ETV Bharat / state

মালদার এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে রক্তের কালোবাজারির অভিযোগ - malda news

রক্ত দেওয়া পরেও রোগীর হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ একই ৷ চাওয়া হয় আরও রক্ত ৷ এতেই মালদার এক নার্সিংহোমের উপর সন্দেহ হয় রেড ভলান্টিয়ার্সের সদস্যদের ৷ কর্তৃপক্ষ কোনও টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে না পারলে রক্তের কালোবাজারি ও অপব্যবহারের অভিযোগ তোলে রেড ফলান্টিয়ার্সরা ৷

allegation of blackmarketing on blood against a nursing home in malda
রক্তের কালোবাজারির অভিযোগ মালদার এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে
author img

By

Published : Jun 22, 2021, 3:12 AM IST

Updated : Jun 22, 2021, 6:19 AM IST

মালদা, 22 জুন : রক্তের কালোবাজারির অভিযোগ উঠল মালদায় । একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ডাক্তারের সই জাল করে রক্তের রিকুইজিশন দেওয়া সহ কালোবাজারি ও অপব্যবহারের অভিযোগ তুলল রেড ভলান্টিয়ার্স । নিজেদের ভুল কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন ওই নার্সিংহোমের এক কর্মী ।

কিডনির অপারেশনের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুরের অনিমা ঘোষকে মালদা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন ছেলে সুমিত ঘোষ । রবিবার সুমিতকে পাঁচ ইউনিট রক্ত জোগাড় করতে বলা হয় । সেই মতো রক্ত জোগাড় করতে রেড ভলান্টিয়ারদের শরণাপন্ন হন সুমিত । রেড ভলান্টিয়াররা সুমিতকে দুই ইউনিট রক্ত জোগাড় করে দেয় । সোমবার নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ফের সুমিতকে তিন ইউনিট রক্ত আনতে বলে । সুমিত ফের রেড ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে । রেড ভলান্টিয়ার্সের সদস্যরা রিকুইজিশনের কাগজ দেখে অবাক হয়ে যান । রক্ত দেওয়ার আগে পেশেন্টের শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ যা ছিল দুই ইউনিট রক্ত দেওয়ার পরেও একই আছে । এরপরেই সুমিতকে সঙ্গে নিয়ে রেড ভলান্টিয়াররা নার্সিংহোমে এসে পৌঁছায় । তারা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে হিমোগ্লোবিন টেস্টের রিপোর্ট দেখতে চায় । কিন্তু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কোনও রিপোর্ট দেখাতে পারেনি । এরপরই রিকুইজিশন ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে রেড ভলান্টিয়ার্স ।

ওই নার্সিংহোমের এক কর্মী প্রীতম কুমার সাহা জানান, ডাক্তারবাবু তাঁকে রিকুইজিশন ফর্ম ফিল-আপ করতে বলেছিল । ভুলবশত তিনি হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ 8.5 এর পরিবর্তে 4.5 লিখেছেন । সেই সময় ডাক্তারবাবু নার্সিংহোমে না থাকায় রিকুইজিশন ফর্মে তিনিই ডাক্তারবাবুর সই করেছিলেন।

রক্তের কালোবাজারির অভিযোগ মালদার এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে

সুমিত বলেন, “মায়ের কিডনিতে স্টোন রয়েছে । অপারেশন করাতে মাকে এই নার্সিংহোমে ভর্তি করেছি । নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায় মাকে পাঁচ ইউনিট রক্ত দিতে হবে । আমি রেড ভলান্টিয়ার্সদের জানালে গতকাল তারা আমাকে দুই ইউনিট রক্ত জোগাড় করে দেয়। সোমবার ফের তিন ইউনিট রক্ত আনতে বলে । আমি আবার রেড ভলান্টিয়ার্সদের বিষয়টি জানালে ওরা রিকুইজিশনের কাগজ দেখে জিজ্ঞাসা করে পেশেন্টকে গতকাল রক্ত দেওয়ার পরও কীভাবে একই পরিমাণ হিমোগ্লোবিন থাকে ? এরপরই আমার সঙ্গে রেড ভলান্টিয়ার্সের সদস্যরা নার্সিংহোমে আসে । ওরা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে কোনও রিপোর্ট দেখাতে পারছে না। গতকাল মাকে দুই ইউনিট রক্ত দেওয়া হয়েছিল । তারপরে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা না করেই আমাকে রক্ত আনতে পাঠিয়েছে । মনে হচ্ছে ওরা আমাদের থেকে রক্ত নিয়ে নিজেদের কাছে মজুত করে অপব্যবহার করছে।"

আরও পড়ুন : শিশু চুরির ঘটনায় আরামবাগের একটি নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিল

রেড ভলান্টিয়ার্সের পক্ষে মধুরিমা ঘোষ বলেন,"গতকাল দুই ইউনিট ব্লাড দেওয়া হয়েছে। তার পরেও রোগীর শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কী করে একই থাকে ? যাই হোক, শরীরে হিমোগ্লোবিন টেস্টের রিপোর্ট কোথায় ? এমনকী গতকাল শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম ছিল বলে রোগীর পরিবারকে যে রক্ত আনতে বলা হয়েছিল সেই টেস্টের রিপোর্টটাই বা কোথায় ? আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে রক্তের দালালচক্র চলছে । যদি তা নাও হয় তাহলেও রক্তের অপব্যবহার চলছে । এখনও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ডাক্তারকে সামনে আনতে পারেনি। কর্তৃপক্ষ বলছে, যিনি ফর্ম ফিলাপ করেছেন হয়তো তিনি ভুল করেছেন ।"

