও সেই লড়াইয়ে শামিল হয়ে এই রাজ্য ও জেলা থেকে কোরোনার মোকাবিলা করব ৷ কেন্দ্রীয় সরকার এই জেলাকে রেড জ়োন হিসেবে ঘোষণা করেছে ৷ কারণ, এই রাজ্যে কোরোনার তথ্য গোপনের রাজনীতি চলছে ৷ তথ্য গোপন করে মানুষের সচেতনতা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ আমরা চাই, কোরোনার আসল তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা হোক ৷ সঠিক কথা বলা হোক ৷ কোরোনা সংক্রমণ থেকে যাতে আমরা মানুষকে রক্ষা করতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ৷ কিন্তু রাজ্য সরকার কোরোনাকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার খেলায় নেমেছে ৷ আমরা শুনতে পাচ্ছি, এই জেলায় অনেক মানুষই কোরোনায় আক্রান্ত ৷ কিন্তু প্রশাসনিকভাবে বলা হচ্ছে, এই জেলায় এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’জনের কোরোনা পজ়িটিভ ৷ এসব মেনে নেওয়া যায় না ৷"

BJP সাংসদের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ তিনি বলেন, “আমি যতদূর জানি, খগেনবাবু চিকিৎসক নন ৷ কোনও জায়গা গ্রিন, অরেঞ্জ, নাকি রেড জ়োন হবে তা যাঁরা স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁরা ঠিক করবেন ৷ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের মধ্যে জ়োনের বিভাজন হয় বলেই আমি জানি ৷ এই বিপর্যয়ের সময় খগেনবাবুকে মানুষের পাশে কোথাও দেখা যায়নি ৷ মাঝেমধ্যে শুধু সংবাদমাধ্যমে তাঁর মুখ দেখা যায় ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কোরোনা মোকাবিলায় রাস্তায় নেমেছেন ৷ মাইক হাতে মানুষকে ঘরে থাকার বার্তা দিচ্ছেন ৷ কিন্তু BJP সাংসদদের কোথাও দেখা যাচ্ছে না ৷ ইতিমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কিছু রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ যদি কোনও ডিলারের বিরুদ্ধে খাদ্যসামগ্রী বিলি নিয়ে অভিযোগ আসে, তবে প্রয়োজনে সেই ডিলারের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী বিলি বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি হয়েছে ৷"

BJP-র বিরুদ্ধে নীহাররঞ্জনবাবুর পালটা অভিযোগ, "আসলে BJP সাংসদ শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিরোধিতার জন্যই এসব বলছেন ৷ আজ গোটা পৃথিবী বলছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী চিন থেকে কোরোনা পরীক্ষার যে কিট কিনেছিলেন, তার দাম পড়েছিল দুই টাকার কিছু বেশি ৷ কিন্তু সেই কিট তিনি 600 টাকারও বেশি দামে বিক্রি করেছেন ৷ এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীও তো তথ্য গোপন করছেন ৷ এই দুর্নীতিগুলি সাংসদের মুখ থেকে বেরোচ্ছে না কেন? খগেনবাবুর কাছে আমার আবেদন, বিপর্যয়ের এই মুহূর্তে তিনি যেন দল ভুলে যান ৷ মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে সাংসদ নির্বাচিত করেছেন ৷ তিনি এই বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ান ৷"

মালদা, 3 মে : পেরিয়ে গেছে একমাস । ফের বেড়েছে লকডাউনের সময়সীমা । এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে রয়েছেন রাজ্যের বহু শ্রমিক । এদিকে, তাঁদের পরিবারে আর্থিক সংকট । দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের কাজ নেই । রোজগার বন্ধ বহু পরিবারের । তার উপর দিন দিন রাজ্যে বেড়ে চলেছে কোরোনা সংক্রমণের সংখ্যা । মৃত্যুও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে । কোরোনা তথ্য নিয়ে মত পার্থক্য রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে । কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে রেশনের ডাল বা পর্যাপ্ত অর্থ মেলেনি বলে অভিযোগ তুলেছে রাজ্য । এই সব নিয়েই বর্তমানে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে অভিযোগ পালটা অভিযোগ চলছে । এরই মধ্যে গতকাল মালদা উত্তরের BJP সাংসদ খগেন মুর্মু জেলাশাসকের কাছে একাধিক দাবি নিয়ে পৌঁছান । তাঁর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আবার তৃণমূল বিধায়ক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে ৷

