ETV Bharat / state

লরিচালকদের দাপটে যানজট জাতীয় সড়কে, আটকে পড়ল অ্যাম্বুলেন্সও

author img

By

Published : Apr 21, 2020, 4:13 PM IST

পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়িতে রয়েছে FCI-এর গোডাউন ৷ কয়েকদিন আগেই সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো চাল মজুত করা হয়েছে ৷ গতকাল রাজ্য সরকার এই চাল লকডাউনে বিপন্ন মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ সেকথা জানতে পেরে গতকাল রাত থেকেই গোডাউনের সামনে ভিড় করতে শুরু করে একাধিক লরি ৷ এই যানজটের মধ্যে আটকে যায় একটি অ্যাম্বুলেন্সও ৷ পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷

লরিচালকদের দাপটে যানজট জাতীয় সড়কে
লরিচালকদের দাপটে যানজট জাতীয় সড়কে

মালদা, 21 এপ্রিল : লকডাউন থেকে কয়েকটি ক্ষেত্রকে ছাড় দেওয়া হয়েছে ৷ তাই আজ থেকে মালদার FCI-এর গোডাউন থেকে চাল বের করার কাজ শুরু হয়েছে ৷ লকডাউনে সমস্যায় পড়া মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে FCI গুদামগুলিতে এই চাল পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ গতকাল রাজ্য সরকারের তরফে সেই চাল গোডাউন থেকে বের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ আর তাতেই লরিচালক ও কর্মীদের দাপট দেখা গেল পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি এলাকায় ৷ FCI-এর গোডাউনে লরি ঢোকাতে গিয়ে যানজট তৈরি হয় 34 নম্বর জীতায় সড়কে ৷ এমনকী, যানজটে আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সও ৷ খবর পেয়েই মালদা থানার পুলিশ গিয়ে ওই এলাকাকে যানজটমুক্ত করে ৷

পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়িতে রয়েছে FCI-এর গোডাউন ৷ কয়েকদিন আগেই সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো চাল মজুত করা হয়েছে ৷ গতকাল রাজ্য সরকার এই চাল লকডাউনে সমস্যায় পড়া মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ সেকথা জানতে পেরে গতরাত থেকেই গোডাউনের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করে একাধিক লরি ৷ আজ সকালে সেখানে কার্যত অচলাবস্থা দেখা দেয় ৷ যে যেখান থেকে পারছে, লরি গোডাউনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ৷ এর জেরে জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয় ৷ সেখানে থাকা কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়রের পক্ষে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায় ৷ এরই মধ্যে মালতিপুর থেকে মালদা মেডিকেলে এক প্রসূতিকে নিয়ে যাচ্ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স ৷ কিন্তু, 20 মিনিটেরও বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অ্যাম্বুলেন্সটিকে ৷ সেটিতে রোগী থাকলেও লরিচালক কিংবা খালাসিরা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে কোনও সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ ৷ অ্যাম্বুলেন্স চালক হুমায়ুন শেখ একাধিকবার লরিচালকদের কাছে পথ ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানালেও কোনও কাজ হয়নি ৷ সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যান মালদা থানার ট্র্যাফিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুকুমার রায় ৷ তাঁর হস্তক্ষেপে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারেন হুমায়ুন সাহেব ৷

এলাকার বাসিন্দা সৌরভ রায় বলেন, "শুধু লরিচালক কিংবা খালাসি নয়, এই গোডাউন থেকে খাদ্যসামগ্রী বের করার সময় হলে সক্রিয় হয়ে ওঠে এক শ্রেণির দালাল ৷ তারাই জাতীয় সড়ক অবরূদ্ধ করে ফেলে ৷ লরিগুলোর মধ্যেও প্রথমে গোডাউনে ঢোকার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় ৷ এর আগে এই কারণে বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে ৷ মৃত্যুও হয়েছে ৷ কিন্তু কারও কোনও টনক নড়েনি ৷ আজ যেভাবে অ্যাম্বুলেন্সকে আটকে রাখা হল, তা বিপজ্জনক ৷ ওই রোগীর কিছু হলে কে দায় নিত?" একই বক্তব্য স্থানীয় সুষমা হালদার, রঞ্জিৎ সাহাদেরও ৷

