মালদা, 19 জানুয়ারি : "আগেকার দিনে সন্দীপ ছিল, যে দাঙ্গা বাধিয়ে বেড়াচ্ছিল ৷ আর দাঙ্গাকে রোধ করার জন্য নিখিলেশ ছিলেন ৷ আজ কি দেশে দাঙ্গা লাগানোর লোকের অভাব ? সন্দীপরা কি নেই ?" মালদা বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এসে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন সাহিত্যিক আবুল বাশার ৷
কোরোনা আবহে মঙ্গলবারই শুরু হয়েছে 32 তম মালদা জেলা বইমেলা ৷ এবার মেলার সময়সীমা খানিক কমানো হয়েছে ৷ অন্য বছরগুলিতে জেলা বইমেলা সাতদিনের হলেও এবার তা ছ’দিনের ৷ মেলায় কমেছে স্টলের সংখ্যাও ৷ মেলা উপলক্ষ্যে এবার কোনও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়নি ৷ বৈদিক স্তোত্রপাঠের মধ্যে দিয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আবুল বাশার ৷ স্তোত্রপাঠ করেন মালদা রামকৃষ্ণ মিশনের মঠাধ্যক্ষ স্বামী ত্যাগরূপানন্দ মহারাজ-সহ অন্য সন্ন্যাসীরা ৷ মেলার সূচনা অনুষ্ঠানে আবুল বাশার ছাড়াও ছিলেন আরেক বিশিষ্ট লেখক মনোরঞ্জন ব্যাপারি ৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র ৷
আরও পড়ুন: আজ থেকে মালদায় শুরু বইমেলা
মেলা উদ্বোধনের পর সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আবুল বাশার বলেন, “কলকাতা বইমেলা বাদ দিলে জেলা বইমেলাগুলির মধ্যে মালদা বইমেলা রাজ্যে সবচেয়ে বড় ৷ কিন্তু কোরোনার জন্য এবার মেলা ছোটো করে করতে হচ্ছে ৷"
এরপরেই সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন বিখ্যাত সাহিত্যিক ৷ আবুল বাশারের কথায়, "সমাজে নানা ধরনের বদল হয় ৷ রাজনীতিতেও হয় ৷ এসব লেখায় তুলে ধরা প্রয়োজন ৷ আমার মনে হচ্ছে, সাহিত্যিকদের লেখায় সব কথা ফুটে উঠছে না ৷ সেটা ঠিক নয় ৷ লেখার মধ্যে সামগ্রিক ভারতবর্ষের ছবি ফুটিয়ে তুলতে হবে ৷ রবীন্দ্রনাথ সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক বই লিখেছেন ৷ তাঁর ঘরে বাইরে, গোরা রাজনীতির পটভূমিতে লেখা ৷ "
আবুল বাশার বলেন, "আগেকার দিনে সন্দীপ ছিল, যে দাঙ্গা বাধিয়ে বেড়াচ্ছিল ৷ আর দাঙ্গাকে রোধ করার জন্য নিখিলেশ ছিলেন ৷ আজ কি দেশে দাঙ্গা লাগানোর লোকের অভাব ? সন্দীপরা কি নেই ? এখনকার লেখকরা ভয়ে লিখতে পারেন না ৷ বড় প্রতিভা ভয় পায় না ৷ রবীন্দ্রনাথ নাইটহুড ত্যাগ করেছিলেন ৷ এটা তো রাজনৈতিক প্রতিবাদ ৷ এখন তেমন লোক চাই ৷”