মালদা, 22 জুন : রক্তের কালোবাজারির অভিযোগ উঠল মালদায় । একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ডাক্তারের সই জাল করে রক্তের রিকুইজিশন দেওয়া সহ কালোবাজারি ও অপব্যবহারের অভিযোগ তুলল রেড ভলান্টিয়ার্স । নিজেদের ভুল কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন ওই নার্সিংহোমের এক কর্মী ।

কিডনির অপারেশনের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুরের অনিমা ঘোষকে মালদা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন ছেলে সুমিত ঘোষ । রবিবার সুমিতকে পাঁচ ইউনিট রক্ত জোগাড় করতে বলা হয় । সেই মতো রক্ত জোগাড় করতে রেড ভলান্টিয়ারদের শরণাপন্ন হন সুমিত । রেড ভলান্টিয়াররা সুমিতকে দুই ইউনিট রক্ত জোগাড় করে দেয় । সোমবার নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ফের সুমিতকে তিন ইউনিট রক্ত আনতে বলে । সুমিত ফের রেড ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে । রেড ভলান্টিয়ার্সের সদস্যরা রিকুইজিশনের কাগজ দেখে অবাক হয়ে যান । রক্ত দেওয়ার আগে পেশেন্টের শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ যা ছিল দুই ইউনিট রক্ত দেওয়ার পরেও একই আছে । এরপরেই সুমিতকে সঙ্গে নিয়ে রেড ভলান্টিয়াররা নার্সিংহোমে এসে পৌঁছায় । তারা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে হিমোগ্লোবিন টেস্টের রিপোর্ট দেখতে চায় । কিন্তু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কোনও রিপোর্ট দেখাতে পারেনি । এরপরই রিকুইজিশন ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে রেড ভলান্টিয়ার্স ।

ওই নার্সিংহোমের এক কর্মী প্রীতম কুমার সাহা জানান, ডাক্তারবাবু তাঁকে রিকুইজিশন ফর্ম ফিল-আপ করতে বলেছিল । ভুলবশত তিনি হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ 8.5 এর পরিবর্তে 4.5 লিখেছেন । সেই সময় ডাক্তারবাবু নার্সিংহোমে না থাকায় রিকুইজিশন ফর্মে তিনিই ডাক্তারবাবুর সই করেছিলেন।

রক্তের কালোবাজারির অভিযোগ মালদার এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে

সুমিত বলেন, “মায়ের কিডনিতে স্টোন রয়েছে । অপারেশন করাতে মাকে এই নার্সিংহোমে ভর্তি করেছি । নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায় মাকে পাঁচ ইউনিট রক্ত দিতে হবে । আমি রেড ভলান্টিয়ার্সদের জানালে গতকাল তারা আমাকে দুই ইউনিট রক্ত জোগাড় করে দেয়। সোমবার ফের তিন ইউনিট রক্ত আনতে বলে । আমি আবার রেড ভলান্টিয়ার্সদের বিষয়টি জানালে ওরা রিকুইজিশনের কাগজ দেখে জিজ্ঞাসা করে পেশেন্টকে গতকাল রক্ত দেওয়ার পরও কীভাবে একই পরিমাণ হিমোগ্লোবিন থাকে ? এরপরই আমার সঙ্গে রেড ভলান্টিয়ার্সের সদস্যরা নার্সিংহোমে আসে । ওরা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে কোনও রিপোর্ট দেখাতে পারছে না। গতকাল মাকে দুই ইউনিট রক্ত দেওয়া হয়েছিল । তারপরে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা না করেই আমাকে রক্ত আনতে পাঠিয়েছে । মনে হচ্ছে ওরা আমাদের থেকে রক্ত নিয়ে নিজেদের কাছে মজুত করে অপব্যবহার করছে।"

আরও পড়ুন : শিশু চুরির ঘটনায় আরামবাগের একটি নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিল

রেড ভলান্টিয়ার্সের পক্ষে মধুরিমা ঘোষ বলেন,"গতকাল দুই ইউনিট ব্লাড দেওয়া হয়েছে। তার পরেও রোগীর শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কী করে একই থাকে ? যাই হোক, শরীরে হিমোগ্লোবিন টেস্টের রিপোর্ট কোথায় ? এমনকী গতকাল শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম ছিল বলে রোগীর পরিবারকে যে রক্ত আনতে বলা হয়েছিল সেই টেস্টের রিপোর্টটাই বা কোথায় ? আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে রক্তের দালালচক্র চলছে । যদি তা নাও হয় তাহলেও রক্তের অপব্যবহার চলছে । এখনও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ডাক্তারকে সামনে আনতে পারেনি। কর্তৃপক্ষ বলছে, যিনি ফর্ম ফিলাপ করেছেন হয়তো তিনি ভুল করেছেন ।"

Last Updated : Jun 22, 2021, 6:19 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.