মালদা থানার IC শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, "লরির দাপটে জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ট্র্যাফিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুকুমার রায়কে সেখানে পাঠানো হয় ৷ তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেন ৷ কিন্তু লরির কর্মীরা যেভাবে আজ রোগী থাকা সত্ত্বেও অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে অসহযোগিতা করেছে, তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না ৷ আজ তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ৷ ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"

মালদা, 21 এপ্রিল : লকডাউন থেকে কয়েকটি ক্ষেত্রকে ছাড় দেওয়া হয়েছে ৷ তাই আজ থেকে মালদার FCI-এর গোডাউন থেকে চাল বের করার কাজ শুরু হয়েছে ৷ লকডাউনে সমস্যায় পড়া মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে FCI গুদামগুলিতে এই চাল পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ গতকাল রাজ্য সরকারের তরফে সেই চাল গোডাউন থেকে বের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ আর তাতেই লরিচালক ও কর্মীদের দাপট দেখা গেল পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি এলাকায় ৷ FCI-এর গোডাউনে লরি ঢোকাতে গিয়ে যানজট তৈরি হয় 34 নম্বর জীতায় সড়কে ৷ এমনকী, যানজটে আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সও ৷ খবর পেয়েই মালদা থানার পুলিশ গিয়ে ওই এলাকাকে যানজটমুক্ত করে ৷

পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়িতে রয়েছে FCI-এর গোডাউন ৷ কয়েকদিন আগেই সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো চাল মজুত করা হয়েছে ৷ গতকাল রাজ্য সরকার এই চাল লকডাউনে সমস্যায় পড়া মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ সেকথা জানতে পেরে গতরাত থেকেই গোডাউনের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করে একাধিক লরি ৷ আজ সকালে সেখানে কার্যত অচলাবস্থা দেখা দেয় ৷ যে যেখান থেকে পারছে, লরি গোডাউনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ৷ এর জেরে জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয় ৷ সেখানে থাকা কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়রের পক্ষে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায় ৷ এরই মধ্যে মালতিপুর থেকে মালদা মেডিকেলে এক প্রসূতিকে নিয়ে যাচ্ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স ৷ কিন্তু, 20 মিনিটেরও বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অ্যাম্বুলেন্সটিকে ৷ সেটিতে রোগী থাকলেও লরিচালক কিংবা খালাসিরা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে কোনও সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ ৷ অ্যাম্বুলেন্স চালক হুমায়ুন শেখ একাধিকবার লরিচালকদের কাছে পথ ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানালেও কোনও কাজ হয়নি ৷ সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যান মালদা থানার ট্র্যাফিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুকুমার রায় ৷ তাঁর হস্তক্ষেপে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারেন হুমায়ুন সাহেব ৷

এলাকার বাসিন্দা সৌরভ রায় বলেন, "শুধু লরিচালক কিংবা খালাসি নয়, এই গোডাউন থেকে খাদ্যসামগ্রী বের করার সময় হলে সক্রিয় হয়ে ওঠে এক শ্রেণির দালাল ৷ তারাই জাতীয় সড়ক অবরূদ্ধ করে ফেলে ৷ লরিগুলোর মধ্যেও প্রথমে গোডাউনে ঢোকার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় ৷ এর আগে এই কারণে বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে ৷ মৃত্যুও হয়েছে ৷ কিন্তু কারও কোনও টনক নড়েনি ৷ আজ যেভাবে অ্যাম্বুলেন্সকে আটকে রাখা হল, তা বিপজ্জনক ৷ ওই রোগীর কিছু হলে কে দায় নিত?" একই বক্তব্য স্থানীয় সুষমা হালদার, রঞ্জিৎ সাহাদেরও ৷

মালদা থানার IC শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, "লরির দাপটে জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ট্র্যাফিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুকুমার রায়কে সেখানে পাঠানো হয় ৷ তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেন ৷ কিন্তু লরির কর্মীরা যেভাবে আজ রোগী থাকা সত্ত্বেও অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে অসহযোগিতা করেছে, তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না ৷ আজ তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ৷ ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.