মালদা, 20 নভেম্বর: এক ধাক্কায় দশ থেকে শূন্য । কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত মালদা জেলায় এভাবেই গত বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছিল কংগ্রেস । এই অবস্থায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে ‘বরকত-গান্ধি’ এই মিক্সড টনিকে ভরসা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। বরকতদা অর্থাৎ গনি খান চৌধুরী ও রাহুল গান্ধির উদাহরণ তুলে ধরেই রবিবার সুজাপুরে জনসভা সারলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী (Malda Sujapur Congress meeting) ৷ উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী, প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম, আলবেরুণী জুলকারনাইন, ভূপেন্দ্রনাথ হালদার, ইশা খান চৌধুরী প্রমুখ (Adhir Chowdhury in rally at sujapur) ।
এদিন সভামঞ্চ থেকে অধীর চৌধুরী বলেন,“বরকত গনি খান চৌধুরীকে আজও মালদার মানুষ, সুজাপুরের মানুষ মনে প্রাণে বাঁধিয়ে রেখেছেন । বরকতা সাহেব বলছেন, কন ক্যাহতে হ্যায়, মেরি মত সে মে মর যাউঙ্গা; মে তো দরিয়া হু, সমুন্দর মে উতর যাউঙ্গা । এই বরকতদার মালদায় কোনও কিছুই কমতি নেই । সব সময় কংগ্রেস সফলতার ভাগ্য নিয়ে মালদার বুকে রাজনীতি করেছে । হ্যাঁ, গতবার আমরা হেরেছি । কিন্তু সেই হার স্থায়ী নয় । আর সেখানেও আমরা হারিনি । হারানো হয়েছে । সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি করে কংগ্রেসকে দুর্বল করা হয়েছে । কারণ, বিজেপির হিন্দু রাষ্ট্রের কাঁটা একমাত্র কংগ্রেস । যেদিন থেকে কংগ্রেস দুর্বল হয়েছে, বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে । ইতিহাস এর প্রমাণ ।”
আরও পড়ুন: রাজ্যভাগের চক্রান্তের অভিযোগে 1 হাজার কিলোমিটার প্রতিবাদ মিছিল তৃণমূলের
কর্মীদের মনোবল বাড়াতে রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো যাত্রার কথাও তুলে ধরেন অধীর (Adhir Chowdhury)। বলেন“আরএসএসের বিচার ধারাকে আটকে রেখেছে ভারতবর্ষের জাতীয় কংগ্রেস । আর তাদের রুখতে গিয়ে আমাদের মহাত্মা গান্ধি, ইন্দিরা গান্ধি, রাজীব গান্ধিদের বলিদান দিতে হয়েছে । যে বাড়িতে তিনটে প্রধানমন্ত্রী, সেই বাড়ির ছেলে রাহুল গান্ধি ভারতবর্ষের ঐক্যকে মজুত রাখার জন্য সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পদযাত্রা করছে । সেই পদযাত্রার নাম ভারত জোড়ো । দক্ষিণ ভারতে যে রাস্তা দিয়ে রাহুল গান্ধি যাচ্ছেন সেখানে হাজার হাজার মানুষ উপচে পড়ছেন ।”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এদিন আরও বলেন, "বিজেপির নির্বাচনি হাতিয়ার সিএএ । সিএএ অর্থাৎ চুনাব আনেসে আয়েঙ্গে । ভোট আসলেই সিএএ প্রসঙ্গে উঠে আসে । সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থামাতে গত নির্বাচনে কিছু সাধারণ মানুষের মনে হয়েছিল তৃণমূলকে সরাতে বিজেপিকে দরকার, আবার কারও মনে হয়েছিল বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূলকে দরকার । আর এতে লাভ হয়েছিল দিদি আর মোদির । কিন্তু ধর্ম নিরপেক্ষ দল হওয়ায় গর্তে পড়েছিল কংগ্রেস । নির্বাচনের সময় দিদি-মোদি মানুষকে নাগরিক আইন নিয়ে বিভ্রান্ত করেছিল ।"