করোনা আবহে নিরাপত্তার আতঙ্কে মালদার ভোটকর্মীরা

মালদায় ডিসিআরসিতে শিকেয় কোভিড বিধি । পাশাপাশি টোটোয় করে বুথে রওনা ভোটকর্মীদের । নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।

মালদা, 28 এপ্রিল : মাথার ওপর গনগনে রোদ । তাপমাত্রার কাঁটা চল্লিশের ঘর পেরিয়ে গিয়েছে । এর মধ্যে রয়েছে করোনার ঝড় । দুইয়ের ধাক্কায় আতঙ্কের স্রোত বইছে ভোট কর্মীদের মনে । কিন্তু সপ্তম দফার মতো অষ্টম দফাতেও ডিসিআরসিতে কোভিড বিধি সেভাবে মানা হয়নি । ভোটকর্মীদের কেউ কমিশনের ব্যবস্থাপনায় ভয়ে কিংবা ভক্তিতে খুশি হলেও কেউ আবার অখুশি ।

অষ্টম দফায় মালদা জেলার 6টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হতে চলেছে । তার জন্য মালদা কলেজ ও মালদা পলিটেকনিকে ডিসিআরসি করা হয়েছে । মালদা কলেজের ডিসিআরসিতে ভোটের সামগ্রী গুছিয়ে নিচ্ছিলেন প্রিসাইডিং অফিসার ভাস্কর দাস। তিনি বলেন, "করোনা নিয়ে আমাদের চিন্তা অবশ্যই রয়েছে ৷ ডিসিআরসিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে কমিশন যা ব্যবস্থা নিয়েছে তাতে আমি খুশি । আগামীকাল বুথেও যতটা পারা যায় কোভিড বিধি মেনে চলার চেষ্টা করব ৷"

তবে করোনা নিয়ে ডিসিআরসি ব্যবস্থাপনায় খুশি নন আরেক প্রিসাইডিং অফিসার মোশারফ হোসেন । তিনি বলেন, "এখানে শারীরিক দূরত্ব বিধি কিছুই মানা হয়নি। তবু এর মধ্যেও আমাদের কাজ করতে হচ্ছে । কারণ, সমস্ত বিধি মেনে চলা হলে বুথে যেতে রাত গড়িয়ে যাবে । তবে কমিশনের ব্যবস্থাপনায় আমি খুব একটা খুশি নই ।"

এদিকে এবারই দেখা গিয়েছে, ভোটকর্মীরা টোটোয় ইভিএমসহ সমস্ত মালপত্র নিয়ে বুথে যাচ্ছেন । প্রতিটি দলের জন্য মাত্র একজন পুলিশ । জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার কেন্দ্রের 215টি ও মালদা কেন্দ্রের 86টি বুথের জন্য যথাক্রমে 430 ও 172টি টোটো কাজে লাগানো হয়েছে । খোলা পরিসরের ছোট এই বাহনে ইভিএমের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে । এনিয়ে খানিকটা চিন্তিত ভাস্কর দাস, শেখ সামিউর রহমানের মতো ভোটকর্মীরা ।