ETV Bharat / state

গনি গড়ে জোড়াফুল ফোটানোর আশায় আবদুল গনি

জেলার রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে সুজাপুর আর কোতোয়ালির খান চৌধুরী পরিবার যেন একাত্ম । প্রয়াত বরকত গনি খান চৌধুরীর চাষ করা মাটিতে এখনও হাতের রাজত্ব ।

md abdul ghani
md abdul ghani
author img

By

Published : Apr 12, 2021, 10:14 PM IST

মালদা, 12 এপ্রিল : গনির গড়ে কংগ্রেসকে টেক্কা দিতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অস্ত্র আর এক গনি । সুজাপুর কেন্দ্রে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আবদুল গনিকে প্রার্থী করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো । যে কেন্দ্রে স্বাধীনতার পর থেকে প্রয়াত গনি খান চৌধুরী এবং তাঁর উত্তরসূরিরা এখনও পর্যন্ত রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ সেই কেন্দ্রে এবার ভূমিপুত্র আবদুল গনি তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে কী করতে পারেন তা দেখতে মুখিয়ে সবাই ।

কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গয়েশবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আবদুল গনি । বয়স প্রায় 72 বছর । প্রায় 25 বছর বিচার বিভাগে কর্মরত ছিলেন । 2012 সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে সরকারি কর্মজীবন থেকে অবসর নেন । আইনের বিষয়ে পরামর্শের জন্য এলাকার মানুষের শেষ ভরসা তিনিই । শুধু কালিয়াচক নয় এই বিষয়ে তাঁর কাছে পরামর্শ নিতে আসেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ । সাতসকাল থেকেই ভিড় জমে তাঁর দোতলা বাড়ির একতলায় । এবারের ভোটে প্রার্থী হলেও তাঁর সেই রুটিনে কোনও ছেদ পড়েনি । পুরোপুরি অরাজনৈতিক এমন ব্যক্তিকেই এবার সুজাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে তৃণমূল ।

জেলার রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে সুজাপুর আর কোতোয়ালির খান চৌধুরী পরিবার যেন একাত্ম । প্রয়াত বরকত গনি খান চৌধুরীর চাষ করা মাটিতে এখনও হাতের রাজত্ব । ষোলোর বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বরকত সাহেবের ভাই আবু নাসার খান চৌধুরী তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন । বিপক্ষে ছিলেন কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরী । সেবারও ভাইপোর কাছে হার মানতে হয়েছিল চাচাকে । বলা হয়, ভোট আসলেই হাত আর সুজাপুর এক হয়ে যায় । এই অবস্থায় গনির ছায়ার সঙ্গে গনির লড়াইয়ের ফল এবার কী হবে ?

গনি গড়ে জোড়াফুল ফোটানোর আশায় আবদুল গনি

আরও পড়ুন : ভোটের মুখে সরানো হল মালদা সদর মহকুমাশাসককে

ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আবদুল গনি বলেন, "এই কেন্দ্রে এখনও প্রয়াত গনি খানের কিছু প্রভাব রয়েছে । কারণ, তিনি এলাকার বেশ কিছু মানুষকে চাকরি দিয়েছিলেন অথবা কাজের ব্যবস্থা করেছিলেন । মানুষ এখনও তা ভুলতে পারেনি । তাই গনি খানের প্রয়াণের পরেও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই কেন্দ্রে ভোটে সুবিধা পেয়ে আসছেন । তবে এলাকার শিক্ষিত মানুষ আর পুরানো কথা মনে রাখতে চাইছেন না । ভোটে কী হবে জানি না । আমার এনিয়ে কোনও অনুভূতিও নেই । তবে মানুষের ভালো সাড়া পাচ্ছি । এই এলাকায় এখনও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি । জিতলে সেই কাজগুলিকেই প্রাধান্য দেব ।"

তৃণমূল প্রার্থী কার্যত মেনে নিয়েছেন, তাঁকে এবার কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরীর পাশাপাশি লড়তে হবে প্রয়াত গনি খানের ছায়ার সঙ্গেও । সুজাপুর কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা 2 লাখ 50 হাজার 630 । এর মধ্যে প্রায় 87 শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার । তাই এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন না গনি সাহেব । তিনি এখন প্রয়াত গনি খান চৌধুরীর প্রভাব সরিয়ে জয়ের রাস্তা বের করতে ব্যস্ত ।

