মালদা, 31 মার্চ : সাত মন খড়ি পুড়ল, তবু রাধা নাচল না ৷ কার্যত তেমনটাই যেন ঘটল মানিকচকের তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্রের মনোনয়ন পর্বে ৷ আয়োজন সম্পূর্ণ ছিল ৷ মানিকচক থেকে প্রায় 250 টি গাড়িতে নির্দিষ্ট সময়েই মালদায় চলে এসেছিলেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা ৷ তাঁদের 'খেলা হবে’র মিছিলে স্তব্ধ মালদা শহর ৷ কয়েকশো ঘাসফুল কর্মীই শুধু দেখা যাচ্ছে শহরের রাস্তায় ৷ নির্দিষ্ট সময়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনেও চলে আসেন সাবিত্রীদেবী ৷ সঙ্গে আসেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর সহ অন্যান্যরা ৷ কিন্তু বেলা তিনটে পর্যন্ত এসে পৌঁছোয়নি হলফনামা ৷ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর অবশেষে বাড়ি ফিরে যান সাবিত্রীদেবী ৷
আজ সকালেই সাবিত্রীদেবী ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, পঞ্জিকা দেখে তিনি বুধবারই নিজের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৷ তার জন্য গতকাল একাধিক মন্দির ও মসজিদে গিয়ে জয়ের প্রার্থনা করেছেন ৷ আজ বাড়ির ঠাকুরঘরে দীর্ঘক্ষণ ধ্যানে মগ্ন ছিলেন ৷ দুপুর একটা নাগাদ তিনি জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে চলে আসেন ৷ কিন্তু তারপর থেকেই শুরু হয় তাঁর অপেক্ষার প্রহর গোনা ৷ মনোনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় হলফনামা তখনও আসেনি ৷ এভাবেই পেরিয়ে যায় দু’ঘণ্টা ৷ শেষ পর্যন্ত বেলা তিনটে পেরিয়ে যাওয়ায় মনোনয়ন জমা না দিয়েই ফিরতে হয় তাঁকে ৷ হতাশ হয়ে ঘরে ফিরে যান মানিকচক থেকে আসা তাঁর অনুগামীরাও ৷
সাবিত্রীদেবী বলেন, “মনোনয়ন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল বেলা তিনটে পর্যন্ত ৷ কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে আমার হলফনামার কাগজ এসে পৌঁছোয়নি ৷ আর নাড়ি-নক্ষত্র বিশ্বাস করছি না ৷ মানুষের উপরেই আমার বিশ্বাস রয়েছে ৷ আগামী 5 তারিখ নিজের মনোনয়ন জমা দেব ৷” তবে সাবিত্রীদেবী মুখে যাই বলুন না কেন, কথা বলার সময় তিনি নিজের হতাশা লুকোতে পারেননি ৷
আরও পড়ুন :নন্দীগ্রামে অপরাধীদের আশ্রয়দাতা শুভেন্দু, কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের