ETV Bharat / state

দাদাকে ছেড়ে দেওয়াই একমাত্র আফসোস আসিফের

যেভাবে আসিফ নিজেকে বাড়িতে আলাদা করে রেখেছিল, যেভাবে দোতলার ঘরে সে নিজস্ব সাইবার ল্যাব বানিয়েছিল, তাতে তার বাবার কোনও সন্দেহ হয়নি ছোট ছেলের উপর ? তবে কী ছেলে তাঁকেও কোনও কারণে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করেছিল ? সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের ৷

কালিয়াচক
দাদাকে ছেড়ে দেওয়াই একমাত্র আফসোস আসিফের
author img

By

Published : Jun 23, 2021, 11:15 AM IST

মালদা, 23 জুন : একটাই আফসোস ৷ দাদা বেঁচে গিয়েছিল ৷ দাদাকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্যও করেছিল সে ৷ সেই দাদাই কাল হল তার ৷ তদন্তকারীদের সামনে এই নিয়ে আফসোসও করেছে আসিফ মহম্মদ ৷ এছাড়া তার আর কোনও বিষয়ে হেলদোল দেখা যায়নি ৷ তবে পরিবারের সকলকে খুনের পরিকল্পনা যে দীর্ঘদিন ধরেই আসিফ করেছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই তদন্তকারীদের ৷

দফায় দফায় জেরা করে, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, খুনের পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতেই বাড়ি লাগোয়া গুদামঘর তৈরি করেছিল আসিফ ৷ তারই নকশাতেই সেই ঘর তৈরি হয় ৷ কিন্তু তদন্তকারীদের প্রশ্ন অন্য জায়গায় ৷ আসিফের বাবা জাওয়াদ আলি ওরফে রুনু একসময় পুলিশের গাড়ির চালক ছিলেন ৷ একাধিক ঘটনায় পুলিশি তদন্তের সাক্ষীও থেকেছেন তিনি ৷ তিনি কেন ছোট ছেলের জেদের কাছে মাথা নোয়ালেন ? কেনই বা অদ্ভুত নকশায় গুদামঘর তৈরি করা হয়েছিল ? আরও একটি বিষয় প্রশ্ন তুলছে তদন্তকারীদের মনে ৷ যেভাবে আসিফ নিজেকে বাড়িতে আলাদা করে রেখেছিল, যেভাবে দোতলার ঘরে সে নিজস্ব সাইবার ল্যাব বানিয়েছিল, তাতে তার বাবার কোনও সন্দেহ হয়নি ছোট ছেলের উপর ? তবে কী ছেলে তাঁকেও কোনও কারণে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করেছিল ? সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের ৷


তবে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছেন, খুনের ঘটনায় আসিফের দাদা আরিফের কোনও হাত নেই ৷ ছোট ভাইয়ের পরিকল্পনা সম্পর্কে সে অবগত ছিল না ৷ আরিফ কলকাতায় থেকে পড়াশোনা করতেন ৷ খুব কমই বাড়িতে আসত সে ৷ যদিও করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরে আসেন তিনি ৷ ছোট ভাইয়ের পরিকল্পনার শিকার হয়েছিলেন তিনিও ৷ কিন্তু সম্ভবত ঘুমের ওষুধ মেশানো ঠান্ডা পানীয় কম খাওয়ার জন্যই, তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে ৷

আরও পড়ুন : Kaliachak Murder Case : আসিফের ফাঁসি চায় গ্রামবাসী

কিন্তু আসিফ ঘুমের ওষুধ পেল কোথা থেকে ? পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, অত্যন্ত কড়া ঘুমের ওষুধ খেয়েই নেশা করত সে ৷ খুন করার আগে সেই ওষুধই ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়েছিল সে ৷ জানা গিয়েছে, ওষুধ পেতে ভুয়ো প্রেসক্রিপশন তৈরি করেছিল আসিফ ৷ পুলিশকে আরিফ জানিয়েছে, ভাই বাড়ি থেকেই বেরোত না ৷ তাহলে সেই ওষুধ তাকে কে এনে দিত? এখন সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷ এনিয়েই জেরা করা হচ্ছে, দুই বন্ধু সাবির আলি ও মহম্মদ মাফুজকে ৷ দুই বন্ধুকে আগেই আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে পুলিশ ৷

আরও পড়ুন : Kaliachak Murder Case : কীভাবে খুন-কীভাবেই বা বাঁচল দাদা, ঘটনার পুনর্নির্মাণে দেখাল আসিফ

খুনের পর মৃতদেহ থেকে যাতে কোনও দুর্গন্ধ না বেরোয়, তার জন্য রীতিমতো পড়াশোনা করেছিল আসিফ ৷ সম্ভবত কিছু রায়াসনিক ব্যবহার করেছিল সে ৷ বাড়ি থেকে রাসায়নিক স্প্রেয়ার উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ গুদামঘর থেকে মিলেছে রাসায়নিক রাখার জারও ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, একদিনে নয়, অন্তত পাঁচদিন ধরে মৃতদেহগুলিকে গুদামঘরের মেঝের নীচে পুঁতেছে আসিফ ৷ পাঁচদিনে মৃতদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর সম্ভাবনা ছিল ৷ তার জন্যই কী মৃতদেহে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল ? এনিয়ে পুলিশ সুপার জানান, উদ্ধার হওয়া রায়াসনিকের জার পরীক্ষা করে দেখবেন বিশেষজ্ঞরা ৷ সব মিলিয়ে যত সময় যাচ্ছে, 19 বছর বয়সী ঠান্ডা চোখের আসিফের অপরাধের ধরন চমকে দিচ্ছে দুঁদে পুলিশকর্তাদের ৷

