মালদা, 20 জুলাই: গৃহস্থ বাড়িতে গরু-ছাগল পোষাতেও যেন বড় জ্বালা হয়েছে এই গ্রামের । পোষা গবাদি পশু ভাঙা প্রাচীর টপকে চলে যাচ্ছে স্থানীয় বিএসএফ ক্যাম্পাসে । সেই ছাগল ধরে আটকে রাখছেন জওয়ানরা । অভিযোগ, বেশ কয়েকটি রাখার পর মৃতপ্রায় ছাগলকে তাঁরা গেরস্থদের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছেন । ছাগল ছাড়াতে গ্রামবাসীদের কাছে নাকি তিন লাখ টাকা দাবিও করছেন বিএসএফ জওয়ানরা(allegation against bsf to detain villagers goats in malda)। বারবার একই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার বিএসএফের বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মালদা থানার নারায়ণপুর সংলগ্ন পারাদিঘি গ্রামের বাসিন্দারা ।
নারায়ণপুরে 12 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারেই রয়েছে বিএসএফ-এর 159 ব্যাটেলিয়নের ক্যাম্পাস । তার এক পাশে পারাদিঘি গ্রাম । গ্রাম আর বিএসএফ ক্যাম্পাসের মধ্যে সীমানা পাঁচিল থাকলেও তার অনেকটা অংশ ভেঙে গিয়েছে । সেই ফাঁকা জায়গা দিয়েই গ্রামবাসীদের গরু-ছাগল ক্যাম্পাসের ভিতরে ঘাস খেতে ঢুকে পড়ছে ।
আরও পড়ুন : সাড়ে 13 কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে
এই বিষয়ে গ্রামের বাসিন্দা কানাই ঘোষ বলেন, "বিএসএফ ক্যাম্পাসের সীমানা খোলা থাকায় আমাদের ছাগল সেখান দিয়ে ভিতরে চলে যাচ্ছে । ছাগল আনতে আমরা ভিতরে যেতে পারছি না । এর আগে একবার জওয়ানরা 20-25টি ছাগল ধরে নিয়েছিলেন । 5-6 দিন পর ছাগলগুলি ছাড়লেও একমাসের মধ্যে প্রতিটি ছাগল মারা গিয়েছিল । তাঁরা ফের 15-20টি ছাগল ধরেছেন । আমরা অফিসে গিয়েছিলাম । প্রথমে আমাদের মারধরের হুমকি দেওয়া হয় । তারপর আমাদের কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করা হয় । ছাগল নাকি ক্যাম্পাসের ভিতরে তিন লাখ টাকার ফুল গাছ খেয়ে ফেলেছে । ছাগল ঢুকলে যদি ওদের অসুবিধা হয় তাহলে ওরা পাঁচিল দিয়ে দিক ৷ আমরা এই নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি ।"
যদিও এই নিয়ে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । বিষয়টি নিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছে মালদা পুলিশ ।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশ-মালদা সীমান্তে চোরাচালানে ধৃত 2 যুবক