গতকাল বেশ কিছু দাবি জানাতে জেলাশাসকের অফিসে যান খগেন মুর্মু ৷ জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করার আগে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “লকডাউনের মধ্যে সারা রাজ্যের সঙ্গে এই জেলার মানুষও অনেক সমস্যার মুখে পড়েছেন ৷ বিশেষত রেশন নিয়ে মানুষ এখন ভীষণ সমস্যায় ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ খাদ্যসামগ্রী ঠিকমতো মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না ৷ এই জেলার প্রচুর মানুষ শ্রমিকের কাজে, চিকিৎসার জন্য, পড়াশোনা করতে বা বেড়াতে গিয়ে ভিনরাজ্যে আটকে পড়েছেন ৷ তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য এখনও তেমন কোনও ব্যবস্থা করা হচ্ছে না ৷ এই সমস্ত মানুষকে জেলায় ফিরিয়ে এনে অবশ্যই বাধ্যতামূলক কোয়ারানটিনে রাখতে হবে ৷"

কোরোনার তথ্য গোপন করছে সরকার । এই অভিযোগ তুলে খগেন মুর্মু বলেন, "কোরোনার বিরুদ্ধে সারা দেশে লড়াই চলছে ৷ আমরাও সেই লড়াইয়ে শামিল হয়ে এই রাজ্য ও জেলা থেকে কোরোনার মোকাবিলা করব ৷ কেন্দ্রীয় সরকার এই জেলাকে রেড জ়োন হিসেবে ঘোষণা করেছে ৷ কারণ, এই রাজ্যে কোরোনার তথ্য গোপনের রাজনীতি চলছে ৷ তথ্য গোপন করে মানুষের সচেতনতা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ আমরা চাই, কোরোনার আসল তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা হোক ৷ সঠিক কথা বলা হোক ৷ কোরোনা সংক্রমণ থেকে যাতে আমরা মানুষকে রক্ষা করতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ৷ কিন্তু রাজ্য সরকার কোরোনাকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার খেলায় নেমেছে ৷ আমরা শুনতে পাচ্ছি, এই জেলায় অনেক মানুষই কোরোনায় আক্রান্ত ৷ কিন্তু প্রশাসনিকভাবে বলা হচ্ছে, এই জেলায় এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’জনের কোরোনা পজ়িটিভ ৷ এসব মেনে নেওয়া যায় না ৷"

BJP সাংসদের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ তিনি বলেন, “আমি যতদূর জানি, খগেনবাবু চিকিৎসক নন ৷ কোনও জায়গা গ্রিন, অরেঞ্জ, নাকি রেড জ়োন হবে তা যাঁরা স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁরা ঠিক করবেন ৷ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের মধ্যে জ়োনের বিভাজন হয় বলেই আমি জানি ৷ এই বিপর্যয়ের সময় খগেনবাবুকে মানুষের পাশে কোথাও দেখা যায়নি ৷ মাঝেমধ্যে শুধু সংবাদমাধ্যমে তাঁর মুখ দেখা যায় ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কোরোনা মোকাবিলায় রাস্তায় নেমেছেন ৷ মাইক হাতে মানুষকে ঘরে থাকার বার্তা দিচ্ছেন ৷ কিন্তু BJP সাংসদদের কোথাও দেখা যাচ্ছে না ৷ ইতিমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কিছু রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ যদি কোনও ডিলারের বিরুদ্ধে খাদ্যসামগ্রী বিলি নিয়ে অভিযোগ আসে, তবে প্রয়োজনে সেই ডিলারের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী বিলি বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি হয়েছে ৷"

BJP-র বিরুদ্ধে নীহাররঞ্জনবাবুর পালটা অভিযোগ, "আসলে BJP সাংসদ শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিরোধিতার জন্যই এসব বলছেন ৷ আজ গোটা পৃথিবী বলছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী চিন থেকে কোরোনা পরীক্ষার যে কিট কিনেছিলেন, তার দাম পড়েছিল দুই টাকার কিছু বেশি ৷ কিন্তু সেই কিট তিনি 600 টাকারও বেশি দামে বিক্রি করেছেন ৷ এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীও তো তথ্য গোপন করছেন ৷ এই দুর্নীতিগুলি সাংসদের মুখ থেকে বেরোচ্ছে না কেন? খগেনবাবুর কাছে আমার আবেদন, বিপর্যয়ের এই মুহূর্তে তিনি যেন দল ভুলে যান ৷ মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে সাংসদ নির্বাচিত করেছেন ৷ তিনি এই বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ান ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.