মালদা, 23 জুন : একটাই আফসোস ৷ দাদা বেঁচে গিয়েছিল ৷ দাদাকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্যও করেছিল সে ৷ সেই দাদাই কাল হল তার ৷ তদন্তকারীদের সামনে এই নিয়ে আফসোসও করেছে আসিফ মহম্মদ ৷ এছাড়া তার আর কোনও বিষয়ে হেলদোল দেখা যায়নি ৷ তবে পরিবারের সকলকে খুনের পরিকল্পনা যে দীর্ঘদিন ধরেই আসিফ করেছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই তদন্তকারীদের ৷

দফায় দফায় জেরা করে, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, খুনের পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতেই বাড়ি লাগোয়া গুদামঘর তৈরি করেছিল আসিফ ৷ তারই নকশাতেই সেই ঘর তৈরি হয় ৷ কিন্তু তদন্তকারীদের প্রশ্ন অন্য জায়গায় ৷ আসিফের বাবা জাওয়াদ আলি ওরফে রুনু একসময় পুলিশের গাড়ির চালক ছিলেন ৷ একাধিক ঘটনায় পুলিশি তদন্তের সাক্ষীও থেকেছেন তিনি ৷ তিনি কেন ছোট ছেলের জেদের কাছে মাথা নোয়ালেন ? কেনই বা অদ্ভুত নকশায় গুদামঘর তৈরি করা হয়েছিল ? আরও একটি বিষয় প্রশ্ন তুলছে তদন্তকারীদের মনে ৷ যেভাবে আসিফ নিজেকে বাড়িতে আলাদা করে রেখেছিল, যেভাবে দোতলার ঘরে সে নিজস্ব সাইবার ল্যাব বানিয়েছিল, তাতে তার বাবার কোনও সন্দেহ হয়নি ছোট ছেলের উপর ? তবে কী ছেলে তাঁকেও কোনও কারণে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করেছিল ? সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের ৷


তবে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছেন, খুনের ঘটনায় আসিফের দাদা আরিফের কোনও হাত নেই ৷ ছোট ভাইয়ের পরিকল্পনা সম্পর্কে সে অবগত ছিল না ৷ আরিফ কলকাতায় থেকে পড়াশোনা করতেন ৷ খুব কমই বাড়িতে আসত সে ৷ যদিও করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরে আসেন তিনি ৷ ছোট ভাইয়ের পরিকল্পনার শিকার হয়েছিলেন তিনিও ৷ কিন্তু সম্ভবত ঘুমের ওষুধ মেশানো ঠান্ডা পানীয় কম খাওয়ার জন্যই, তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে ৷

আরও পড়ুন : Kaliachak Murder Case : আসিফের ফাঁসি চায় গ্রামবাসী

কিন্তু আসিফ ঘুমের ওষুধ পেল কোথা থেকে ? পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, অত্যন্ত কড়া ঘুমের ওষুধ খেয়েই নেশা করত সে ৷ খুন করার আগে সেই ওষুধই ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়েছিল সে ৷ জানা গিয়েছে, ওষুধ পেতে ভুয়ো প্রেসক্রিপশন তৈরি করেছিল আসিফ ৷ পুলিশকে আরিফ জানিয়েছে, ভাই বাড়ি থেকেই বেরোত না ৷ তাহলে সেই ওষুধ তাকে কে এনে দিত? এখন সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷ এনিয়েই জেরা করা হচ্ছে, দুই বন্ধু সাবির আলি ও মহম্মদ মাফুজকে ৷ দুই বন্ধুকে আগেই আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে পুলিশ ৷

আরও পড়ুন : Kaliachak Murder Case : কীভাবে খুন-কীভাবেই বা বাঁচল দাদা, ঘটনার পুনর্নির্মাণে দেখাল আসিফ

খুনের পর মৃতদেহ থেকে যাতে কোনও দুর্গন্ধ না বেরোয়, তার জন্য রীতিমতো পড়াশোনা করেছিল আসিফ ৷ সম্ভবত কিছু রায়াসনিক ব্যবহার করেছিল সে ৷ বাড়ি থেকে রাসায়নিক স্প্রেয়ার উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ গুদামঘর থেকে মিলেছে রাসায়নিক রাখার জারও ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, একদিনে নয়, অন্তত পাঁচদিন ধরে মৃতদেহগুলিকে গুদামঘরের মেঝের নীচে পুঁতেছে আসিফ ৷ পাঁচদিনে মৃতদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর সম্ভাবনা ছিল ৷ তার জন্যই কী মৃতদেহে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল ? এনিয়ে পুলিশ সুপার জানান, উদ্ধার হওয়া রায়াসনিকের জার পরীক্ষা করে দেখবেন বিশেষজ্ঞরা ৷ সব মিলিয়ে যত সময় যাচ্ছে, 19 বছর বয়সী ঠান্ডা চোখের আসিফের অপরাধের ধরন চমকে দিচ্ছে দুঁদে পুলিশকর্তাদের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.