মালদা, 12 এপ্রিল : গনির গড়ে কংগ্রেসকে টেক্কা দিতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অস্ত্র আর এক গনি । সুজাপুর কেন্দ্রে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আবদুল গনিকে প্রার্থী করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো । যে কেন্দ্রে স্বাধীনতার পর থেকে প্রয়াত গনি খান চৌধুরী এবং তাঁর উত্তরসূরিরা এখনও পর্যন্ত রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ সেই কেন্দ্রে এবার ভূমিপুত্র আবদুল গনি তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে কী করতে পারেন তা দেখতে মুখিয়ে সবাই ।

কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গয়েশবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আবদুল গনি । বয়স প্রায় 72 বছর । প্রায় 25 বছর বিচার বিভাগে কর্মরত ছিলেন । 2012 সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে সরকারি কর্মজীবন থেকে অবসর নেন । আইনের বিষয়ে পরামর্শের জন্য এলাকার মানুষের শেষ ভরসা তিনিই । শুধু কালিয়াচক নয় এই বিষয়ে তাঁর কাছে পরামর্শ নিতে আসেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ । সাতসকাল থেকেই ভিড় জমে তাঁর দোতলা বাড়ির একতলায় । এবারের ভোটে প্রার্থী হলেও তাঁর সেই রুটিনে কোনও ছেদ পড়েনি । পুরোপুরি অরাজনৈতিক এমন ব্যক্তিকেই এবার সুজাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে তৃণমূল ।

জেলার রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে সুজাপুর আর কোতোয়ালির খান চৌধুরী পরিবার যেন একাত্ম । প্রয়াত বরকত গনি খান চৌধুরীর চাষ করা মাটিতে এখনও হাতের রাজত্ব । ষোলোর বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বরকত সাহেবের ভাই আবু নাসার খান চৌধুরী তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন । বিপক্ষে ছিলেন কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরী । সেবারও ভাইপোর কাছে হার মানতে হয়েছিল চাচাকে । বলা হয়, ভোট আসলেই হাত আর সুজাপুর এক হয়ে যায় । এই অবস্থায় গনির ছায়ার সঙ্গে গনির লড়াইয়ের ফল এবার কী হবে ?

গনি গড়ে জোড়াফুল ফোটানোর আশায় আবদুল গনি

আরও পড়ুন : ভোটের মুখে সরানো হল মালদা সদর মহকুমাশাসককে

ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আবদুল গনি বলেন, "এই কেন্দ্রে এখনও প্রয়াত গনি খানের কিছু প্রভাব রয়েছে । কারণ, তিনি এলাকার বেশ কিছু মানুষকে চাকরি দিয়েছিলেন অথবা কাজের ব্যবস্থা করেছিলেন । মানুষ এখনও তা ভুলতে পারেনি । তাই গনি খানের প্রয়াণের পরেও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই কেন্দ্রে ভোটে সুবিধা পেয়ে আসছেন । তবে এলাকার শিক্ষিত মানুষ আর পুরানো কথা মনে রাখতে চাইছেন না । ভোটে কী হবে জানি না । আমার এনিয়ে কোনও অনুভূতিও নেই । তবে মানুষের ভালো সাড়া পাচ্ছি । এই এলাকায় এখনও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি । জিতলে সেই কাজগুলিকেই প্রাধান্য দেব ।"

তৃণমূল প্রার্থী কার্যত মেনে নিয়েছেন, তাঁকে এবার কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরীর পাশাপাশি লড়তে হবে প্রয়াত গনি খানের ছায়ার সঙ্গেও । সুজাপুর কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা 2 লাখ 50 হাজার 630 । এর মধ্যে প্রায় 87 শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার । তাই এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন না গনি সাহেব । তিনি এখন প্রয়াত গনি খান চৌধুরীর প্রভাব সরিয়ে জয়ের রাস্তা বের করতে ব্যস্ত ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.